বকেয়া বেতন আদায় করতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন জেসন গিলেসপি। ২০২৪ সালে দু’বছরের জন্য পাকিস্তানের টেস্ট কোচ হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন জোরে বোলার। বেতন বাবদ পাওনা টাকা দাবি করেছিলেন তিনি। পিসিবি বকেয়া মেটাতে অস্বীকার করায় আইনি পথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গিলেসপি।
কয়েক দিন আগে গিলেসপি অভিযোগ করেন, পিসিবির কাছ থেকে বেতন বাবদ টাকা পাওনা রয়েছে তাঁর। সৌজন্য বজায় রেখে তিনি বলেছিলেন, ‘‘বিস্তারিত বলতে চাই না। অপেক্ষা করছি। পারিশ্রমিক বাবদ কিছু টাকা পাওনা রয়েছে আমার।’’ একই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে। তাঁর এই দাবি উড়িয়ে দেন পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তারা। পিসিবি বিবৃতি দিয়ে জানায়, ‘‘গিলেসপি চুক্তি অনুযায়ী চার মাসের নোটিস না দিয়ে হঠাৎ দায়িত্ব ছেড়ে দেন। যা পরিষ্কার একতরফা চুক্তিভঙ্গ। চুক্তিতে স্পষ্ট বলা ছিল, দু’পক্ষকেই চার মাসের নোটিস দিতে হবে দায়িত্ব ছাড়ার বা সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে। কোচও বিষয়টি জানতেন।’’
নোটিস না দিয়ে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ায় গিলেসপির কোনও বকেয়া নেই বলে দাবি করা হয় পিসিবির পক্ষ থেকে। পাকিস্তানের ক্রিকেট কর্তাদের মনোভাব বুঝে আইনি রাস্তায় হাঁটার কথা ভেবেছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) কাছেও পিসিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমকে গিলেসপি জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ় এবং অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ়ের বেতন পাননি। দুই সিরিজ় জয়ের জন্য বোনাসও দেয়নি পিসিবি। প্রাপ্য টাকা না দেওয়া হলে আইনি সাহায্য নেবেন। কারণ তিনি নিশ্চিত নন, এমন ক্ষেত্রে আইসিসির করণীয় কিছু আছে কি না।
সাদা বলের কোচ গ্যারি কারস্টেনের ইস্তফা দেওয়ার পর পাকিস্তানের এক দিনের দলের দায়িত্বও সামলাতে হয় গিলেসপিকে, যা তাঁর চুক্তিতে ছিল না। পরিস্থিতি সামলাতে পিসিবির অনুরোধ ফেরাননি সে সময়। পরে বেশ কিছু ব্যাপারে মতবিরোধ হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের আগে ইস্তফা দিয়েছিলেন ৫০ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেটার।