শ্রীময়ীর বক্তব্য, আইন আইনের মতো চলবে। তিনি পুরনো কথা মনে রাখতে চান না। বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চনের সঙ্গে তিনি আগের মতোই স্বাভাবিক। মুখোমুখি হলে কথা বলবেন ‘পিঙ্কিদি’র সঙ্গেও। কারও বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। শুধু আফশোস, ‘‘অন্যায্য রটনায় নাজেহাল হল তিনটি পরিবার।’’
কাঞ্চনকে নিয়েই পিঙ্কি বনাম শ্রীময়ী!
কেমন আছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ? কী করছেন? টেলি পাড়া বলছে, সদ্য শেষ হয়েছে স্নেহাশিস চক্রবর্তীর ধারাবাহিক ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’র শ্যুটিং। সেখানেই ‘বিহান’-এর সৎ বোন ‘শ্রী’-র চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল অভিনেত্রীর সঙ্গে। শ্রীময়ী তখন পরিবারের ছোটদের সঙ্গে গল্পে মত্ত।
খোঁজ-খবর করতেই হাল্কা বিষণ্ণ তিনি। বললেন, ‘‘সুশান্ত দাসের ধারাবাহিক ‘কৃষ্ণকলি’র ‘রাধারানি’ চরিত্র আমায় ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিল। তার পরে স্নেহাশিসদার এই ধারাবাহিক। দুটো চরিত্র একদম আলাদা। প্রথমটায় আমি এক মেয়ের মা। দ্বিতীয়টিতে আমি অল্পবয়সি মেয়ে। খুব আনন্দ হচ্ছিল কাজ করে। মাত্র ৬ মাসে সেটি শেষ।’’ ছোট্ট শ্বাস ছেড়ে দাবি, অভিনেতাদের পেশা এ রকমই নিরাপত্তাহীন। অতঃপর আবার নতুন কাজের প্রতীক্ষায় তিনি।
কাজের প্রসঙ্গেই অতীতে ডুব অভিনেত্রীর। ‘রাধারানি’র সৌজন্যে দর্শক মহলে ভালই পরিচিতি শ্রীময়ীর। নানা জায়গায় মঞ্চানুষ্ঠান করছেন। আচমকাই তাঁর জীবনে ঝড়। তাঁর থেকে অনেক বড় অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিককে জড়িয়ে জোরালো চর্চা। রটনা আদৌ ঘটনা কি না পরিষ্কার নয়। তার আগেই টলি পাড়া তোলপাড় পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়-কাঞ্চন মল্লিক-শ্রীময়ী চট্টরাজ ত্রিকোণে! মানসিক বিপর্যস্ততায় অনেক দিন কাজে যোগ দিতে পারেননি বলে জানিয়েছেন শ্রীময়ী। ‘কৃষ্ণকলি’ শেষ হওয়ার পরে তাঁকেও কেউ ডেকে কাজ দেয়নি। আক্ষরিক অর্থেই যখন ‘কর্মহীন’, তখনই ডেকে নিয়েছিলেন স্নেহাশিস। আচমকা ধারাবাহিক শেষ হওয়ার দুঃখ নিয়েও তাই অভিনেত্রী আন্তরিক কৃতজ্ঞ প্রযোজনা সংস্থা টেন্ট এবং ব্লু’জ-এর কাছে।
যে সম্পর্ক নিয়ে এত রটনা সেই ক্ষতে প্রলেপ পড়েছে? নাকি তিন জনের নিজেদের মতো করে দিনযাপন?
শ্রীময়ীর কথায়, ‘‘কাকতালীয় ভাবেই আমায় আনন্দবাজার অনলাইন ফোন করেছে গুঞ্জনের বর্ষপূর্তির আগে। জুন মাসে ঘটেছিল অঘটন। পিঙ্কিদিকে এর আগে ও রকম কোনও দিন দেখিনি। বরাবরের শান্ত মানুষ। ভীষণ সহযোগিতা করেন সবার সঙ্গে। কাঞ্চনদার সূত্রে ওঁর সঙ্গে আলাপ। ঘনিষ্ঠতা কোনও দিন ছিল না। তা বলে এত খারাপ আচরণও করেননি। কাঞ্চনদাও পিঙ্কিদির প্রশংসাই করতেন। সব যেন আচমকা কেমন ঘেঁটে গেল!’’ তার পরেই অভিনেত্রীর জিজ্ঞাসা, কারও উস্কানিতে পিঙ্কিদি তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করেননি তো? সেই সঙ্গেই দাবি, হয়তো সাময়িক মানসিক টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন পিঙ্কি। সব কিছুই তাই বিসদৃশ লেগেছিল তাঁর চোখে।
সেই ভাবনা থেকেই শ্রীময়ীর বক্তব্য, আইন আইনের মতো করে চলবে। তিনি পুরনো কথা মনে রাখতে চান না। বিধায়ক-অভিনেতা কাঞ্চনের সঙ্গে আজও তিনি আগের মতোই স্বাভাবিক। মুখোমুখি হলে কথা বলবেন ‘পিঙ্কিদি’র সঙ্গেও। কারও বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। শুধু একটাই আফশোস, ‘‘অন্যায্য রটনায় নাজেহাল হল তিনটি পরিবার। কাঞ্চনদা-পিঙ্কিদির পরিবারও ভুগল। প্রচণ্ড মানসিক আঘাত পেয়েছিল আমার মা-বাবা, দাদু-ঠাকুমা। তিন জনেই পুরনো দিনের মানুষ। তাই বুঝতেই পারলেন না, অকারণে কেন তাঁদের মেয়ে প্রকাশ্যে অপমানিত হল!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy