‘কিডন্যাপ’-এর দৃশ্যে দেব এবং রুক্মিণী।
আপনার আর রুক্মিণীর ‘কিডন্যাপ’ রিলিজ করছে ৫ জুন। রুক্মিণী একাই কিন্তু প্রচারের অনেক দায়িত্ব সামলাচ্ছেন…
আই অ্যাম ভেরি প্রাউড অব হার। ও যে ভাবে কাজ করছে, নিজেকে তৈরি করছে, প্রোমোশন করছে নিজে নিজে, ভাল লাগছে। আমি রেগে যাই, আমাকেও ঠান্ডা করে। কেউ এক জন সারা ক্ষণ লেগে আছে দেখে ভাল লাগছে। ২০১৯-এ আমি বলব, আমার দেখা ওয়ান অব দ্য বেস্ট অ্যাকট্রেস রুক্মিণী। যাকে দিয়ে যে কোনও রকম চরিত্র করানো যায়।
প্রথম বার নিজের প্রোডাকশনের বাইরে রুক্মিণীর সঙ্গে কাজ করলেন। এই ছবিটা বেছে নিলেন কেন?
স্ক্রিপ্টটা দারুণ লেগেছিল আমার। উওম্যান ট্র্যাফিকিং নিয়ে গল্প। সারা পৃথিবী জুড়ে এখন কনটেন্টের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এখানেও তাই। দুটো অরিজিনাল স্টোরি থেকে কাজ করেছি আমরা। লার্জার দ্যান লাইফ করার চেষ্টা করেছি। আমি লাস্ট চার-পাঁচ বছর ধরে কনটেন্টের পিছনে ছুটেছি। ‘কিডন্যাপ’ কনটেন্ট ওরিয়েন্টেড কমার্শিয়াল ফিল্ম। যেটার আজকের দিনে খুব অভাব।
আরও পড়ুন, জয় শ্রী রাম বা বন্দে মাতরম বলে মানুষকে বোকা বানানোর দরকার নেই: দেব
কনটেন্ট ওরিয়েন্টেড কমার্শিয়াল বলছেন কেন?
এখন হাতের মধ্যে নেটফ্লিক্স, আমাজন দেখছে মানুষ। সেখানে মানুষকে সেই কনটেন্টটা দিতে হবে। এটা কমার্শিয়াল হতে পারে, কিন্তু কনটেন্টে জোর দিয়েছি। শুধু ছবি নয়। কালার প্যালেট নিয়ে ভেবেছি আমরা। কস্টিউম, সিন যতটা রিয়েলিস্টিক ফিল দেওয়া যেতে পারে, করেছি। ব্যাঙ্কক, দুবাই বা কলকাতার সেই সব রাস্তায় শুট করার চেষ্টা করেছি যেখানে উওম্যান ট্রাফিকিংয়ের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এখন সবাই অ্যাহেড অব ফিল্ম দেখতে চাই। আমি যদি এখন ‘পাগলু’ নিয়ে আসি, সেটা হয়তো চলবে না। আমি নিজেই হয়তো দেখব না। এখানে এত ফ্যাক্টর আছে যে শুধু কমার্শিয়াল বলা যাবে না। কনটেন্ট ওরিয়েন্টেড কমার্শিয়ালই বলতে হবে।
অ্যাজ আ প্রোডিউসার আপনি ডিজিটাল নিয়ে কতটা ভাবছেন?
ডিজিটাল নিয়ে এখনই ভাবছি না।
গানের দৃশ্যে দেব-রুক্মিণী।
কেন?
তা হলে ছবির সঙ্গে কোথাও কম্প্রোমাইজ করা হবে। আমি প্রোডিউসার তো শুধু ছবি করব বলে হইনি। যেটা সাহস করে করবে না বাকিরা, সেটা করতে চাইছি। অ্যাহেড অব টাইম। আমি নিজের ফোকাস শিফট করলে ছবির কনটেন্ট নিয়ে কম্প্রোমাইজ করা হবে। ছবিতে তো সাহসী কাজ করছি। ‘কবীর’, ‘ককপিট’, ‘ধুমকেতু’ও। আর খুব বেশি টাকা কামানোর ইচ্ছে নেই আমার। আমি হ্যাপি।
‘ধুমকেতু’ কি রিলিজ করবে না?
আমি জানি না। রানা সরকারেরই খবর নেই। ওই তো মেন প্রোডিউসার। রানা সরকার যদি ছবি না দেয়, সবাইকে তো পেমেন্ট করতে হবে…। সেটা না হলে ছবি কী করে হবে? আমি কী করব?
আরও পড়ুন, হায় আল্লা, এটা কী করে করব: জয়া আহসান
ভোটের রেজাল্ট নিয়ে টেনশন আছে?
না। ভোট নিয়ে কোনও টেনশন নেই। আমি ‘কিডন্যাপ’ নিয়ে বেশি টেনশনে আছি। আমি আবারও বলছি, কিছু পেতে রাজনীতিতে আসিনি। আমি মানুষের জন্য ভাল কাজ করতে চাই। আর হেরে গেলেও আমি তো ছবি করবই। এটাও তো পাবলিক সার্ভিস। আমি যে কাজ করি, সেটাতেও অনেক লোকের সংসার চলে। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে ‘দেব এন্টারটেনমেন্ট’ একটা জায়গা করতে পেরেছে। ফলে আমি না জিতলে কেরিয়ার শেষ হয়ে গেল এমন তো নয়। গত পাঁচ বছরে একটা লোকও বলতে পারবে না, দেব পলিটিক্যাল অ্যাডভান্টেজ নিয়েছে। পলিটিক্যাল পাওয়ার নিয়ে কোনও মানুষের ক্ষতি করেছে। রেজাল্টের আগে আমি ব্যাঙ্কক চলে যাব রেইকি করতে।
২৩ মে এবং ৫ জুন— দুটোর জন্যই শুভেচ্ছা।
থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ।
(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy