মানহানির মামলায় জড়ালেন মুম্বইয়ের কৌতুক শিল্পী সুনীল পাল। এফআইআর করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনার সূত্রপাত, তাঁর করা একটি ভিডিয়ো। যেখানে তাঁর বক্তব্য ছিল, কোভিড চিকিৎসকেরা শয়তানের পোশাক পরে রোগীদের ভয় দেখাচ্ছেন দিনরাত্রি। শুধু তা-ই নয়, সুনীলের দাবি, রোগীদের থেকে প্রচুর টাকা নিচ্ছেন। শেষে ভয়ের চোটে মারা যাচ্ছেন রোগীরা। সুনীল চিকিৎসকদের চোর অপবাদও দিয়েছেন। ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তা চোখে পড়ে মুম্বইয়ের চিকিৎসকদের এক সংগঠনের।
২০ এপ্রিলের এই ভিডিয়োটি সম্পর্কে সংগঠনের সদস্য চিকিৎসক সুস্মিতা ভটনাগর বলেছেন, ‘‘নেটমাধ্যমে অপমানজনক একটি ভিডিয়ো প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে বক্তা দাবি করেছেন, ৯০ শতাংশ চিকিৎসক চোর। তাঁরা কোভিড পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এবং চিকিত্সার অজুহাতে দরিদ্র মানুষের থেকে টাকা নিচ্ছে।’’ চিকিৎসক এক এক করে সুনীলের সমস্ত বক্তব্যকে তুলে ধরেছেন। সুনীলের কথায়, ‘‘৯০ শতাংশ চিকিৎসক শয়তানের পোশাক পরে রয়েছেন।’’ কেবল তা-ই নয়, শয়তানের সন্তান বলা হয়েছে। তাঁর দাবি, পিপিই পোশাকে রোগীদের ভয় দেখানো হচ্ছে এবং সন্ধ্যায় সেই রোগী মারা যাচ্ছেন। চিকিৎসক বললেন, ‘‘ভিডিয়োয় বক্তা জানিয়েছেন, অঙ্গ কেলেঙ্কারিতে জড়িত রয়েছেন চিকিৎসকেরা।’’
অন্ধেরি থানার পুলিশ আধিকারিক এফআইআর হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছেন। সুনীলের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০০ (মানহানি) এবং ৫০৫ (২) ধারায় মামলা করা হয়েছে। এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। অন্য এক পুলিশকর্তা বলেছেন, ‘‘প্রমাণ সংগ্রহের পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
যদিও সুনীল এই খবরটিকে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘‘আমার কাছে কোনও নোটিস আসেনি পুলিশের তরফে।’’ সঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, তিনি তাঁর বক্তব্যে অনড়। কিন্তু তিনি আরও একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছিলেন, যেখানে তাঁর বক্তব্য ছিল, ‘‘যদি আমার কথায় কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তা হলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি সমস্ত চিকিৎসকের কথা বলিনি। ৯০ শতাংশের কথা বলেছি।’’ সুনীলের দাবি, যে চিকিৎসক এ সবের সঙ্গে জড়িত নন, সত্যিই মানুষের সেবা করতে চান, তার এই কথায় খারাপ লাগার কথা নয়।