শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, মিলনদার ক্যান্টিন, ঢপের চপ...‘হিয়া নস্টাল’ পরিচালক, প্রযোজক, অভিনেতা শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের। আগামী মাসের শুরুতে স্টার জলসার ‘রান্নাবান্না’য় সপ্তাহ জুড়ে কলেজ ক্যান্টিন পর্ব। সেখানেই এক মুঠো স্মৃতি নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনের মালিক মিলনদার স্ত্রী কৃষ্ণা বৌদির উপস্থিতি। মুখোমুখি শিবপ্রসাদ। সঞ্চালক অপরাজিতা আঢ্য বৌদির সঙ্গে পরিচালকের পরিচয় করিয়ে দিতেই পরিচালক ডুব দিলেন অতীতে, ‘‘কলেজে যখন পড়তাম তখন সে অর্থে আমাদের কোনও রোজগার ছিল না। মিলনদার ক্যান্টিন তখন আমাদের যেন কাছে স্বর্গ রাজ্য।’’ তার পরেই তিনি অকপট, ‘‘‘তখন একটা ঢপের চপ, এক গ্লাস দুধ চা পেলেই জমে যেত। সারা দিন নিশ্চিন্ত।’’
যাদবপুরের শিক্ষার্থীদের শুধুই ঢপের চপ বা কম খরচে ভরপেট খাবার খাওয়াতেন মিলনদা? আর কী কারণে বিখ্যাত হয়েছিল তাঁর ক্যান্টিন? পরিচালকের দাবি, মিলনদা ভীষণ মানবিক ছিলেন। ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে যখন টিফিন কেনার টাকা থাকত না, তিনি নির্দ্বিধায় ‘বাকি’তেও খাওয়াতেন। দিনের পর দিন সেই ‘ধারে খাওয়া’ চলত। মিলনদা বলতেন, ‘‘ঠিক আছে। পরে দিলেও হবে।’’
মিলনদা নেই। সেই ধারা আজও বজায় রেখেছেন তাঁর স্ত্রী। জানালেন, ‘‘তখনও আমাদের লক্ষ্য ছিল সবাইকে পেট ভরে খাওয়ানো। আজও তাই-ই। এখনও কোনও ছেলে বা মেয়ে যখন এসে বলে, বৌদি আজ খাওয়ার টাকা নেই, ভরসা দিয়ে বলি, আগে পেট ভরে খাও। পরে ওসব দেখা যাবে। অর্থের জন্য মিলনদার ক্যান্টিন কারোর কাছে কোনও দিন বন্ধ হবে না।’’
শিবপ্রসাদের মতোই যাদবপুরের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে আজও গর্ব এই ক্যান্টিন। ‘‘মিলনদার মতো স্বাদু খাবার আর কোনও কলেজ ক্যান্টিন বানাতে পারে না’’, প্রেসিডেন্সি, স্কটিশ চার্চ কলেজে গিয়ে গলা তুলে বলতেন পরিচালক।
বহু দিন বাদে সেই বিখ্যাত ঢপের চপ হাতের নাগালে পেতেই সঙ্গে সঙ্গে তাতে বড় এক কামড় শিবপ্রসাদের। দেখে অট্টাহাসি অপরাজিতার, ‘‘শট নেওয়ার আগেই খাবার গায়েব!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy