অনির্বাণ চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
প্রত্যেক অভিনেতাই চান, তাঁর কাজ যেন প্রশংসিত হয়। আবার কখনও কখনও প্রশংসা বা পুরস্কারের বাইরে অন্য ধরনের কিছু প্রাপ্তিও অভিনেতাকে বাড়তি অনুপ্রেরণা যোগাতে পারে। সম্প্রতি অভিনেতা অনির্বাণ চক্রবর্তী এ রকমই এক ঘটনার সাক্ষী হলেন।
গত কয়েক বছরে একেনবাবু চরিত্রটি অনির্বাণকে জনপ্রিয় করে তুলেছে, এ কথা নতুন করে উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই। শুধু বড়রা নয়, একেন চরিত্রটি ছোটদের মধ্যেও যথেষ্ট জনপ্রিয়। তাই খুদেদের মহলে আনির্বাণের পৃথক অনুরাগী বৃত্ত রয়েছে।
এমনই এক খুদে ‘একেন’-ভক্ত এ বার অনির্বাণকে অন্য রকম উপহার দিয়েছেন। কী সেই উপহার, বলার আগে জানিয়ে রাখি, উপহারটি সামাজমাধ্যমের পাতায় ভাগ করে নিয়েছেন অনির্বাণ।
তার সঙ্গে অভিনেতা ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখেছেন, ‘‘সেলফি নেন বেশির ভাগ মানুষ। ক্লাস সিক্সে পড়া এই বাচ্চাটি অটোগ্রাফ চেয়েছিল। তার কাছে এটা এতটা মূল্যবান মনে হয়েছিল যে, সে বাবা মায়ের কাছে আবদার করে সেটি ‘ফ্রেম’ করে রেখেছে।’’
অনির্বাণ জানিয়েছেন, ছেলেটির এক আত্মীয় মারফত তিনি ছবিটি পেয়েছেন। একই সঙ্গে অনির্বাণ লিখেছেন, ‘‘জীবনের অনেক না পাওয়াকে ব্যালেন্স করে দেয় এই সব পুরস্কার।’’
২০১৮ থেকে একেন চরিত্রে অভিনয় শুরু করেন অনির্বাণ। সচরাচর ছোটদের থেকে আর কী কী ধরনের উপহার পেয়ে থাকেন তিনি?
আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে অভিনেতার স্বীকারোক্তি, ‘‘কেউ একেনের ছবি এঁকে পাঠায়। আবার ছোটরা তো অনেক বাদ্যযন্ত্র শেখে। অনেকে একেনের টাইটেল সং বাজিয়েও আমাকে পাঠায়।’’
অনির্বাণ জানালেন, ছোটদের সঙ্গে দেখা হলেই তারা উচ্ছ্বসিত হয়ে ভাল লাগার কথা ব্যক্ত করে। ছবি তোলে, কোলে উঠতে চায়।
অনির্বাণ হেসে বললেন, ‘‘সেটা দেখে অনেক সময়ে তাদের বাবা-মায়েরাও বলেন যে, ‘আমরা কি আপনাকে ভালবাসি না’!’’ তবে আট থেকে আশি, একেন যে সকলের মনে দাগ কেটেছে, তা দেখে খুশি অনির্বাণ।
ফেলুদার পর এই প্রথম কোনও সাহিত্যনির্ভর চরিত্রকে ছোটরা এতটা পছন্দ করে বলে মনে করেন আনির্বাণ। তাঁর কথায়, ‘‘ছোটদের মন জয় করা সব থেকে কঠিন। তাই তাদের ভালবাসা পাওয়াটা আমার কাছে ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছাড়া আর কিছুই নয়।’’ একেনের নতুন ছবির শুটিং শুরু হওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছে টলিপাড়ায়। শোনা যাচ্ছে, এ বার একেন পা রাখতে চলেছে রাশিয়ায়। সেই মতো নির্মাতারা প্রস্তুতি নিতেও শুরু করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy