বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নতুন দাবি সলমনের কাছে। গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ।
১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারকাণ্ডে সলমন খানের নাম জড়িয়েছিল। এর ‘বদলা নিতে’ সলমনকে খুনের হুমকি দেয় লরেন্স বিষ্ণোই গোষ্ঠী। গত বছর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছিল, জেলবন্দি গ্যাংস্টার বিষ্ণোই যে ১০ জনকে ‘খতম তালিকা’য় রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সলমনের নাম। তার পর থেকেই সলমনকে নানা ভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছেন এই গ্যাংস্টার। এর মাঝেই চলতি বছর অভিনেতার বাড়িতে গুলি চালানোর মত কাণ্ড ঘটান তাঁরা। এই ঘটনার পর থেকে ইতিমধ্যে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বার ভাইজানের কাছে নতুন দাবি ‘অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই সোসাইটি’র। প্রেসিডেন্ট দেবেন্দ্র বুদিয়া জানিয়েছেন সলমন যদি ক্ষমা চান তা হলে তাঁরা সে বিষয় নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে পারেন।
১৯৯৮ সালে জোধপুরে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ের ফাঁকে ১ অক্টোবর মাঝরাতে সইফ আলি খান, তব্বু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলমের সঙ্গে একটি মারুতি জিপসিতে বেরিয়েছিলেন সলমন। অভিযোগ, সেই সময়েই জোধপুরের কাছে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কঙ্কনি গ্রামে নিজের রাইফেল থেকে গুলি করে দু’টি কৃষ্ণসার হরিণ মারেন তিনি। কৃষ্ণসার বিপন্ন প্রাণী। বিষ্ণোইরা কৃষ্ণসারের রক্ষক হিসেবে মনে করেন নিজেদের। সলমনের জিপসির নম্বর পুলিশকে দিয়েছিলেন তাঁরা। বন্যপ্রাণ আইনে ২০ বছর ধরে মামলা তাঁরাই চালিয়েছেন। প্রায় একই সময়ে রাজস্থানে চিঙ্কারা হরিণ শিকারেরও অভিযোগ ওঠে সলমনের বিরুদ্ধে। যদিও সেই মামলায় সলমনকে ছাড়পত্র দিয়েছে আদালত। যদিও এই ঘটনা ভুলতে পারেননি বিষ্ণোই সম্প্রদায়। তাঁদের দাবি, বিষ্ণোই সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে সলমনকে। শুধু তাই নয়, তাঁদের মন্দিরে এসে ক্ষমা চাইতে হবে। শপথ নিতে হবে, ভবিষ্যতে এমন ভুল করবে না। এখানেই শেষ নয়, বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের কাজে ব্রতী হতে হবে। তবে তাঁকে ক্ষমা করার কথা ভাববে তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy