খাবার পাতে নেই প্রিয় পদ! দেখেই বায়না জুড়েছিলেন সইফ। কিন্তু সেটি খাও খাওয়ার অনুমতি কিছুতেই তাঁকে দেওয়া যায়নি হাসপাতালে।
ছ’বার ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল সইফ আলি খানকে। বাড়িতে গাড়ি চালক ছিল না। অটোরিকশায় চেপে তড়িঘড়ি মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ছুটেছিলেন অভিনেতা। সেখানেই অস্ত্রোপচার হয়েছিল তাঁর। পাঁচ দিন পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। এমনিতে অভিনেতা খাদ্যরসিক। হাসপাতালে থাকার সময়ও খাওয়াদাওয়ার দিকে বিশেষ নজর ছিল তাঁর। জানিয়েছেন লীলালবতী হাসপাতালের পুষ্টিবিদ খয়াতি রুপানি।
হাসপাতালে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি হওয়ার পরেই সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টিমুখ করতে চেয়েছিলেন সইফ। মিষ্টি খাবারের প্রতি নাকি তাঁর বিশেষ ঝোঁক। খয়াতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “খাবারের শেষ পাতে কেন মিষ্টি কিছু নেই? প্রশ্ন করেছিলেন সইফ। আমি তখন বলি, ‘আপনার সবে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি হয়েছে। মিষ্টি আমি দিতে পারব না।’” তবে সইফের মন রাখার জন্য স্বাস্থ্যকর মিষ্টি খাবারের ব্যবস্থা করেন তিনি। রান্নাঘরে গিয়ে কাস্টার্ডের সঙ্গে জেলি মিশিয়ে নিয়ে আসেন তিনি।
আরও পড়ুন:
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি মধ্যরাতে সইফের বাড়িতে হানা দিয়েছিলেন শরিফুল। চুরির উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি প্রবেশ করেছিলেন। প্রথমেই নাকি তিনি প্রবেশ করেছিলেন সইফ পুত্র জেহ-র ঘরে। সইফ পুত্রদের ন্যানি শরিফুলকে দেখতে পেয়ে ছুটে যান। তখন কোনও মতে পালিয়েছিল জেহ। ছেলের কান্নার আওয়াজ শুনে ছুটে এসেছিলেন সইফও। সইফ বাধা দিতে যাওয়াতেই ঘটে যায় অঘটন। ছ’বার ছুরিকাঘাত করা হয় অভিনেতাকে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় লীলাবতী হাসপাতালে। সইফের পিঠে গেঁথে ছিল ছুরির একটি টুকরো। অস্ত্রোপচার করে বার করা হয় সেই ছুরির টুকরো।