মুম্বইয়ে বাজার করতে ব্যস্ত দর্শনা। —নিজস্ব চিত্র।
মুম্বই এসেছিলাম কাজে। মার্চের মাঝামাঝি। ভেবেছিলাম কাজ শেষ হতেই কলকাতা ফিরে যাব। তখনও করোনা এতটা থাবা বসাতে পারেনি এখানে। এদিক ওদিক নতুন সংক্রমণ শোনা যাচ্ছিল ঠিকই, কিন্তু ভয়াবহতা এতটা ছিল না।
বাবা, দাদা-বৌদি সবাই খুব চিন্তা করছিল। বলেছিলাম ২৫-২৬ এর মধ্যেই ফিরে যাব। সেই মতোই প্ল্যান করছিলাম। ২৪মার্চ। ঘোষণা হল রাত ১২টা থেকে সারা দেশ জুড়ে লকডাউন।
আমার মাথায় হাত। বাড়ি থেকে বারবার ফোন আসছিল। না, আমার বাড়ি ফেরা হল না। লকডাউনের ১৪দিন কেটে গেছে। আমি দর্শনা বণিক, আটকে রয়েছি এখানেই।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় ইমিউনিটি বাড়ানোর গোপন ফর্মুলা ভক্তদের জন্য ফাঁস করলেন সোনালি বেন্দ্রে
জানেনই তো, মুম্বইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা সব চেয়ে বেশি। বার বার করে ফোন করছে বাড়ি থেকে। বুঝি ওদেরও চিন্তা হয়। আমার নিজেরও কি চিন্তা হচ্ছে না? খুব হচ্ছে। এ ভাবে তো আগে দেখিনি চারপাশটাকে।
দোকান পাট বন্ধ। যাকেই দেখছি মুখ ঢেকেছে মাস্কে। 'আ সিটি হুইচ নেভার স্লিপস'- আজ কেমন যেন ঘুমিয়ে পড়েছে।
ঘরে বসেই বানিয়ে ফেললাম ফেসপ্যাক। —নিজস্ব চিত্র
এরই মধ্যে বাজার যাচ্ছি। নিজেই রোজের জিনিসপত্র কিনে আনছি। এখন হাতে একরাশ অলস অবকাশ। বই পড়ছি। এই যেমন সেদিন, কী করব ভাবতে ভাবতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেললাম ফেস প্যাক। ঘরে যা ছিল তাই দিয়েই....
আরও পড়ুন: শেফালি শাহের ফেসবুক জানাচ্ছে তাঁর পরিবার করোনায় আক্রান্ত!
হলুদ গুড়ো, নিমের গুড়ো আর মুলতানি মাটি নিলাম। একটু জল মেশালাম।ব্যস, আমার ফেসপ্যাক তৈরি। একটু ফ্রেশ লাগছিল। খবর খুললেই খালি মৃত্যু মিছিল, হাহাকার। আচমকা সব কেমন বদলে গেল। আপনারা সবাই সুস্থ থাকবেন। বাইরে বেরোবেন না। আর তো কটা দিন। আপনাদের দর্শনা এখন বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়.....
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy