‘পিয়া রে’-এর লুকে শ্রাবন্তী।
রাত ৮টা। কলকাতার পাঁচতারা হোটেলের ঘর। পর পর সাক্ষাত্কার দিচ্ছেন শ্রাবন্তী। চলছে আসন্ন ছবি ‘পিয়া রে’-র প্রোমোশন। ঘরে ঢুকে দেখলাম সোফায় বসে স্যান্ডউইচ খাচ্ছেন নায়িকা।
‘‘এত খিদে পেয়েছে, খেতে খেতে কথা বলি?’’ বললেন শ্রাবন্তী।
নিশ্চয়ই…
সোহমের সঙ্গে ‘পিয়া রে’ আপনার কত নম্বর ছবি?
চার বা পাঁচ হবে বোধহয়।
পরিচালক, অর্থাত্ অভিমন্যু মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কি প্রথম কাজ?
হ্যাঁ, এটা প্রথম কাজ। আর একটা ছবি ‘গুগলি’ও কমপ্লিট করলাম। কিন্ত অভিদা আমার ভীষণ ফেভারিট হয়ে গিয়েছে। ও যদি এর পর প্রত্যেকটা ছবিতে কাস্ট করে, প্রত্যেকটা করতে চাই (হা হা হা…)।
বাহ! প্রথম ছবিতেই এত ভাল রিলেশন…
আসলে অভিদার এত সুন্দর ব্যবহার, এত ভাল ম্যানেজ করতে পারে সবাইকে। পুরো টিম ওর পাশে আছি। টেকনিক্যালি খুব সাউন্ড। তাড়াতাড়ি কাজ করে। যেটা দরকার সেটাই নেবে। সোজা কথা, পাকামো করে না। অভিদার টিমটা খুব স্পোর্টি। খুব মজা করেছি শুটিংয়ে।
আরও পড়ুন, নওয়াজের সঙ্গে যৌন দৃশ্য ভাইরাল, কী বলছেন ঈশিকা?
যেমন?
কলকাতায় যখন শুটিং করেছি এক এক দিন এক এক জনের বাড়ি থেকে খাবার আসত। আমরা রীতিমতো পিকনিক করতাম। লাঞ্চ করতাম একসঙ্গে। কে ছোট, কে বড় ও সব কিছু না। এই বন্ডিংটা অভিদার টিমে পেয়েছি।
‘পিয়া রে’-র গল্পটা কেমন?
এটা ভালবাসার ছবি। ‘অমানুষ’-এর পর সোহম শ্রাবন্তীকে আবার এমন চরিত্রে দেখা যাবে যেখানে দু’জনেই দু’জনকে ভালবাসে। তার পর কী টালমাটাল আছে সেটা সিনেমা হলে গিয়ে দেখতে হবে।
আরও পড়ুন, কাস্টিং কাউচের জন্য কিছু বড় ব্যানারের ছবি চলে গিয়েছে, বিস্ফোরক সৌমিলি
আর আপনার চরিত্র?
আমার চরিত্রের নাম রিয়া। বস্তিতে থাকে। ডিগ্ল্যাম লুক। আমার দাদার চরিত্রে রয়েছে কাঞ্চনদা। ওর চরিত্রটা কিন্তু একদম কমেডি নেই। ও গুন্ডা। বোনকে মারধর করে। রিয়ার বাবা নেই। মা কাজকর্ম করে সংসার চালায়। রিয়া ভালবাসতেও ভয় পায়। কমিটমেন্টে যেতে ভয় পায়। কিন্তু মেয়ে তো আফটার অল। ভালবাসতে চায়। সেখানে রবি (সোহমের অভিনীত চরিত্র) ওর পাশে এসে দাঁড়ায়। আর এক জনের কথা বলতে চাইব, সোমরাজ। প্রথম বার কাজ করেছে। খুব ভাল কাজ করেছে। কোথাও একটা ট্রায়াঙ্গেল লভ স্টোরিও হয়।
রিয়ার সঙ্গে শ্রাবন্তীর মিল কোথায়?
রিয়া ইমোশনাল, শ্রাবন্তীও তাই। আমি একটু তার কাটা আছি।
আর প্রেম?
এখন সিনেমার প্রেমে আছি। বাংলা ছবির প্রেমে বলতে পারেন।
‘পিয়া রে’-এর দৃশ্যে সোহম-শ্রাবন্তী।
পুরনো সম্পর্কগুলো থেকে কী শিখলেন?
ধুর, ও সব নিয়ে ভাবি না। মেমরি থেকে সরিয়ে দিই। আমি প্রেজেন্টে বিশ্বাস করি। ফিউচার নিয়ে ভাবি। যে সব খারাপ লাগা এসেছে সেগুলো জাস্ট ইরেজ।
কেরিয়ারে কোনও রিগ্রেট আছে?
না! আমি কোনও কিছুতে রিগ্রেট করি না। আমি মনে করি ভগবান আমাকে যথেষ্ট দিয়েছেন। শুধু ভাল কাজ করতে চাই, ভাল ব্যবহার করতে চাই, ভাল মানুষ হতে চাই। যা হয় কপালে লেখা থাকে। আমরা শুধু মাধ্যম। আমার পুরো পরিবার কৃষ্ণ ভক্ত। ফলে ছোট থেকেই ভগবানের ওপর বিশ্বাস রাখি।
আরও পড়ুন, ‘যেখানে প্রোমোশনের সুযোগ থাকে, সেখানেই হয়তো কাস্টিং কাউচ আছে’
এখনও পর্যন্ত অনেক পরিচালকের সঙ্গেই কাজ করেছেন। আবার অনেকের সঙ্গেই কাজ করা হয়নি তো…
হুম। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে সিরিয়াল করেছি। সিনেমা করিনি। গৌতম ঘোষ, অঞ্জনদা, রাজা চন্দ— এঁদের সঙ্গে আমি কাজ করতে চাই।
বলেছেন কখনও এঁদের?
দেখা হলেই বলি। কবে আমরা একসঙ্গে কাজ করছি? কৌশিকদার সঙ্গে একটা কাজ ডেট প্রবলেমের জন্য হয়নি। তবে আমি সময়ে বিশ্বাস করি। সব কিছুরই একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। মন থেকে চাইলে ঠিক সময়ে কাজটা হবেই। সেই ইচ্ছেটা পূরণ হবেই।
আরও পড়ুন, তিন এক্কে তিন, কেয়ার অব সুদীপ্তা
আর অভিনেতা?
বুম্বাদা। বুম্বাদার সঙ্গে কাজ করতে চাই। অনেক ছোটবেলায় ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম বুম্বাদার সঙ্গে। বড় হয়ে যাওয়ার পর আর কাজ করিনি।
হার্ডকোর কমার্শিয়াল হিরোইন, নাকি একটু অন্য ধারার চরিত্র— কোনটাতে কেমন ফিডব্যাক?
দেখুন, আমার মনে হয়েছে আমাকে দু’ধরনের চরিত্রেই দর্শক পছন্দ করেন। রিসেন্টলি বাংলাদেশ গিয়েছিলাম। দারুণ এক্সপিরিয়েন্স। সবাই যে ভালবাসছে, আপু বলছে। এটাই ভাল লাগছিল। কিছু দিন আগে ‘উমা’ রিলিজ করল। ভাল ফিডব্যাক পেয়েছি। আমরা তো ক্ষুধার্ত। ভাল চরিত্র পেলেই করে দেখাব। কিন্তু ডিরেক্টরদের তো ভাবতে হবে…। আর একটা জিনিস আমি বলতে চাই।
প্লিজ…
এখন আমাদের সকলেরই কনটেন্ট নিয়ে ভাবা উচিত। দর্শক এখন গল্প চায়। সব জায়গায় এখন কনটেন্টই আসল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy