Advertisement
১৭ জানুয়ারি ২০২৫
Saif Ali Khan Attacked

সইফকে পর পর ছুরির কোপ, এক দিন পরও অধরা দুষ্কৃতী, নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে যে সব প্রশ্ন

তারকাখচিত বান্দ্রা এলাকার দামি আবাসনের নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কী ভাবে অপরিচিত কোনও মানুষ একেবারে শোওয়ার ঘরে ঢুকে পড়তে পারে? কেন কেউ তাকে আবাসনের দ্বাদশ তল অবধি উঠতে বাধা দিলেন না?

সইফ আলি খান।

সইফ আলি খান। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:৫৯
Share: Save:

ঘরের ভিতর ঢুকে পড়েছিল দুষ্কৃতী। ছেলের ঘরের সামনে তাকে দেখেই ঝঁপিয়ে পড়েন সইফ আলি খান। আর তখনই ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় দুষ্কৃতী। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে এমনই।

বৃহপতিবার ভোরের ঘটনার পর মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখা তদন্তে নেমেছে। মোট সাতটি দল অভিযুক্তের খোঁজ চালাচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছিল, বাড়ির সমস্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে তারা বুঝেছেন ঘটনার প্রায় ঘণ্টা দুয়েক আগে পর্যন্ত সন্দেহভাজন কোনও ব্যক্তি বাইরে থেকে ওই আবাসনে প্রবেশ করেনি। কিন্তু ঘটনার পর সন্দেহভাজনের পালিয়ে যাওয়ার ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি। এরই মধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে সইফের বাড়ির পিছনের সিঁড়ির সিসিটিভি ফুটেজ। স্পষ্ট দেখা গিয়েছে এক ব্যক্তির মুখ। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পরও অধরা দুষ্কৃতী। গোটা ঘটনার উঠে আসছে বেশ কিছু প্রশ্ন।

প্রথমত, কী ভাবে সরাসরি সইফ-করিনার ছোট ছেলে জেহর ঘর অবধি পৌঁছে গেল দুষ্কৃতী? শিশুদের দেখভালের দায়িত্ব যাঁদের, তাঁদেরই একজন দাবি করেছেন, ওই ব্যক্তির জেহর ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে ১ কোটি টাকা দাবি করেছে।

তা হলে সে কি আগে থেকেই জানত কোথায় ছেলেদের ঘর? বিনা বাধায় সেই ঘর অবধি কী করে পৌঁছল দুষ্কৃতী?

দ্বিতীয়ত, দুষ্কৃতী বাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ল অথচ তা সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ল না! কী ভাবে বাড়ির নীচে থাকা প্রহরা এড়িয়ে গেল সে? কোনও নিরাপত্তারক্ষীও কি দেখতে পেলেন না? প্রশ্ন করলেন না কেন এবং কোথায় যাবেন?

এ সব প্রশ্ন থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট, হয় ওই দুষ্কৃতী খুব ভাল ভাবেই ওই আবাসনের সঙ্গে পরিচিত। কোন তলায় কার বাড়ি, কোন ঘরে কার বাস, সবই সে আগে থেকে জানত। অথবা, ভিতরের কোনও মানুষই তাকে সাহায্য করেছে এ বিষয়ে।

আবার এমনও হতে পারে, ওই ব্যক্তির যাতায়াত ছিল আবাসনে। সে ক্ষেত্রে উঠে এসেছে সইফের ফ্ল্যাটের মেঝে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের প্রসঙ্গ। তাঁরা তো সমস্ত ঘর সম্পর্কেই ওয়াকিবহাল।

মুম্বই পুলিশের ডেপুটি কমিশনার দীক্ষিত গেদাম আগেই জানিয়েছিলেন, চুরির উদ্দেশ্যেই ওই বাড়িতে ঢুকেছিল দুষ্কৃতী। তবে, মায়ানগরীর আশপাশে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে নানা আশঙ্কার কথা। উঠে আসছে লরেন্স বিশ্নোইয়ের নামও। ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হত্যার ঘটনায় সলমনের সঙ্গে ছিলেন সইফও। যদিও ইতিমধ্যেই সমাজমাধ্যমে স্বয়ং করিনা কপূর খান আবেদন জানিয়েছেন, অযথা জল্পনা না বাড়াতে।

অন্য বিষয়গুলি:

Saif Ali Khan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy