সোমবার গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে রাজ্য বিজেপি-র নেতৃত্বকে এক হাত নিলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত।
সোমবার গেরুয়া শিবির ত্যাগ করে রাজ্য বিজেপি-র নেতৃত্বকে এক হাত নিলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। তাঁর কথায়, ‘‘যে দল শিল্পীদের সম্মান দিতে পারে না সেই দল বাংলার উন্নতি কী করে করবে? কী উন্নতি করবে বাংলা বিনোদন দুনিয়ার!’’ তাঁর অকপট স্বীকারোক্তি, ‘‘ভেবেছিলাম ইন্ডাস্ট্রির উন্নতি হবে এই দলের হাত ধরে। সেটা তো হলই না। উল্টে কু-কথা বলে শিল্পীদেরই অপমান। যে দিন শিল্পীদের ‘রগড়ানি’র কথাটা শুনেছিলাম সে দিনই আমি বিমুখ। দলত্যাগ শুধুই সময়ের অপেক্ষা ছিল।’’
একে একে প্রায় সমস্ত তারকাই বিজেপি ছেড়েছেন কোনও না কোনও কারণে। সম্প্রতি বিজেপি ছাড়েন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। সোমবার বনি সেনগুপ্ত।
মা পিয়া সেনগুপ্ত (ইমপা-র সভাপতি), প্রেমিকা কৌশানি মুখোপাধ্যায় শাসকদলে। তাঁর বিজেপি-তে যাওয়ায় বিস্মিত হয়েছিলেন অনেকেই। নির্বাচনের পর থেকেই যদিও বেসুরো বেজেছেন অভিনেতা। সোমবারে আনন্দবাজার অনলাইনকে বনির বক্তব্য, ‘‘বিজেপি ছেড়েছি মানেই এক্ষুণি শাসকদলের হলে প্রচারে আমায় দেখবেন না। হাতে প্রচুর কাজ। নতুন করে অভিনয় উপভোগ করছি। আপাতত সেই কাজেই ডুবে থাকতে চাই।’’
সেই মতো সোমবার ঘোষণার পরেই শো করতে বেরিয়ে গিয়েছেন অভিনেতা। বাড়িতে ফোনের পরে ফোন, জানিয়েছেন বনির মা পিয়া। ছেলের এই বদলই তো দেখতে চেয়েছিলেন? প্রশ্ন রাখতেই ফোনে উচ্ছ্বাস চাপতে পারেননি পরিচালক সুখেন দাসের মেয়ে। পিয়ার কথায়, ‘‘এটাই হওয়ার ছিল। ওই দলে গিয়ে কেউ খুশি হতে পারেননি। বিজেপি-র সঙ্গে বাংলার শিল্প-সংস্কৃতি-ভাবনা মেলে না। বনিরও মিলল না। তাই ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে। আমি খুবই খুশি।’’
বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করতে কেন এত দিন তা হলে সময় নিলেন বনি? নির্বাচনের ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন? নাকি বাকি তারকারা কী করেন, সেই বুঝে পদক্ষেপ করবেন এমনটাই ভেবেছিলেন? বনির দাবি, তিনি অভিনয় থেকে মুখ তোলার সময় পাচ্ছিলেন না! তাই ঘোষণা করতে পারছিলেন তিনি মনে করেন, সব কিছুর জন্যেই উপযুক্ত সময়ের দরকার হয়। এক প্রস্থ শ্যুট সেরেছেন। আপাতত ছোট্ট অবকাশ। এই সুযোগে তিনি রাজনীতি থেকে দূরে থাকার কথা ঘোষণা করলেন। অভিনেতার কথায়, ‘‘আমি আদতে অভিনেতা। অভিনয় আমার পেশা। সেটাই সবার আগে করে যেতে চাই। সব সামলে, কাজ করে যদি সময় থাকে, তখন ভেবে দেখব রাজনীতিতে আবার আসব কি না। কিংবা এলে কোন দলের হয়ে কাজ করব।’’
বনির ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই সরব নিন্দকেরা। নানা মাধ্যমে চর্চা চলছে তাঁকে নিয়ে। বেশির ভাগের দাবি, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, তনুশ্রী চক্রবর্তী, পায়েল সরকারের পথে হাঁটলেন তিনিও। একই সঙ্গে কটাক্ষ, নির্বাচনে তিনি বা তাঁর দল জিতলে কি একই পদক্ষেপ করতেন? বনির যুক্তি, ‘‘বিজেপি আমায় বারাসত থেকে নির্বাচনের টিকিট দিতে চেয়েছিল। আমি বারাসতের ভূমিপুত্র। ওখানে এখনও আমাদের বাড়ি আছে। ফলে, দাঁড়ালে হয়তো জিতেও যেতাম। কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ফলে, স্থানীয় মানুষদের না চিনে কী করে দুম করে নির্বাচনে দাঁড়াই? আমিই তাই রাজি হইনি।’’ তার পরেই সাফ জবাব, মতে-পথে না মিললে শুধু বিজেপি কেন, আগামী দিনে কোনও দলেই দেখা যাবে না তাঁকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy