উল্টোরথের বিকেলে শহরের পথেঘাটে আবার রথ। এমনই শুভ মুহূর্তে প্রকাশ্যে সায়ন বসুচৌধুরীর ‘রাতের শহর’-এর লুক। এই ছবিতে আবারও জুটি বনি সেনগুপ্ত-কৌশানী মুখোপাধ্যায়। হলুদ শার্ট-কালো জিন্স, হাতে পিস্তল। এ ভাবেই বাস্তব জীবনের নায়িকার রক্ষাকর্তা বনি। আলগোছে তাঁর বাহু জড়িয়ে নায়িকা। নরম গোলাপি সালোয়ার-কামিজের আভা ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর ভীত-সন্ত্রস্ত চোখেমুখে। ছবির গানে স্যাভি-অমিত মিশ্র। প্রযোজনায় এসএস৩ এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড।
এই ছবির খবর প্রথম জানিয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। ব্যস্ততার ফাঁকেই শরীরচর্চায় মগ্ন নায়িকা। সাময়িক দূরত্ব কমতেই প্রবল ভাবে প্রেমে আর ফ্রেমে বনি-কৌশানী? নায়িকার যুক্তি, ‘‘জানি, অনেকেই বলছেন। আমায় জিজ্ঞেস করলে বলব, ইচ্ছে করেই আমরা ছবির দুনিয়ায় জুটি ভেঙেছিলাম। নিজেদের একঘেয়েমি কাটাতে। দর্শকেরাও যাতে একঘেয়েমিতে না ভোগেন সেই কারণে। আর ভাল ছবিতে কাজ করব বলে।’’ পাশাপাশি, ব্যক্তিগত জীবনেও কৌশানী একটু দূরে সরেছিলেন নিজেদের সম্পর্ককে যাচাই করতে। কিছু উত্তর খুঁজতেও। সব মত এবং পথ মিলে যেতেই উভয়ে বুঝেছেন, এই বন্ধন ছেঁড়ার নয়!
এরই ফাঁকে বনিকে দেখা গিয়েছে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, আয়ুশী তালুকদার, ঈশানির সঙ্গে। একই ভাবে কৌশানী অভিনয় করছেন দেব, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, সোহম চক্রবর্তীর সঙ্গে। অর্থাৎ, চ্যালেঞ্জ আর স্বাচ্ছন্দ্য বনি-কৌশানীর হাতের মুঠোয়? এ কথা মানতে নারাজ নায়িকা। তাঁর যুক্তি, ‘‘বিজয়া দশমী থেকে রাতের শহর--- সবেতেই আমরা ছক ভেঙেছি। সেই আগের বনি-কৌশানী জুটি কিন্তু নেই। যারা গাছের ডাল ধরে প্রেম করে। মিষ্টি মিষ্টি গান গায়। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে গল্প-নির্ভর ছবি, চিত্রনাট্য বাছছি। সেই ধরনের ছবির আকর্ষণ আমরা।’’
সায়নের ‘রাতের শহর’ ছবিতেও রাজি হওয়ার কারণ এটিই। থ্রিলার ছবির সমস্ত শ্যুট হবে রাতে। হাওড়া স্টেশনে। এবং অনেক দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হবে এক শটে। কৌশানীর দাবি, ‘‘চ্যালেঞ্জ না থাকলে এখন আর অভিনয় করে তৃপ্তি পাই না।’’ বাস্তবে নায়িকা রাতের শহর দেখেছেন? পর্দায় রাত তাঁর জীবনে বড় বিপদ ডেকে আনবে। আদতে নারীর জীবনে রাতের শহর কতটা নিরাপদ? নায়িকার কথায়, ‘‘শুধুই শহর কলকাতা নয়, দেশ-বিদেশের নানা শহরের বুকে রাত নেমে আসার সাক্ষী আমি। বিদেশে বেড়াতেই বেরোই অন্ধকারে। পুজোর সময় শহর কলকাতায় রাত বলেই কিছু থাকে না।’’ কৌশানীর আরও মত, নারীর জীবনে কি বা দিন কি বা রাত! এখন তো দিনেদুপুরেও নাবালিকার ধর্ষণ হচ্ছে। সেই জায়গা থেকে শহর কলকাতা ব্যতিক্রম। রাতেও শহরের মেয়েরা অন্য শহরের থেকে নিরাপদ। তাঁর দাবি, ‘‘সবটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কল্যাণে।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy