কঙ্গনা রানাউত ও চিরাগ পাসওয়ান। ছবি: সংগৃহীত।
এককালে পর্দায় জুটি বেঁধেছিলেন কঙ্গনা রানাউত ও চিরাগ পাসোয়ান। ১৩ বছর পর রাজনীতির ময়দানে ফের দেখা দু’জনের। ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে দু’জনেই এখন রয়েছেন সাংসদ পদে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে কথা বলেন চিরাগ।
২০১১ সালে ‘মিলে না মিলে হম’ ছবিতে জুটি বেঁধেছিলেন কঙ্গনা ও চিরাগ। কিন্তু অভিনয় নিয়ে সেই ভাবে আর এগোতে পারেননি হাজিপুরের লোক জনশক্তি পার্টির সাংসদ। চিরাগ নিজেই জানিয়েছেন, একটা সময়ের পরে বুঝতে পেরেছিলেন, অভিনয়ে তিনি পারদর্শী নন। তিনি বলেন, “আমার সাত পুরুষে কারও অভিনয়ের সঙ্গে কোনও সংযোগ ছিল না। বংশে আমিই প্রথম অভিনয়ের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু দ্রুত বুঝতে পারি, আমার দ্বারা হচ্ছে না। দর্শক বোঝার আগেই আমি বুঝি, অভিনয় পারব না। অভিনয় করতে পারি না, এটা বোঝার জন্যই হয়তো এই দুনিয়ায় এসেছিলাম।”
অভিনয় ছেড়ে রাজনীতিতে মন দেন রামবিলাস পাসোয়ানের ছেলে চিরাগ। তবে অভিনয়ে এসে একটি বড় প্রাপ্তি হয়েছে বলে মনে করেন চিরাগ। তিনি জানান এই জগতে এসেছিলেন বলেই তিনি কঙ্গনা রানাউতের মতো বন্ধু পেয়েছিলেন। চিরাগের কথায়, “অভিনয়ের চেষ্টা করে একটিই লাভ হয়েছে আমার। আমি আর কঙ্গনা খুব ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। সেই সময় থেকে আমরা বন্ধুত্ব বজায় রেখেছি। আমি সত্যিই চাইছিলাম, সংসদে কঙ্গনার সঙ্গে দেখা হোক। কারণ, গত কয়েক বছরের ব্যস্ততায় ওঁর সঙ্গে যোগাযোগ কমে গিয়েছিল।”
শেষ পর্যন্ত আশা পূরণ হয়েছে চিরাগের। এত বছর পর পরস্পরকে দেখে উচ্ছ্বসিত ছিলেন কঙ্গনা-চিরাগ। রাজনীতিতে আসার জন্য কি কঙ্গনাকে কোনও পরামর্শ দিয়েছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে চিরাগ বলেন, “কঙ্গনার কোনও পরামর্শের প্রয়োজন নেই।” অভিনেত্রী তথা মন্ডীর সাংসদ সম্পর্কে তিনি বলেন, “একটা বিষয় আমার কাছে পরিষ্কার। কঙ্গনা সব দিক বাঁচিয়ে কথা বলার দায় রাখেন না ঠিকই, তবে সেই কারণেই মানুষ ওঁকে পছন্দ করেন। কঙ্গনা জানেন, ওঁর কখন কী বলা উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy