১৯৯৭ সাল থেকে ২০০২ পর্যন্ত কোনও ছবির অফার পাননি আরমান। ২০০২ সালে ‘দুশমনি’ ছবিতে দেখা যায় তাঁকে। ওই বছরই বাবার পরিচালনা ও প্রযোজনায় ‘জানি দুশমন: এক অনোখি কহানি’-তে অভিনয় করেন তিনি। ‘জানি দুশমন...’ এর জন্য চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখেননি রাজকুমার। সানি দেওল, অক্ষয়কুমার, সুনীল শেট্টি, মণীষা কৈরালা, আফতাব শিবদাসানি, সোনু নিগমের মতো একঝাঁক তারকাদের মাঝে ছেলেকে অভিনয়ের সুযোগ দেন তিনি।
ছবিতে স্পেশ্যাল এফেক্টেও বিশেষ জোর দিয়েছিলেন রাজকুমার। হলিউডের ‘দ্য ম্যাট্রিক্স’ ছবির অনুপ্রেরণায় সমস্ত অ্যাকশন দৃশ্যগুলি সাজান। কিন্তু বক্সঅফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে সেই ছবি। শুধু তাই নয়, ‘জানি দুশমন...’ ছবিতে অভিনয়ের পর সানি দেওল, অক্ষয়কুমারদের কেরিয়ারেও ভাটা আসে। আজও ওই ছবিটি নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ অব্যাহত সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এর পর ২০০৩ সালে ‘এলওসি: কার্গিল’ ছবিতে একটি ছোট চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান আরমান। কিন্তু তার পর বহু বছর সিলভার স্ক্রিনে দেখা যায়নি তাঁকে। ২০০২ সালে তীব্র গতিতে গাড়ি ছুটিয়ে এক মোটরবাইক আরোহীকে ধাক্কা মারায় খবরে উঠে আসেন আরমান। ২০০৮ সালে তৎকালীন প্রেমিকাকে মারধর করার অভিযোগেও ফের তাঁকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়।
২০১৩ সালে রিয়্যালিটি শো ‘বিগ বস’-এ আরমানকে সুযোগ দেন সলমন খান। শুরুতে ভাল আচরণের জন্য তাঁর প্রশংসাই করেন সকলে। কিন্তু ধীরে ধীরে ফের বদরাগী মেজাজ ফিরে আসে তাঁর। অনুষ্ঠান চলাকালীনই প্রতিযোগী সোফিয়া হায়াতকে নিগ্রহ করার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও এক দিন পরেই জামিন পেয়ে ফের অনুষ্ঠানে ফিরে আসেন তিনি।
শোনা যায়, গ্রেফতার হওয়ার পর আর অনুষ্ঠানে ফিরে আসতে চাননি আরমান। কিন্তু সলমন খান তাঁকে বোঝান। তাতেই মতি ফেরে তাঁর। ‘বিগ বস’-এর ঘরে থাকাকালীনই অভিনেত্রী তনুজার মেয়ে এবং কাজলের বোন তানিশার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রপাত আরমানের। ‘বিগ বস’ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও এক সঙ্গে নানা জায়গায় দেখা যায় তাঁদের। কিন্তু আরমানের বদমেজাজি স্বভাবের সঙ্গে মানিয়ে উঠতে না পেরে সম্পর্ক থেকে সরে আসেন তানিশা।
এই সময় আরমানের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন নীরু। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে গা ঢাকা দেন আরমান কোহালি। প্রায় এক সপ্তাহ পর লোনাবালা থেকে আরমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শোনা যায়, লোনাবালায় এক বন্ধুর ফার্মহাউসে ছিলেন আরমান। সিম কার্ড কিনতে এক বার বাইরে বেরিয়েছিলেন। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিছু দিন জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তিনি। পরে মামলার খরচ চালাতে না পেরে আরমানের উপর থেকে মামলা তুলে নেন নীরু।
এত কিছুর পরেও ২০১৫ সালে আরমানকে ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ ছবিতে সুযোগ দেন সলমন খান। ছবিতে খলনায়কের ভূমিকায় ছিলেন আরমান। ‘প্রেম রতন...’ বক্স অফিসে ব্যাপক সাফল্য পেলেও, তা যে সলমন এবং সুরজ বরজাতিয়ার যুগলবন্দির জন্যই সম্ভব হয়েছে, তা একবাক্যে মেনে নেন সকলে। ছবিতে আরমান কারও নজরই কাড়তে পারেননি। ১২ বছর পর বড় পর্দায় এমন সফল ছবির হাত ধরে প্রত্যাবর্তন করলেও তার পর থেকে একটাও ছবির অফার পাননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy