দীপিকা
অভিনেত্রী এ বার প্রযোজকের দায়িত্বে। তাই ‘ছপাক’-এর প্রচারে কোনও রকম ত্রুটি রাখতে চাননি দীপিকা পাড়ুকোন। প্রচারের কাজেই পৌঁছে গিয়েছিলেন দিল্লি। সেখানে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদী পড়ুয়াদের পাশে দাঁড়াতে গত মঙ্গলবার সন্ধেয় ক্যাম্পাসে পৌঁছে গিয়েছিলেন দীপিকা। তার পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় জনমত ভাগ হয়ে যায় দীপিকার পক্ষে ও বিপক্ষে। এই সাক্ষাৎকার অবশ্য তার আগেই নেওয়া হয়েছে।
প্র: ‘ছপাক’-এর শুটিং শেষ হওয়ার পরে আপনি নিজের প্রস্থেটিক মেকআপের খোলস পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। কেন?
উ: ইমোশনাল হিলিংয়ের দরকার ছিল। মালতীর চরিত্রটা আমার কাছে খুব কঠিন ছিল। প্রোডিউসর হিসেবে আমি জানি, প্রস্থেটিক মেকআপ কতটা দামি! জেনেশুনেই মেকআপের খোলসটা পোড়াতে চেয়েছিলাম। এখনও মনে আছে, শুটিংয়ের শেষ দিনে সেটের এক কোনায় গিয়ে অ্যালকোহল ঢেলে মেকআপ পুড়িয়ে দিয়েছিলাম। আর ততক্ষণ ঠায় দাঁড়িয়েছিলাম, যতক্ষণ না পুরোটা পুড়ে যায়।
প্র: মালতীর চরিত্রই তবে আপনার কেরিয়ারে এখনও অবধি সবচেয়ে কঠিন?
উ: অনেকটা তোতাপাখির মতো শোনালেও, আমি বলব আমার করা শেষ কিছু ছবির সব চরিত্রই বেশ জটিল। আর সব ছবিতেই চেষ্টা করেছি, নতুন কিছু করার। না হলে কাজে একঘেয়েমি এসে যায়। কেরিয়ারের প্রথম দিকে আমাকে অনেক কিছু শুনতে হয়েছে। নেতিবাচক মন্তব্য মনে রাখতাম না। কিন্তু দোষ বা ত্রুটি নিয়ে কেউ কিছু লিখলে বা বললে, সেটা আমি মাথায় রেখে দিতাম।
প্র: লক্ষ্মীর (আগরওয়াল) কাছ থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় কী ছিল?
উ: মনের জোর আর একাগ্রতা। লক্ষ্মী কিন্তু এখন খুব খুশি। অন্যদের অনুপ্রেরণা জোগায়। আমরা কেউ ওর জীবন হয়তো পাল্টাতে পারব না। কিন্তু ওর গল্প সকলের সামনে তুলে ধরে অন্যদের সাহস জোগাতে পারি।
প্র: প্রোডিউসর হওয়ার পরে কি টাকাপয়সা একটু বেশি সামলে রাখছেন?
উ: একটা কথা বলি? খুব অল্প বয়স থেকেই টাকাপয়সাকে সম্মান করে আসছি। মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম এবং বড় হওয়া। স্কুল জীবনে কোনও দিন পকেটমানি পাইনি। কলেজে এসে নিজে রোজগার করে মোবাইল ফোন কিনেছি। আমার মা-বাবা কোনও রকম শর্ত ছাড়াই আমাকে বড় করেছেন। এখনকার বাচ্চাদের দেখি, শর্তের বিনিময়ে অনেক কিছু পেয়ে থাকে। আমি নিজে এখনও মা হইনি। তাই আমার পক্ষে হয়তো এ সব বলা খুব সহজ। প্রোডিউসর হয়ে একটা জিনিস উপলব্ধি করেছি। সেটা হল, ভাল ছবি বানানোর সঙ্গে পুরো অভিজ্ঞতাটাও ভাল হওয়া খুব জরুরি। আমার কাস্ট এবং ক্রু যেন সব সময়ে ভাল মেজাজে থাকে আর অভুক্ত না থাকে।
প্র: আপনার আর কার্তিক আরিয়ানের বন্ধুত্ব বেশ চোখে পড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও দু’জনে একে অন্যের পোস্টে কমেন্ট করেন। একসঙ্গে ছবি করা কি শুধু সময়ের অপেক্ষা?
উ: ছবির কথা তো এই মুহূর্তে কিছু হয়নি। তবে আমি আর রণবীর (সিংহ) দু’জনেই কার্তিককে খুব পছন্দ করি। কার্তিকও আমাদের মতোই। ইন্ডাস্ট্রির বাইরে থেকে এসেছে। আর সফল হওয়ার ইচ্ছেও রয়েছে। কার্তিকের যে গুণটা আমার সবচেয়ে ভাল লাগে সেটা হল, এর জন্য কার্তিক কাউকে কৈফিয়ত দেয় না।
প্র: পরের ছবি সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীর সঙ্গে করছেন?
উ: শকুন বত্রা ডিরেক্ট করছে। ২০২১-এর ভ্যালেন্টাইন্স ডে-তে ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা। সিদ্ধান্ত ছাড়া অনন্যা পাণ্ডেও আছে। দু’জনেই নতুন ট্যালেন্ট আর কাজ নিয়ে খুব প্যাশনেট। শকুনের সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছে অনেক দিনের। সেটা শেষমেশ হচ্ছে। মার্চ থেকে শুটিং শুরু হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy