শুটিংয়ে আবীর-রুক্মিণী। ছবি: স্বপ্নিল সরকার
ছাদভর্তি লোক, হুল্লোড়-হইচই! দৃশ্যটা পার্টির, তাই ক্যামেরা রোল করতেই ঠান্ডার কাঁপুনি উপেক্ষা করে চনমনে এক্সপ্রেশন দিচ্ছেন সকলে। এ ছবি অনেকের ক্ষেত্রেই প্রথম অভিজ্ঞতা। দেব ছাড়া রুক্মিণীর প্রথম কাজ, তা-ও আবার জিতের প্রযোজনায়। আবীর চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর জুটিও নতুন। শৌভিক কুণ্ডুরও প্রথম ছবি। কাজেই অনেক ‘এনজি’র পর একটা করে শট ‘ওকে’ হচ্ছে। দক্ষিণ কলকাতার এক বহুতলের ছাদে যখন ‘সুইৎজ়ারল্যান্ড’ ছবির শুটিং চলছে পুরোদমে, ঘড়ির কাঁটা তখন গড়িয়ে মধ্যরাত। শিডিউলের চাপে সর্দি-জ্বরে কাবু সেটের প্রায় সকলেই। তাই নিয়েই রাতভর চলছে শুটিং।
নাচের তালে আবীর-রুক্মিণীকে পা মেলাতে দেখে যেটা মাথায় ঘুরছিল, সেই সন্দেহটা প্রথমেই নস্যাৎ করে দিলেন ছবির নায়ক। ‘‘এটা কিন্তু একেবারেই নাচ-গানের ছবি নয়। বাঙালি মধ্যবিত্তের স্বপ্ন দেখা আর সেই স্বপ্ন সত্যি করার গল্প,’’ বললেন আবীর। এ ছবিতে তিনি শিবাশিস, পেশায় সেলস পার্সন। স্ত্রী রুমি (রুক্মিণীর চরিত্র) স্কুলে পড়ায়। দুই মেয়ে নিয়ে হাসিখুশি পরিবার। তাদের কাছে ভাল থাকার মানে একটা ভাল জায়গায় বেড়াতে যাওয়া। শেষ পর্যন্ত কি সুইৎজ়ারল্যান্ড যাওয়াটা হবে? পরিচালক শৌভিক জানালেন, ‘‘জিৎদার কাছ থেকে একটা গ্রিন সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছে, দেখা যাক।’’ শেষটা এখনই ভাঙতে নারাজ রুক্মিণীও। এই প্রথম অন্য কোনও নায়কের সঙ্গে জুটি বাঁধার অভিজ্ঞতা কেমন? ‘‘আবীরদাকে দেখে প্রথমে মনে হত, খুব সিরিয়াস টাইপের। মহরতের দিনেও খুব একটা কথাবার্তা হয়নি। ও শুধু আমাকে বলেছিল, ‘সেটে কিন্তু আমি টিমপ্লেয়ার।’ পরে দেখলাম, সত্যিই তাই। সিনিয়র হিসেবে আমাকে তো হেল্প করেছেই, শৌভিক নতুন বলে ওকেও গাইড করেছে। এই রে, ‘সিনিয়র’ বললে আবার রেগে যাবে হয়তো,’’ সতর্ক রুক্মিণী। আবীর অবশ্য নিজেকে ‘সিনিয়র’ বলেই শুরু করলেন নায়িকার তারিফ, ‘‘সিনিয়র হিসেবে ওকে কমফর্টেবল করে তোলাটা আমার বাড়তি দায়িত্ব ছিলই। শেখার ভীষণ আগ্রহ রয়েছে,।’’ রুক্মিণী হেসে বললেন, ‘‘আবীরদা কিন্তু লেগ পুল-টুল করছে না। এখনও আলাপ ততটা জমেনি বলেই বোধহয়।’’
ছোট পর্দায় ‘কাদের কূলের বৌ’ পরিচালনা দিয়ে শুরু শৌভিকের। জিতের প্রযোজনায় ‘শেষ থেকে শুরু’ এবং ‘বাচ্চা শ্বশুর’-এর প্রস্তাব পেয়েও করা হয়নি রুক্মিণীর। এ বারের প্রস্তাব পেয়ে তাই ছাড়তে চাননি নায়িকা। দেব কী বললেন? ‘‘ইন্ডাস্ট্রিতে দেব ছাড়া আর কেউ নেই, যার কাছে আমি গাইডেন্স চাইতে পারি,’’ বললেন রুক্মিণী। সপ্তাহখানেকের কাজ বাকি ছবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy