গত বছরের শুরুর দিকে বিবাহবিচ্ছেদের খবরে সিলমোহর দিয়েছেন এষা দেওল এবং তাঁর স্বামী হিরে ব্যবসায়ী ভরত তখতানি। এই খবরে অবাক হয়েছেন অনুরাগীরা। ১২ বছরের দাম্পত্য দু’জনের। এক যুগের যৌথযাপনে দু’জনে যে ভাল নেই, তেমন কোনও ইঙ্গিত এর আগে প্রকাশ্যে আসেনি। বিয়ের আগেও বহু দিনের প্রেমের সম্পর্ক দু’জনের। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই প্রেম তাঁদের। এত মিলের পরেও বিচ্ছেদ এসেছে। বিয়ে ভাঙার পর মা হেমা মালিনীর সঙ্গে এক বাড়িতেই থাকেন এষা। দুই সন্তানের দায়িত্বও নিজের কাঁধে নিয়েছেন। এই সময় মেয়ের পাশে ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী। সব সময় উপদেশ দিয়েছেন, ‘‘নিজের অন্তর থেকে প্রেমকে শেষ করে দিয়ো না।’’
আরও পড়ুন:
বিবাহবিচ্ছেদের পর একটা লম্বা সময় নিজেকে আড়ালেই রেখেছিলেন এষা। যদিও নতুন বছরের একটু একটু করে নিজের অস্তিত্বের কথা জানান দিচ্ছেন। ছোটবেলা থেকে মায়ের সান্নিধ্যেই বেড়ে উঠছেন তিনি। বলিউডে প্রবেশ হোক কিংবা বিয়ের সিদ্ধান্ত, মা হেমাই এষার জীবনের পথপ্রদর্শক। এষা এক সাক্ষাৎকারে তাঁর মায়ের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘মা সব সময় বলে, ‘নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকো। এটা তোমার পেশার অংশ মাত্র। তুমি আমার মেয়ে, তুলনা তো হবেই। কিন্তু তুমি যদি এতে প্রভাবিত হয়ে পড়ো, তা হলে তুমি ভুল পেশা বেছে নিয়েছ।’” তিনি আরও যোগ করেন, “যদি মনে হয় সামলাতে পারবে, তা হলেই এগিয়ে যাও এই পেশায়।” পাশপাশি, মেয়েকে আরও বেশ কিছু উপদেশ দেন হেমা। এষার কথায়, ‘‘মা বলে, জীবনে যা-ই হয়ে যাক নিজের ভিতর থেকে প্রেমকে মরতে দিয়ো না। প্রেমে পড়ার উপদেশই দেয়। আসলে এটা একটা এমন অনুভূতি, যা অন্তর আনন্দে ভরে দেয়। মার এই উপদেশ মাথায় রেখেছি ঠিকই, কিন্তু সেইমতো কাজটা করিনি।’’ তবে কি বিচ্ছেদের পর অন্তর থেকে ভালবাসার অনুভূতিই শেষ হয়ে গিয়েছে অভিনেত্রীর?