ম্রুণাল ঠাকুর।
প্র: শুরুটা টেলিভিশন থেকে। এখন হাতভর্তি ছবি। ওটিটি-তে কাজ করবেন কবে?
উ: একতা কপূরের হাত ধরে শুরু। আমি ভাগ্যবান যে, এখন আমার পরিচয় শুধুই টিভি অভিনেত্রী নেই আর। ওটিটি-তে ভাল চিত্রনাট্যের অপেক্ষায় আছি। একটা ওয়েব সিরিজ় হতে গিয়েও হয়নি। ‘জার্সি’র শুটিং শেষে সেকেন্ড ওয়েভ এল। তার পরে ‘তুফান’ মুক্তি পেল। এখন ‘পিপা’র শুটিং শুরুর অপেক্ষায় আছি।
প্র: ‘পিপা’য় তো আপনি সোহম মজুমদারের সঙ্গে কাজ করেছেন...
উ: হ্যাঁ। ওর সঙ্গে রাম মাধবানির ‘ধমাকা’তেও কাজ করেছি। ‘কবীর সিং’ থেকেই সোহমের কাজ ভাল লাগে। ওর আরও অনেক ভাল চরিত্র প্রাপ্য রয়েছে।
প্র: ‘তুফান’-এর সেটে তাবড় অভিনেতাদের মাঝে আপনার নার্ভাস লাগেনি?
উ: সব সিনিয়র অভিনেতাকেই সেটে বিরক্ত করতাম। পরেশ রাওয়ালের কাছ থেকে শিখেছি, কী করে নিজেকে পরিচালকের কাছে সারেন্ডার করতে হয়। সহশিল্পী কখন গুগলি দিচ্ছে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হয়। ফারহান শিখিয়েছে, পরিশ্রমের কোনও বিকল্প হয় না। আর মোহন আগাসে তো নিজেই একজন প্রতিষ্ঠান।
প্র: এই ছবির জন্য আপনার পাওয়া সেরা প্রশংসা কী?
উ: এই অতিমারিতে অনেকেই প্রিয়জন হারিয়েছেন। আমার চরিত্র অনন্যা যখন নিজের মৃত মায়ের ছবির সামনে দাঁড়িয়ে বলে, ‘সির্ফ পাঁচ মিনিট কে লিয়ে আজা না’, সেই সংলাপটার সঙ্গে কানেক্ট করতে পেরেছেন অনেকে। এটাই আমার সেরা পাওনা।
প্র: ছবিটা যে বড় পর্দার বদলে ওটিটি-তে এল, তা নিয়ে আক্ষেপ আছে?
উ: পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হবে। অতিমারির মধ্যেও যে দর্শকের কাছে ছবিটা পৌঁছতে পেরেছে, এটাই বড়।
প্র: লকডাউনে নতুন কিছু শিখলেন?
উ: মিক্সড মার্শাল আর্টস প্র্যাকটিস, নাচের ক্লাসের জন্য আমাকে সময় বার করে দিয়েছিল এই লকডাউন। প্রচুর ছবি দেখেছি। আর এই অতিমারি আমাকে বিনোদন জগতের বাইরের বিরাট পৃথিবীটা সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেয়েছে। অনেক ছোট ছোট জিনিসের মূল্য দিতে শিখেছি এখন।
প্র: ‘তুফান’-এ নায়ক-নায়িকার বাড়ি ভাড়া পেতে সমস্যা হয় ভিন্ন ধর্মের জন্য। সম্প্রতি ‘ভোঁসলে’ ছবিটিও দেখায়, কী ভাবে মুম্বইয়ে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেতে লড়ছে পরিযায়ী শ্রমিকরা। একজন মুম্বইকর হিসেবে এই সমস্যা নিয়ে কী বলবেন?
উ: আমার কিছু বন্ধু একই ঘটনার মুখোমুখি হয়েছে। তাই সমস্যা যে নেই, এটা বলতে পারব না। আশার কথা, সিনেমা এ নিয়ে দর্শকের মনে প্রশ্ন তুলতে পারছে।
প্র: ‘জার্সি’র অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
উ: শাহিদ কপূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাই আলাদা। আর পঙ্কজ কপূরকেও জ্বালিয়েছি ওঁর সময়কার নানা গল্প শোনার আবদার করে।
প্র: ‘ডক্টর জি’ ছাড়লেন কেন?
উ: ওই ছবিতে আমার করার কথা ঘোষণা হয়নি কিন্তু। চরিত্রটা এখন রাকুল (প্রীত সিংহ) করছে। ওর আর আয়ুষ্মানের (খুরানা) জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল।
প্র: প্রথম ছবি ‘লাভ সোনিয়া’র জন্য কলকাতায় এসেছিলেন আপনি...
উ: কলকাতা বলতে আমার কাছে রুচিরা গুপ্তের মতো মানুষরা, পাচারচক্র নিয়ে যাঁরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। সারভাইভারদের দ্বিতীয় জীবন দান করছেন। এই শহরে ফের আসব শিগগিরই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy