চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
জি বাংলার চ্যাট শো ‘অপুর সংসার’-এ অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। টলিউড নিয়ে হরেক গপ্পোর ফাঁকেই হঠাৎ সঞ্চালক শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের বাউন্সার! বাংলা বিনোদন দুনিয়া বলে, একটা দীর্ঘ সময় প্রসেনজিৎ একাই টলিউডকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন। চিরঞ্জিৎ কী বলেন? জবাবে বরাবরের স্পষ্টভাষী বিধায়ক-তারকার পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘৩০ বছর। তখন মিঠুন ছিলেন না? ভিক্টর ছিলেন না? তাপস, অভিষেক, আমি ছিলাম না? আমরা কি তা হলে পার্শ্ব অভিনেতা ছিলাম?’’
উত্তরে সঞ্চালকের ছোট্ট জবাব, ‘‘না।’’ সঙ্গে সঙ্গে আবারও প্রশ্ন ছুড়েছেন ‘বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না’র ‘রাজকুমার’— ‘‘তা হলে কী করে একা ৩০ বছর টানল?’’ পরে অবশ্য অভিনেতার ব্যাখ্যা, এই সংলাপ সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘অটোগ্রাফ’ ছবির। ছবি এবং ছবির সংলাপ মারাত্মক জনপ্রিয়। ছবিতে প্রসেনজিৎ ওরফে ‘অরুণ চট্টোপাধ্যায়’ প্রথম ‘ইন্ডাস্ট্রি’ শব্দটি উচ্চারণ করেছিলেন। পরে সেটি লোকের মুখে মুখে ফেরে। পর্দার ‘জাতিস্মর’-এর প্রতিভা নিয়েও কোনও সন্দেহ নেই বর্ষীয়ান অভিনেতার।
পর্দার ‘প্রতীক’ অকপটে মেনে নিয়েছেন, প্রসেনজিতের মতো করে টলিউডকে কেউ জানে না, চেনেও না। একই সঙ্গে তিনি ‘প্রভাবশালী’, বাংলা বিনোদন দুনিয়ায় প্রভাব বিস্তার করেন— এ কথাও জানাতে ভোলেননি। চিরঞ্জিতের যুক্তি, ‘প্রভাবশালী’ বলেই নাকি কেউ তাঁর সামনে চট করে তাঁর ভাল-মন্দ নিয়ে কথা বলার সাহস রাখেন না!
শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভ আড্ডা ‘অ-জানাকথা’র অতিথি ছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তখন এই প্রশ্ন করা হয়েছিল খোদ ‘বুম্বাদা’কেও। তিনি কি নিজেকে ‘ইন্ডাস্ট্রি’ মনে করেন? কী জবাব ছিল তাঁর? আড্ডায় তিনিও প্রশ্ন ফিরিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, কেউ কোনও দিন ‘ইন্ডাস্ট্রি’ হতে পারে? একা এক জনের পক্ষে কি ‘ইন্ডাস্ট্রি’ হওয়া সম্ভব? তাঁর কথায়, ‘‘কাজ করতে করতে আস্তে আস্তে আমার দায়িত্ব বেড়েছে। সে সব সামলাতে গিয়ে আমি সিইও-র চেয়ারে। একটি সংস্থাকে দাঁড় করাতে গেলে এক জন সিইও যা যা করেন, সেগুলোই করার চেষ্টা করে এসেছি। কখনও বলতে পারি, আমি ‘ইন্ডাস্ট্রি’? আমি টলিউডের সিইও।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy