‘কারাগার’ সিরিজের প্রথম কিস্তিতেই বাজিমাত চঞ্চলের।
ছোট খোঁচা খোঁচা চুল, কঙ্কালসার চেহারায় চটের তৈরি কয়েদিদের পোশাক, ভাঙা গাল— চঞ্চল চৌধুরীর এই চেহারাই এখন ভাসছে দর্শকের সামনে। ‘কারাগার’ সিরিজের প্রথম কিস্তিতেই বাজিমাত এই চঞ্চলের। দুই বাংলা জুড়ে খ্যাতির চূড়ায় অভিনেতা। দুই বাংলার প্রিয় অভিনেতা চঞ্চলকে এ বার পাওয়া গেল আনন্দবাজার অনলাইনের শুক্রবারের ফেসবুক এবং ইউটিউব লাইভ অনুষ্ঠান ‘অ-জানাকথা’য়।
যাঁর অভিনয়ে সকলে মুগ্ধ, তাঁর ঝুলিতে মোট ছবির সংখ্যা কিন্তু খুব একটা বেশি নয়। কারণ তিনি ছবি বাছাই নিয়ে খুবই খুঁতখুঁতে। পরিচালক দেখেন, গল্প দেখেন, সহ-অভিনেতা কারা, তা-ও দেখেন। সব মনোমতো হলে তবেই কোনও ছবি করতে রাজি হন। কিন্তু এত খুঁতখুঁতে হলে কি ছবির নায়ক হওয়া সম্ভব? বাকি অভিনেতাদের মতো তাঁর কি কোনও রকম বাসনা নেই ‘হিরো’ হওয়ার? উত্তরে তিনি জানান, এমন বাসনা তাঁর কখনওই ছিল না। তিনি বলেন, ‘‘আমি যে অভিনয় করব, সেটাই কখনও ভাবিনি। চারুকলায় পড়াশোনা করেছি। সেকেন্ড ইয়ারে পড়ার সময় মামন রসিদের ‘আরণ্যক’ নাট্যদলে আমি নাট্যকর্মী হিসাবে মঞ্চের পিছনে কাজ শুরু করি। আর্ট কলেজে পড়তাম বলে মঞ্চের সেট ডিজাইন, আলো, প্রপ্সের মতো দিকগুলো নিয়ে দীর্ঘ দিন কাজ করতাম। মঞ্চের সামনে অভিনয় করার কথা স্বপ্নেও ভাবিনি। কিন্তু যখন শুরু করলাম, তখন ছোট পর্দা বা বিজ্ঞাপনের কিছু কাজ খুব জনপ্রিয় হল। তার পর যখন সিনেমা শুরু করলাম, তখন ছোট পর্দার কাজ কমে গেল। ‘মনপুরা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলাম, যা বাংলাদেশে বিপুল হিট হয়েছিল। বহু বছর পর দর্শক হলে গিয়েছিলেন। তার পর থেকে দেখা গেল আমি ক্যামেরার সামনের মানুষই হয়ে গেলাম।
অভিনেতা হওয়ার চেষ্টা করেছি... নায়ক টার্মটা আমায় কখনও খুব একটা টানেনি। বরং চরিত্রাভিনেতা হিসাবে কাজ করতেই বেশি ইচ্ছুক ছিলাম। কারণ নায়কের মৃত্যু হয়। একটা বয়স গেলে চুল পেকে যায়, চামড়া ঝুলে যায়, তখন আর নায়ক হিসাবে কেউ তাঁকে দেখতে চান না। কিন্তু তিনি যদি অভিনয় করতে পারেন, তাহলে বয়সের জন্য কিছু আটকে থাকে না। তিনি আমৃত্যু কাজ করে যেতে পারেন। সে আমাদের দেশে হোক, আপনাদের দেশে হোক, বা পৃথিবী জুড়ে।’’
সেই ভাবনা থেকেই চঞ্চল নিজেকে অভিনয় শিল্পী হিসাবে গড়ে তুলতে চেয়েছেন। অভিনয় তাঁর কাছে প্রেম-ভালবাসা-রুজি-রুটি সব কিছুই। অভিনয়ের পুরোটাই তাঁর মঞ্চ থেকে শেখা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy