জীবনের একটি দীর্ঘ সময় মানসিক অবসাদে কেটেছে দীপিকার।
‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-তে প্রতি শুক্রবারই কিছু না কিছু চমক থাকে। এই শুক্রবারের পর্বে বিগ বি-র আসরে এসেছিলেন দীপিকা পাড়ুকোন এবং ফারহা খান। বিগত কয়েক দিন ধরেই নেটমাধ্যমে এই পর্বের বিভিন্ন প্রোমো নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই টুকরো টুকরো ভিডিয়ো নিয়ে দর্শক তথা অনুরাগীদের উত্তেজনার পারদ ছিল তুঙ্গে। ‘শানদার শুক্রবার’-এর এই বিশেষ পর্বের একের পর এক প্রোমো প্রকাশ পেয়েছে। আগেই বোঝা গিয়েছিল যে অনেক মজার গল্প শোনা যাবে এই পর্বে। কিন্তু সোনি’র ইনস্টাগ্রাম থেকে মুক্তি পাওয়া সাম্প্রতিকতম প্রোমোর ভিডিয়োয় দীপিকার জীবনের এক কঠিন অধ্যায়ের কথা বলতে দেখা গেল প্রকাশ-কন্যাকে।
ভিডিয়োয় অমিতাভ তাঁর অতিথিদের কাছে এই খেলায় অংশ নেওয়ার কারণ জানতে চান। দীপিকার জীবনের একটি দীর্ঘ সময় মানসিক অবসাদে কেটেছে। অমিতাভের প্রশ্নের উত্তরে নিজের জীবনের সেই সময়ের কথা বলেন তিনি। অবসাদ কাটিয়ে ওঠার পরেই তিনি একটি সংগঠন তৈরি করেন, যার সূত্রে তিনি মানসিক অসুস্থতা এবং সার্বিক ভাবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছেন। নিজের জীবনের সেই কঠিন সময়ের কথা বলতে গিয়ে দীপিকা বলেন, “কাজে যেতে ইচ্ছে করত না আমার। কোথাও যাওয়ার, কারও সঙ্গে দেখা করার কোনও ইচ্ছে ছিল না। জানি না আমার এইটা বলা উচিত হবে কি না, কিন্তু নিজের মধ্যে বার বার বেঁচে থাকার তাগিদের অভাব অনুভব করেছি আমি।”
দীপিকা সেই সময়ে ফারহা খানের সঙ্গে ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’-এ কাজ করছিলেন। ফারহা দীপিকার কথা শুনে বলেন যে তাঁর কোনও ধারণাই ছিল না যে দীপিকা তখন এত কিছুর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন। অমিতাভ বলেন, “আমরা আশা করব যে এই রকম অধ্যায় যেন তোমার জীবনে আবার কখনও না আসে।” বিগ বি-র মতে, নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জনসমক্ষে বলে দীপিকা আরও অনেক অবসাদগ্রস্ত মানুষদের প্রেরণা জুগিয়েছেন।
অন্যদিকে অমিতাভের প্রশ্নের উত্তরে ফারহা বলেন যে তিনি ১৭ মাসের এক শিশুর চিকিত্সার জন্য অর্থ সংগ্রহ করছেন। বাচ্চাটির নাম অয়াংশ, ‘স্পাইনাল মাসকুলার অ্যাট্রোফি’ নামের একটি বিরল রোগে সে আক্রান্ত। যার জন্য ১৬ কোটির একটি ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন। এই কথা শুনে অমিতাভ নিজেও ব্যক্তিগত ভাবে দানের ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy