কঙ্গনা রনৌত মুখ খুললেই বিতর্ক। পরিচালক-অভিনেত্রীর যদিও তা-ই নিয়ে মাথাব্যথা নেই। তিনি মনে আর মুখে এক। যেমন, সদ্য মুখ খুলেছেন তাঁর ‘ইমার্জেন্সি’ নিয়ে। ছবিটি গত সপ্তাহে জাতীয় স্তরের ওয়েব প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েই ‘ট্রেন্ডিং ১’। এই ফলাফল দেখে এক অনুরাগী সমাজমাধ্যমে অভিনেত্রীকে জানিয়েছিলেন, ছবিটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারমঞ্চের প্রতিযোগিতায় যাওয়ার যোগ্য। তখনই কঙ্গনা জানান, তাঁর ছবি জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হলেই খুশি তিনি।
অভিনেত্রী কি এত নরম করে জবাব দিয়েছেন? একেবারেই না। তিনি সমাজমাধ্যমে তাঁর মতো করেই লিখেছেন, “অস্কারের পিছনে দৌড়নো ভীষণ বোকা বোকা! আমার কাছে জাতীয় পুরস্কার যথেষ্ট। ‘ইমার্জেন্সি’ জাতীয় সম্মান পেলেই আমি খুশি।” সকলে যখন আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিখ্যাত হওয়ার জন্য ব্যস্ত, তখনও ব্যতিক্রমী কঙ্গনা। তিনি দেশের সর্বোচ্চ সম্মানকে প্রাধান্য দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ছবিতে কঙ্গনা সেই সময়কে তুলে ধরেছেন। পরিচালনার পাশাপাশি ‘ইন্দিরা গান্ধী’ চরিত্রে অভিনয়ও করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:
প্রস্থেটিক রূপটানের সাহায্যে পর্দায় তাঁর নিখুঁত প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর ‘লুক’ এবং অভিব্যক্তি দর্শক-সমালোচক মহলে প্রশংসিত।
সে প্রসঙ্গ তুলেও বক্তব্য রেখেছেন কঙ্গনা। লিখেছেন, “দর্শক ‘ইমার্জেন্সি’তে আমার অভিনয়কে অসাধারণ এবং সর্ব কালের সেরা বলছে। আমি কি ‘কুইন’, ‘তনু ওয়েডস মনু ২’, ‘ফ্যাশন’ বা ‘থলাইভী’কে ছাপিয়ে যেতে পেরেছি?”