সইফের শিরদাঁড়ায় আটকে ছিল ছুরি। ছবি: সংগৃহীত।
দুষ্কৃতীর ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় সইফ আলি খানকে। অভিনেতার হাতে, ঘাড়ে ও শিরদাঁড়ায় গভীর ছুরিকাঘাত ছিল। সইফের চিকিৎসক জানান, আঘাত বেশ গুরুতর ছিল। অস্ত্রোপচার হয়ে গিয়েছে। আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে সইফকে।
বিশেষ করে শিরদাঁড়ার আঘাত বেশ গুরুতর বলে জানা যাচ্ছে। ছ’বার ছুরিকাঘাত করেছে দুষ্কৃতী। লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক নিতিন দাঙ্গে বলেছেন, “শিরদাঁড়ায় গুরুতর চোট রয়েছে সইফের। শিরদাঁড়ায় গেঁথে ছিল ছুরি। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেই ছুরি বার করা হয়েছে। ছুরি আটকে থাকার ফলে শিরদাঁড়া থেকে সেরিব্রোস্পাইনাল তরল নির্গত হচ্ছিল।”
চিকিৎসক আরও বলেছেন, “ঘাড় ও হাতের চোটও যথেষ্ট গুরুতর ছিল। প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়েছে সেই আঘাতে। সইফকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তিনি এখন বিপন্মুক্ত ঠিকই। কিন্তু প্রতি মুহূর্তে তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখা হচ্ছে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরের কিছু পরে সইফের সহযোগী দলের সদস্যদের তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়, “সইফ আলি খানের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে এবং এখন তিনি বিপন্মুক্ত। এই মুহূর্তে তিনি ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন, চিকিৎসকেরা সব সময় নজর রাখছেন। পরিবারের সমস্ত সদস্য নিরাপদে রয়েছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।”
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মুম্বই পুলিশ সইফ-করিনার বাড়ির কয়েক জন পরিচারককে আটক করেছে। মূলত, বাড়ির মেঝে পরিচর্যা করেন এঁরা।
বান্দ্রার এক বিলাসবহুল বহুতলের ১২ তলায় থাকেন সইফ। সেখানেই বুধবার রাতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। কী ভাবে নিরাপত্তার বেড়াজাল টপকে বাড়ির ভিতর দুষ্কৃতীরা ঢুকে প়ড়ল তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে মুম্বই পুলিশ।
এর আগে আরও তিন জনকে ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করেছে মুম্বই পুলিশ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বাড়ির এক পরিচারক, লিফটম্যান ও একজন নিরাপত্তারক্ষী। ১৫ জনের একটি দল গঠন করে এই ঘটনার তদন্ত করছেন মুম্বই পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy