এষা দেওল এবং হেমা মালিনী। ছবি: সংগৃহীত।
ফেব্রুয়ারির শুরুতেই স্বামী ভরত তখতানির সঙ্গে নিজের বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করেন এষা দেওল। এক দশকেরও বেশি সময়ের দাম্পত্য জীবন তাঁদের, তাতেই ইতি টানলেন এষা-ভরত। একে অপরের প্রতি রাগ বিদ্বেষ নয়, বরং পারস্পরিক সম্মতিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। যদিও মায়ানগরীতে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, হেমা মালিনীর জামাই নাকি পরকীয়ায় জড়িয়েছেন। প্রেমিকাকে নিয়ে অন্য শহরে একত্রবাসও শুরু করে দিয়েছেন। বিচ্ছেদের খবর ঘোষণা করার পর থেকেও এখনও পর্যন্ত কোথাও দেখা মেলেনি এষার। মায়ের বাড়িতে থাকছেন তিনি। এষার জীবনের এমন একটা কঠিন সময়, মেয়ে-জামাইয়ের সম্পর্কের এমন পরিণতি। হেমা কি মেয়ের সংসার বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন?
২০১২ সালে হিরের ব্যবসায়ীকে ভরত তখতানিকে বিয়ে করে সংসারী হন এষা। মেয়ের বিয়েতে এলাহি আয়োজন করেছিলেন হেমা। মুম্বইতে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল এষার। তবে হেমার বাড়ি থেকে খুব দূর নয় কাছেই ছিল এষার শ্বশুরবাড়ি। বিয়ের পর এষা নিজেই জানিয়েছিলেন, একান্নবর্তী সংসার একাধিক বিধি-নিষেধ ছিল শ্বশুরবাড়িতে। তবে সে সব নিয়ে কোনও দিনই মাথা ঘামাননি এষার মা। দেওল পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, হেমা মালিনী মেয়ে-জামাইয়ের বিচ্ছেদের মাঝে কখনওই ঢুকতে যাননি। সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁদের। তবে বরাবরই যে কোনও পরিস্থিতিতে মেয়ের পাশে থেকেছেন, এ ক্ষেত্রেও তাঁর অন্যথা করেননি অভিনেত্রী। শোনা যায়, দ্বিতীয় বার কন্যাসন্তানের জন্মের পর থেকেই বাড়তে থাকে তিক্ততা। মেয়েদের সামলে, সংসার সামলে স্বামীকে সে ভাবে সময় দিতে পারতেন না এষা। তাই দূরত্ব তৈরি হয় ধীরে ধীরে। আপাতত এষার সঙ্গেই রয়েছে তাঁর দুই মেয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy