মাথার উপরে উদার নীলাকাশ। নীচে অনন্ত সমুদ্র। উন্মুক্ত বালুকাবেলায় বেলে পাথরের মন্দির। সন্ধ্যায় আলো জ্বলে উঠলেই এক অলৌকিক সৌন্দর্য ঘিরে ধরে তাকে। আনন্দবাজার ডট কমের কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্ত্বাবধানে তৈরি দিঘার জগন্নাথদেবের মন্দিরের এমনই বর্ণনা দিলেন সুরকার-শিল্পী জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছেন বাংলা বিনোদন দুনিয়ার একঝাঁক শিল্পী। বুধবার, অক্ষয়তৃতীয়ায় জগন্নাথদেবের মন্দিরের দ্বারোদ্ঘাটন। মঙ্গলবার দুপুরে মন্দিরে যজ্ঞ হবে।
জিৎ ছাড়াও দিঘায় পৌঁছে গিয়েছেন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়, সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী, পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল, বিধায়ক-অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী, প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা প্রমুখ। জিতের মতে, চোখ জুড়ানো মন্দির তৈরি হয়েছে জগন্নাথদেবের। তাঁর কথায়, “মন্দির দেখে মনে হচ্ছে, যেন এক টুকরো স্বর্গ নেমে এসেছে সমুদ্রতীরে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রাজ্যবাসীর কৃতজ্ঞ থাকা উচিত।”
আরও পড়ুন:
মহড়ার ফাঁকেই জিৎ ঘুরে দেখে এসেছেন দিঘার জগন্নাথদেবের মন্দির। তাঁর বর্ণনায়, “অপূর্ব সূক্ষ্ম কারুকাজ মন্দিরের গায়ে। বেলেপাথর দিয়ে তৈরি হওয়ায় মন্দিরের সৌন্দর্য যেন কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। মেঝে তৈরি হয়েছে দুধসাদা মার্বেলপাথর দিয়ে। সন্ধ্যায় মন্দির সেজে উঠবে নানা আলোকমালায়।”
বুধবারের বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মহড়ায় ব্যস্ত শিল্পীরা। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তার তদারকি করছেন মুখ্যমন্ত্রী। জিৎ জানিয়েছেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা দু’টি গান গাইবেন— ‘এই পৃথিবী’ আর ‘উৎসব’। দু’টি গানের সুরকার জিৎ স্বয়ং। ডোনা জানিয়েছেন, বুধবার তিনি তাঁর নাচের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘দীক্ষামঞ্জরী’র ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে জগন্নাথদেবের উদ্দেশে নৃত্য পরিবেশন করবেন।