বিক্রম চট্টোপাধ্যায়। ছবি ইনস্টাগ্রাম।
বেড়াতে আমি বড্ড ভালবাসি। আমার উৎসব মানে ছুটি, আর ছুটি মানে পায়ের তলার সর্ষেফুলগুলোর নড়েচড়ে বসা। তাদের কথা মেনেই বেড়িয়ে পড়ি প্রতি বার। আর বড়দিন মানে তো শুধু বড়দিন নয়। সঙ্গে বছর শেষের উপলক্ষও আছে। সব মিলিয়ে বেশ আট বা ন’দিনের টানা ছুটি। শহরে থেকে দিনগুলো নষ্ট করতে চাইনি।
ছবির শ্যুটিং চলছে। তারই মাঝে বিরতি নিয়ে বড়দিনের সকালেই বিমানে চড়ে বসেছি। চলে এসেছি সমুদ্রে। সঙ্গে কয়েক জন বন্ধুবান্ধব আছে।
২০-২১ বছর বয়স থেকেই আমি একা বেড়াতে যাই। কোথায় যাচ্ছি, কবে ফিরব, কোথায় ফিরব, পরিবারকেও বলে যাই না। ছেলের এই রহস্যের সঙ্গে বাড়ির লোকেরাও ঘর করে ফেলেছে অনেক দিন। তাই আর জিজ্ঞাসাও করে না। বাড়ি ফিরে এসে সবাইকে বলি। বেড়ানোর গল্প শোনাই। ঠিক তেমনই এ বারও ভ্রমণসঙ্গীরা ছাড়া আমাদের গন্তব্যের কথা কেউ জানে না। ফিরে গিয়ে সবাইকে বলব।
বড়দিনে সবাই পার্টি করে। আমরা সমুদ্রের ধারে বসে গানবাজনা করব পঁচিশে ডিসেম্বরের উৎসব-রাতে। ভাল খাবারদাবার থাকবে। আর থাকবে গিটার, উকুলেলে। আমি টুকটাক বাজাতে পারি। কিন্তু আমার বন্ধুরা এক এক জন শিল্পী! সব মিলিয়ে শীত-উৎসবটা এ বার মন্দ কাটবে না মনে হচ্ছে। নতুন বছর শুরু হতেই ফের রওনা দেব শহরের দিকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy