(বাঁ দিক থেকে) শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কৌশানী মুখোপাধ্যায়, রাজ চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
বাংলা সিনেমার গ্ল্যামারাস নায়িকা বলেই পরিচিত ছিলেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়। তাঁর ছবির নায়ক মানেই প্রেমিক বনি সেনগুপ্ত। বাংলা সিনেমায় ‘বনি-কৌশানী’ জুটি হিসাবে জনপ্রিয়তাও পেয়েছে। তবে সময় বদলেছে, বাংলার ছবির ধরনও বদলেছে। দর্শকদের পছন্দ-অপছন্দ সবেরই বদল ঘটেছে। এই বদলে যাওয়া সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেকে বদলে কৌশানী হয়ে উঠেছেন বহুরূপী। এক একটা ছবিতে তাঁর ভিন্ন সব রূপ। গত কয়েকটি কাজ থেকেই যেন নিজেকে প্রতি মুহূর্তে ভাঙছেন তিনি। সহমত বনি নিজেও। গত বছরের ‘আবার প্রলয়’ হোক কিংবা চলতি বছরের কৌশানীর আগামী ছবি ‘বহুরূপী’র প্রথম লুকেই যেন চমক। পরিচালকদের বাধ্য ছাত্রী হয়ে উঠেছেন কৌশানী। সে ক্ষেত্রে ভেঙে যাচ্ছে বনির সঙ্গে জুটি। তাতে নাকি দুঃখ নেই। পরিচালকের সঙ্গে নায়িকার জুটি ভাল লাগছে বনির। শিবপ্রসাদের সঙ্গে কৌশানী, নাকি রাজের সঙ্গে কৌশানী, কোন জুটিকে এগিয়ে রাখবেন? আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন বনি।
কপালে চন্দন, নাকে নোলক,খোঁপায় পলাশ গোঁজা, পরনে শাড়ি। চোখে-মুখে সারল্য। উইন্ডোজ় প্রযোজনা সংস্থার পুজোর ছবি ‘বহুরূপী’। সেখানেই নাকি নানা রূপে ধরা দেবেন নায়িকা। কোন কোন লুকে তাঁকে দেখা যাবে, সে কথা নাকি বনিকেও জানাননি কৌশানী। বনির কথায়, ‘‘আমিও আজকেই দেখলাম, কৌশানীকে এমন একটা লুকে। আমাকে গল্পটা কিছুটা শুনিয়েছিল। তবে, এই লুকে প্রথম দেখলাম। শিবুদা-নন্দিতাদির গল্প সব সময় ভাল হয়। আমার মনে হয়, এটাও দর্শকদের ভাল লাগবে।’’
পাশাপাশি বনি জানান, তিনি খুশি কৌশানীর জন্য। পর পর তিনি এই ধরনের চরিত্র পাচ্ছেন। বনির কথায়, ‘‘আমরা যখন জুটি হিসেবে কাজ শুরু করি, তখন দর্শক এক ধরনের ছবি দেখতে পছন্দ করতেন। এখন সেটা বদলে গিয়েছে। আসলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার লোক খুব কম। আর অভিনেতাদের সুযোগ দেওয়া না হলে সে তো নিজেকে প্রমাণ করতে পারবে না। কৌশানী সেই সুযোগটা পেয়েছে। এবং নিজের মধ্যে সেই বদলটা আনতে পেরেছে। এখন ও টলিউডে যে জায়গায় আছে, সেটা দেখে আমি বড্ড খুশি।’’
কিন্তু বনি-কৌশানীর জুটি যে ভেঙে যাচ্ছে, তাতে দুঃখ হয় কি নায়কের? বনির সাফ কথা, পুরানো জুটি ভাঙে, তবেই নতুন জুটি গড়ে। সে ক্ষেত্রে শিবুদার সঙ্গে কৌশানীর জুটি হলে দারুণ হবে। নতুন কিছু হবে। যদিও এ ক্ষেত্রে পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর দিকে খানিক পাল্লা ভারী রাখলেন বনি। তাঁর কথায়, ‘‘রাজদা আমার ও কৌশানীর মেন্টর। অবশ্যই রাজদাকে এগিয়ে রাখব। যদিও শিবুদার সঙ্গে কাজটা এখনও দেখিনি।’’
‘বহুরূপী’ ছবিতে ‘ঝিমলি’র চরিত্রে শুটিং করা যে সহজ ছিল না কৌশানির জন্য, সে কথা জানেন বনিও। বোলপুরের গরমে বিভিন্ন লুকে শুটিং করাটা সত্যিই সহজ কথা নয়। তবে কৌশানীর কাজ যে দর্শকের ভাল লাগবে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত বনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy