প্রতীকী অনশনে চৈতি ঘোষাল ছবি: সংগৃহীত।
“ওঁরা টানা ১৫ দিন ধরে অনশন করছেন। মাত্র এক দিন না খেয়ে থেকেই বুঝলাম, ওঁরা অসাধ্যসাধন করছেন!” আরজি কাণ্ডের প্রতিবাদে ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন থেকে উঠে আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন চৈতি ঘোষাল। শনিবার পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, সৌম বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবলীনা দত্ত, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তনিকা বসুর সঙ্গে চৈতিও ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছিলেন। তাঁর গলায় ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। তবু তাঁর আশা, এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চয়ই চিকিৎসকদের ডাকে সাড়া দেবেন।
একই সঙ্গে পরিচালক-অভিনেত্রী আপ্লুত সহকর্মী, বাইরের মানুষদের থেকে সমর্থন পেয়ে। ইতিমধ্যেই অনশনরত পরিচালক, অভিনেতাদের সমাজমাধ্যমে কুর্নিশ জানিয়েছেন পরিচালক-অভিনেতা তথাগত মুখোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, “তোমাদের/ তোদের চিনি সহকর্মী হিসেবে,বন্ধু হিসেবে। মেরুদণ্ডী মানুষ হিসেবে চিনলাম। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে।"
চৈতির কথায়, “এখনও সমাজমাধ্যম দেখে ওঠা হয়নি। ফলে, তথাগত কী লিখেছে, পড়তে পারিনি। তবে জেনে ভাল লাগছে।” এ-ও জানালেন, বহু মানুষ অনশন মঞ্চে এসেছিলেন। তাঁদের সাহস জুগিয়ে গিয়েছেন। “অনেকে চিকিৎসকদের পাশাপাশি আমাদের জন্যও পুজো দিয়েছিলেন! যাতে আমরা দুর্বল না হয়ে পড়ি। আমাদের মাথায় প্রসাদী ফুল ছুঁইয়ে গিয়েছেন। এঁরাই আমার চোখে বিশিষ্ট।”
আরজি কর-কাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলনের শুরু থেকেই রয়েছেন। প্রতিবাদী মিছিলে হেঁটেছেন। বাইরে থেকে অনশনরত চিকিৎসকদের সমর্থনও জানিয়েছেন। এ বার তিনি প্রতীকী অনশন মঞ্চে গত ১৫ দিন অনশনে থাকা চিকিৎসকদের সঙ্গী হয়েছিলেন। কী উপলব্ধি করলেন চৈতি? তাঁর কথায়, “ওঁদের কষ্ট ভিতর থেকে অনুভব করলাম। ওঁরা হয়তো শারীরিক ভাবে দুর্বল। কারণ, কোনও এক জন নুন-চিনির জলটুকুও খাচ্ছেন না। কিন্তু মনের জোর অসামান্য। কুর্নিশ করার মতো।” সেই জায়গা থেকেই অভিনেত্রীর আশা, ওঁদের প্রতিবাদ বিফলে যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy