Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
bollywood

সংসারের দায়ে শুরু অভিনয়, গ্রামে বড় হওয়া পিতৃহীন কিশোরীই হয়ে ওঠেন বড় পর্দার ‘মোনা ডার্লিং’

বিবাহিত অভিনেত্রী পর্দায় সেক্স সিম্বল হতে পারে না, সেই মিথ ভেঙে দিয়েছিলেন বিন্দু। ‘ক্যাবারে’-র সাহায্যে খলনায়িকার ভূমিকাকে আরও বলিষ্ঠ করে তুলেছিলেন যে ক’জন অভিনেত্রী, তাঁদের মধ্যে বিন্দু অন্যতম। বিন্দু-অরুণা ইরানি-হেলেন ছিলেন বলিউডের খলনায়িকার তিন মূর্তি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:০০
Share: Save:
০১ ১৩
পাঁচ দশকের কেরিয়ারে অভিনয় করেছেন ২০০ টির-ও বেশি ছবিতে। কিন্তু দর্শকমনে থেকে গিয়েছে তাঁর একটিমাত্র পরিচয়—‘মোনা ডার্লিং’। তিনি অভিনেত্রী বিন্দু। অভিনয় শুরু করেছিলেন নিতান্তই সংসারের দায়ে।

পাঁচ দশকের কেরিয়ারে অভিনয় করেছেন ২০০ টির-ও বেশি ছবিতে। কিন্তু দর্শকমনে থেকে গিয়েছে তাঁর একটিমাত্র পরিচয়—‘মোনা ডার্লিং’। তিনি অভিনেত্রী বিন্দু। অভিনয় শুরু করেছিলেন নিতান্তই সংসারের দায়ে।

০২ ১৩
গুজরাতের ভালসাদের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বিন্দুর জন্ম ১৯৫১-র ১৭ এপ্রিল। তাঁর বাবা নানুভাই দেশাই ছিলেন ছবির প্রযোজক। গ্রামের পরিবেশে তিনি ভাইবোনদের সঙ্গে বড় হয়ে ওঠেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বিন্দুর বাবা মারা যান। পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে বিন্দুর কাঁধে।

গুজরাতের ভালসাদের এক প্রত্যন্ত গ্রামে বিন্দুর জন্ম ১৯৫১-র ১৭ এপ্রিল। তাঁর বাবা নানুভাই দেশাই ছিলেন ছবির প্রযোজক। গ্রামের পরিবেশে তিনি ভাইবোনদের সঙ্গে বড় হয়ে ওঠেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বিন্দুর বাবা মারা যান। পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে বিন্দুর কাঁধে।

০৩ ১৩
১৯৬২ সালে প্রথম অভিনয় ‘অনপড়’ ছবিতে। এরপর ‘অওরত’, ‘আয়া শাওন ঝুম কে’, ‘ডোলি’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। প্রথম নজর কাড়েন ‘ইত্তেফাক’ ছবিতে। সেখানে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল রেণু। ‘ইত্তেফাক’-এর মতো বক্সঅফিসে সুপারহিট হয় ‘দো রাস্তে’। এই ছবিতে বিন্দুর অভিনীত চরিত্রের নাম ছিল নীলা।

১৯৬২ সালে প্রথম অভিনয় ‘অনপড়’ ছবিতে। এরপর ‘অওরত’, ‘আয়া শাওন ঝুম কে’, ‘ডোলি’ ছবিতে তিনি অভিনয় করেন। প্রথম নজর কাড়েন ‘ইত্তেফাক’ ছবিতে। সেখানে তাঁর চরিত্রের নাম ছিল রেণু। ‘ইত্তেফাক’-এর মতো বক্সঅফিসে সুপারহিট হয় ‘দো রাস্তে’। এই ছবিতে বিন্দুর অভিনীত চরিত্রের নাম ছিল নীলা।

০৪ ১৩
প্রতিভার জোরে ইন্ডাস্ট্রিতে ক্রমশ পায়ের তলায় জমি খুঁজে পান বিন্দু। তাঁর অভিনীত ‘দস্তান’, ‘অভিমান’, ‘হাওয়া’, ‘ইমতিহান’, ‘অর্জুন পণ্ডিত’ বক্সঅফিসে সপল হয়।

প্রতিভার জোরে ইন্ডাস্ট্রিতে ক্রমশ পায়ের তলায় জমি খুঁজে পান বিন্দু। তাঁর অভিনীত ‘দস্তান’, ‘অভিমান’, ‘হাওয়া’, ‘ইমতিহান’, ‘অর্জুন পণ্ডিত’ বক্সঅফিসে সপল হয়।

০৫ ১৩
শক্তি সামন্তর ‘কাটি পতঙ্গ’ ছবিতে বিন্দু দর্শকদের চমকে দেন তাঁর ক্যাবারে পারফরম্যান্সে। পাশাপাশি স্মরণীয় ‘ইমতিহান’-এ তাঁর মোহময়ী অবতার। অথবা ‘হাওয়াস’ ছবির নিম্ফোম্যানিয়াক। বিভিন্ন চরিত্রে  চিত্রনাট্যের দাবি মেনে নিজেকে গড়েছেন বিন্দু।

শক্তি সামন্তর ‘কাটি পতঙ্গ’ ছবিতে বিন্দু দর্শকদের চমকে দেন তাঁর ক্যাবারে পারফরম্যান্সে। পাশাপাশি স্মরণীয় ‘ইমতিহান’-এ তাঁর মোহময়ী অবতার। অথবা ‘হাওয়াস’ ছবির নিম্ফোম্যানিয়াক। বিভিন্ন চরিত্রে চিত্রনাট্যের দাবি মেনে নিজেকে গড়েছেন বিন্দু।

০৬ ১৩
বিবাহিত অভিনেত্রী পর্দায় সেক্স সিম্বল হতে পারে না, সেই মিথ ভেঙে দিয়েছিলেন বিন্দু। ‘ক্যাবারে’-র সাহায্যে খলনায়িকার ভূমিকাকে আরও বলিষ্ঠ করে তুলেছিলেন যে ক’জন অভিনেত্রী, তাঁদের মধ্যে বিন্দু অন্যতম। বিন্দু-অরুণা ইরানি-হেলেন ছিলেন বলিউডের খলনায়িকার তিন মূর্তি।

বিবাহিত অভিনেত্রী পর্দায় সেক্স সিম্বল হতে পারে না, সেই মিথ ভেঙে দিয়েছিলেন বিন্দু। ‘ক্যাবারে’-র সাহায্যে খলনায়িকার ভূমিকাকে আরও বলিষ্ঠ করে তুলেছিলেন যে ক’জন অভিনেত্রী, তাঁদের মধ্যে বিন্দু অন্যতম। বিন্দু-অরুণা ইরানি-হেলেন ছিলেন বলিউডের খলনায়িকার তিন মূর্তি।

০৭ ১৩
হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘অর্জুন পণ্ডিত’ এবং ‘অভিমান’-এ নিজের পরিচিত ছকের বাইরে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন বিন্দু। পরিচালক যে তাঁর উপর ভরসা করেছিলেন, তাঁর পূর্ণ প্রকাশ দেখা গিয়েছিল বিন্দুর অভিনয়ে। দু’টি ছবিতেই নজরকাড়া সাবলীল ছন্দে অভিনয় করেছিলেন বিন্দু।

হৃষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘অর্জুন পণ্ডিত’ এবং ‘অভিমান’-এ নিজের পরিচিত ছকের বাইরে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন বিন্দু। পরিচালক যে তাঁর উপর ভরসা করেছিলেন, তাঁর পূর্ণ প্রকাশ দেখা গিয়েছিল বিন্দুর অভিনয়ে। দু’টি ছবিতেই নজরকাড়া সাবলীল ছন্দে অভিনয় করেছিলেন বিন্দু।

০৮ ১৩
১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় ‘জঞ্জীর’।সুপারহিট এই ছবি শুধুমাত্র ‘অমিতাভ বচ্চনের ছবি’ পরিচয় পেতেই পারত। যদি না সেখানে মোনা ডার্লিং থাকতেন। খলনায়ক শেঠ তেজার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন ‘মোনা’। দয়াল তেজার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অজিত। তাঁর মুখে বিশেষ ভঙ্গিতে ‘মোনা ডার্লিং’ উচ্চারণ গেঁথে যায় দর্শক মনে।

১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় ‘জঞ্জীর’।সুপারহিট এই ছবি শুধুমাত্র ‘অমিতাভ বচ্চনের ছবি’ পরিচয় পেতেই পারত। যদি না সেখানে মোনা ডার্লিং থাকতেন। খলনায়ক শেঠ তেজার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন ‘মোনা’। দয়াল তেজার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন অজিত। তাঁর মুখে বিশেষ ভঙ্গিতে ‘মোনা ডার্লিং’ উচ্চারণ গেঁথে যায় দর্শক মনে।

০৯ ১৩
প্রতিবেশী এবং ছোটবেলার বন্ধু চম্পকলাল জাভেরিকে বিয়ে করেন বিন্দু। বিয়ের পরেও অভিনয়ে করেছেন চুটিয়ে। কিন্তু সমস্যা হল সন্তানধারণের সময়ে। প্রথমে মিসক্যারেজ, তারপরে গর্ভধারণের সমস্যার জন্য ডাক্তার পরামর্শ দেন বিশ্রামের। আটের দশকের গোড়ায় অভিনয় থেকে বিরতি নেন বিন্দু।

প্রতিবেশী এবং ছোটবেলার বন্ধু চম্পকলাল জাভেরিকে বিয়ে করেন বিন্দু। বিয়ের পরেও অভিনয়ে করেছেন চুটিয়ে। কিন্তু সমস্যা হল সন্তানধারণের সময়ে। প্রথমে মিসক্যারেজ, তারপরে গর্ভধারণের সমস্যার জন্য ডাক্তার পরামর্শ দেন বিশ্রামের। আটের দশকের গোড়ায় অভিনয় থেকে বিরতি নেন বিন্দু।

১০ ১৩
আবার ইন্ডাস্ট্রিতে বিন্দু ফিরে আসেন সমস্যা কাটিয়ে। কামব্যাকের পরে ‘হিরো’, ‘অলগ অলগ’, ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’-র মতো ছবিতে পাওয়া যায় চেনা বিন্দুকে।

আবার ইন্ডাস্ট্রিতে বিন্দু ফিরে আসেন সমস্যা কাটিয়ে। কামব্যাকের পরে ‘হিরো’, ‘অলগ অলগ’, ‘বিবি হো তো অ্যায়সি’-র মতো ছবিতে পাওয়া যায় চেনা বিন্দুকে।

১১ ১৩
বেশিরভাগ ছবিতে বিন্দু অভিনয় করেছেন প্রেম চোপড়ার বিপরীতে। ‘কাটি পতঙ্গ’, ‘দো রাস্তে’, ‘দাগ’, ‘প্রেম নগর’, ‘ত্যাগ’, ‘নফরত’ ছবিতে নায়ক-নায়িকার পাশে বিন্দু-প্রেম চোপড়া গড়ে তোলেন সমান্তরাল জুটি।

বেশিরভাগ ছবিতে বিন্দু অভিনয় করেছেন প্রেম চোপড়ার বিপরীতে। ‘কাটি পতঙ্গ’, ‘দো রাস্তে’, ‘দাগ’, ‘প্রেম নগর’, ‘ত্যাগ’, ‘নফরত’ ছবিতে নায়ক-নায়িকার পাশে বিন্দু-প্রেম চোপড়া গড়ে তোলেন সমান্তরাল জুটি।

১২ ১৩
কেরিয়ারের শেষ দিকে অভিনয় করা কমিয়ে দিয়েছিলেন বিন্দু। খলনায়িকা থেকে তিনি বেছে নিচ্ছিলেন কৌতুক মেশানো চিত্রনাট্য। ‘শোলা অউর শবনম’, ‘হাম আপ কে হ্যায় কৌন’, ‘ম্যাঁয় হু না’, ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিতে দর্শক নতুন করে আবিষ্কার করেন অভিনেত্রীকে।

কেরিয়ারের শেষ দিকে অভিনয় করা কমিয়ে দিয়েছিলেন বিন্দু। খলনায়িকা থেকে তিনি বেছে নিচ্ছিলেন কৌতুক মেশানো চিত্রনাট্য। ‘শোলা অউর শবনম’, ‘হাম আপ কে হ্যায় কৌন’, ‘ম্যাঁয় হু না’, ‘ওম শান্তি ওম’ ছবিতে দর্শক নতুন করে আবিষ্কার করেন অভিনেত্রীকে।

১৩ ১৩
দীর্ঘ দিন অভিনয়ের বাইরে বিন্দু। তাঁকে শেষ বার বড় পর্দায় দেখা গিয়েছে, ২০০৮ সালে, ‘মেহবুবা’ ছবিতে। তিনি এমন এক কুশীলব, যিনি চরিত্রাভিনেত্রী হলেও অনায়াসে নায়িকার পাশে চলে আসেন লাইমলাইটের নিচে।

দীর্ঘ দিন অভিনয়ের বাইরে বিন্দু। তাঁকে শেষ বার বড় পর্দায় দেখা গিয়েছে, ২০০৮ সালে, ‘মেহবুবা’ ছবিতে। তিনি এমন এক কুশীলব, যিনি চরিত্রাভিনেত্রী হলেও অনায়াসে নায়িকার পাশে চলে আসেন লাইমলাইটের নিচে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy