বড়দিনের অপেক্ষায় ‘প্রেম টেম’-এর রাজি।
সারা বছর বড়দিনের জন্য অপেক্ষা করি। মনে হয়, নিজেকে নতুন ভাবে খুঁজে পাই ওই দিনটায়। সে দিন আমি আর সুস্মিতা নই। আমি ‘সান্তা’ মানে ‘সান্তাক্লজ’।
প্রত্যেক বছর বড়দিনে আমি নিজের হাতে কেক বানাই। এর পর ‘সান্তা’ টুপি পরে চলে যাই কোনও একটা অনাথ আশ্রমে। ওখানে আমার অনেক ছোট ছোট বন্ধু আছে। নিজের হাতে তৈরি কেক খাওয়াই ওদের। সেই কেক খেয়ে যখন ওরা খুশি হয়, খিলখিল করে হেসে ওঠে, মনে হয় যেন সব চেয়ে বড় উপহারটা পেয়ে গিয়েছি। অদ্ভুত একটা আনন্দ ঢেউ খেলে যায় শরীরে।
এই বছরও আনন্দ কিছু কম নয়। কুলটি থেকে মা-বাবা বড়দিনে কলকাতায় আসবে আমার কাছে। কবে থেকে দিন গুনে চলেছি! প্রথমে পড়াশোনা, তার পর কাজ। সেই কবে থেকেই কলকাতা আমার ঘরবাড়ি। এই উৎসবের দিনগুলোতেই কাছে পাই মা-বাবাকে। যখন স্কুলে পড়তাম, ওরাই ছিল আমার ‘সান্তা’। কত রকমের যে উপহার দিত! এ বার কিন্তু পালা বদলের পালা। এ বছর আমিই ওদের ‘সান্তা’। মা-বাবাকে অনেক অনেক উপহার দেব। ঘুরে বেড়াব ওদের নিয়ে।
অভিনেত্রী হওয়ার পরে জীবন খানিক বদলেছে। তবে বদলায়নি ইচ্ছেগুলো। আগাগোড়াই বড়দিনে আমার আলো জ্বলা হেয়ার ব্যান্ড পরতে খুব ভাল লাগে। এ বছরেও পরব। ভেবেই রেখেছি মিনি মাউজের কানওয়ালা হেয়ারব্যান্ড পরব। আর শুধু পরবই না, পরে ছবিও দেব!
গত বছরের বড়দিনের কথা মনে পড়ছে বেশ। আমার প্রথম ছবি ‘প্রেম টেম’ মুক্তি পায়নি তখনও। অভিনয় জগতের সঙ্গে পরিচয় হচ্ছিল একটু একটু করে। বছর ঘুরল। আরও একটা বড়দিন চলে এল। এখন আমাকে অনেকেই চেনেন। তাঁরা আমাকে ভালবাসেন। এমনকি আমার জন্য প্রচুর উপহারও পাঠিয়েছেন। এর থেকে বেশি আর কী বা চাইতে পারি!
রাত পোহালেই বড়দিন। অপেক্ষা করছি। গির্জায় যাব। সারা বছরে কী ঠিক করলাম আর কী ভুল— সে সব কিছুর হিসেব দেব ‘বার্থ ডে বয়’কে!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy