এর আগে জানা গিয়েছিল, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর বিখ্যাত কাওয়ালি ‘ভর দো ঝোলি মেরি’-র সুর না কি এক পাকিস্তানি গান থেকে টুকলি করেছেন সুরকার প্রীতম। সেই বিতর্ক মিটতে না মিটতেই সামনে এল নতুন বিস্ফোরক খবর— একটা গান নয়, ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ পুরো ছবিটাই না কি টোকা! সম্প্রতি এ হেন দাবি করেছেন এক পরিচালক-চিত্রনাট্যকার-প্রযোজক মহিম যোশি! শুধু দাবি তুলেই থেমে থাকেননি মহিম, ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলাও করেছেন আদালতে।
মহিমের দাবি, যে গল্প নিয়ে ছবি করেছেন পরিচালক কবীর খান, তার চিত্রনাট্য অনেক আগেই তিনি নথিভুক্ত করিয়েছিলেন ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন কাউন্সিল এবং অ্যাসোসিয়েশন অব মোশন কাউন্সিলের অধীনে। তাঁর চিত্রনাট্য নিয়ে ছবি করার কথা ছিল বিবেক ওবেরয়ের প্রযোজনা সংস্থা ইয়াশি মাল্টি মিডিয়ার। কিন্তু, যে কোনও কারণেই হোক না কেন, তারা ছবি তৈরিতে আগ্রহ দেখায়নি। এর পর বেশ খানিকটা সময় চলে যায়। এবং মেয়াদ পেরিয়ে গেলে ইয়াশি মাল্টি মিডিয়ার সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যায় মহিমের। মহিম তখন ছবির চিত্রনাট্য ভায়াকম ১৮ মোশন পিকচার্সের কাছে।
মহিম জানাচ্ছেন, এর পরে তিনি চমকে ওঠেন, যখন জানতে পারেন তাঁর চিত্রনাট্যের গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’। এমনকী, তাঁর বিস্ময় চরমে ওঠে এটা দেখে যে ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর টিম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছে ভায়াকম ১৮ মোশন পিকচার্সের কাছে!
স্বাভাবিক ভাবেই আর দেরি করেননি মহিম। সোজা আদালতে গিয়ে মামলা ঠোকেন। তার পরের ঘটনা এখনও পর্যন্ত রয়েছে মহিমের পক্ষেই। জানা গিয়েছে, বিচারক ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর গল্পের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছেন মহিমের চিত্রনাট্য। এবং তার পরে তিনি বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ভাবে কথা বলার জন্য আদালতে ডেকে পাঠিয়েছেন ‘বজরঙ্গি ভাইজান’-এর পরিচালক কবীর খান, পরিচালক রকলাইন ভেঙ্কটেশ আর রাজেশ ভট্ট এবং চিত্রনাট্যকার কেভি বিজয়েন্দ্র প্রসাদকে। এই বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য আদালতে হাজিরা দিতে হবে সলমন খানকেও।
জানা গিয়েছে, ২১ অক্টোবর আদালতে হাজিরা দেবেন তাঁরা!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy