যিশু সেনগুপ্ত।
জীবন তাঁকে প্রচুর আঘাত দিয়েছে। তার পরেও যিশু সেনগুপ্ত জীবনবিমুখ নন। সেই ভালবাসা তাঁকে ফিরিয়ে দিল ৪৪ তম জন্মদিনে। সোমবার দে’জ প্রকাশনা সংস্থার ঘোষণা, ২০২২-এর বইমেলায় তাঁরা প্রকাশ্যে আনবেন অভিনেতার আত্মজীবনী ‘আবহমান...জার্নি সো ফার’। যে বইয়ে এক অংশে যিশুর জীবনের খুঁটিনাটি সামনে আনবেন কবি সন্দীপন চক্রবর্তী।
এর আগেও প্রকাশনা সংস্থার হাত ধরে সামনে এসেছে উত্তমকুমার চট্টোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন, সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণ ঘোষ, গুলজার, শান্তনু মৈত্রের আত্মজীবনী। কর্ণধার সুধাংশুশেখর দে এবং অপু দে-র কথায়, খুব শিগগিরিই প্রকাশিত হবে পরিচালক তরুণ মজুমদারের জীবনীকথা। এঁদের পাশে যিশু সেনগুপ্ত জায়গা করে নিলেন কী ভাবে? আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে ২ কর্ণধারের দাবি, অভিনেতার জীবনের সংগ্রাম, ওঠাপড়া, দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরেও লড়াইয়ে ফিরে আসা, আগামী প্রজন্মের কাছে উদাহরণ যোগ্য। পাশাপাশি, যিশুর জনপ্রিয়তাও তাঁদের নজর এড়ায়নি। তাই তাঁরা যিশুকে বেছেছেন।
ইতি মধ্যেই অভিনেতার মুখোমুখি হয়েছেন কলমচি। অপুর যুক্তি, ‘‘প্রথম সারির লেখককে না বেছে আমরা সন্দীপনকে বেছেছি কারণ, তিনি যিশুর সমসাময়িক। ফলে, সহজেই তিনি ফুটিয়ে তুলতে পারবেন আগের দশকের তুলনায় ধীর গতির শহর কলকাতাকে। বুঝবেন, ২ শতাব্দীর সাক্ষী এক মানুষের হার না মানা লড়াই কত কঠিন।’’
কী থাকবে যিশুর আত্মজীবনীতে? ‘‘সবই থাকবে’’, দাবি প্রকাশকের। জানালেন, বাংলার পাশাপাশি হিন্দি, দক্ষিণী ছবির দুনিয়ায় নিজেকে প্রমাণ করার পরেও যিশুর কাছে গুরুত্বপূর্ণ একজন ভাল মানুষ হয়ে ওঠা। কেন? ক্রিকেটে সাব জুনিয়র বেঙ্গল টিমে খেলা অলরাউন্ডার হঠাৎ কেনই বা পেশা বদলে চলে এলেন অভিনয়ে? মেগা ‘শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য’র দৌলতে খুব অল্পবয়সেই ছোট পর্দার জনপ্রিয় তারকা তিনি। অথচ তারপরও দীর্ঘ কাল অচ্ছুৎ ছিলেন পরিচালকদের কাছে। কী কারণে? এমনকি খ্যাতির পরেও, কী ভাবে তাঁকে সইতে হয়েছে অপমান? সবটাই অকপটে ধরা থাকবে ২ মলাটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy