ভাগ্যশ্রীকে দেখা গেল সলমনের সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’-এ। ছবি: সংগৃহীত।
১৯৮৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’ ছবিটির কথা সলমন খানের অনুরাগীরা এখনও মনে রেখেছেন। এই ছবিই সলমনকে বলিউডে নায়ক হিসাবে প্রতিষ্ঠা দিয়েছিল। নায়িকা ছিলেন ভাগ্যশ্রী। ছবি হিট করেছিল, জুটিও জনপ্রিয় হয়েছিল। তার পর অভিনয় ছেড়ে সংসার করতে শুরু করেন ভাগ্যশ্রী। হিট জুটিকে আর দেখতে পান না দর্শক। এতে মন ভেঙে গিয়েছিল সলমনেরও। ৩৪ বছর পর ইচ্ছাপূরণ করলেন ‘ভাইজান’। সেই নায়িকা ভাগ্যশ্রীকে দেখা গেল সলমনের সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’-এ।
এই ছবিতে বিশেষ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সলমন ডেকে নিয়েছিলেন তাঁর পুরনো নায়িকাকে। অবাক হয়েছিলেন ভাগ্যশ্রী, কারণ সলমন শুধু তাঁকেই নয়, তাঁর স্বামী হিমালয়া দাসানি এবং পুত্র অভিমন্যু দাসানিকেও বিশেষ চরিত্রে আনতে চেয়েছিলেন পর্দায়।
ছবিমুক্তির পর ভাগ্যশ্রী-সলমনের এই পুনর্মিলন নিয়ে অনুরাগীরা উচ্ছ্বাস দেখালেন। ‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’ ছবির একটি সংক্ষিপ্ত দৃশ্যও ভাগ্যশ্রী-সলমনের ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ ছবিতে দেখানো হয়েছে। পুরনো জুটির নতুন করে সংযোগের বিষয়টা বোঝাতে।
‘ম্যায়নে প্যার কিয়া’-র সাফল্যের পর ভাগ্যশ্রী ঠিক করেন তিনি কেবল তাঁর স্বামী হিমালয়ার সঙ্গেই অভিনয় করবেন। তাঁর সন্তানরাও মায়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অভিনয় জগতেই এসেছেন।
অভিনেত্রী সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “এক দিন সকালে সলমন ফোন করে বলে, ‘ভাগ্যশ্রী, আমি এই ছবিটা করছি। আমি চাই, এই ছবিতে একটা চরিত্রে তুমি অভিনয় করো’। সলমনের মতো বন্ধুকে না করার প্রশ্নই ছিল না। সলমন জানায়, ও দাসানিজি এবং অভিমন্যুকেও এই ছবিতে চায়।”
সলমন ভাগ্যশ্রী এবং তাঁর স্বামী দু’জনেরই ফোন নম্বর চেয়েছিলেন। আলাদা আলাদা করে কথা বলে দু’জনকে সেটে আমন্ত্রণ জানাবেন বলে। সলমনের ফোন পেয়ে যে কতটা অবাক হয়েছিলেন তাঁর এক সময়ের নায়িকা, জানাতে ভোলেননি সে কথাও।
ভাগ্যশ্রীর কথায়, “সলমনের সঙ্গে শুটিং করা মজার ব্যাপার। অনেক স্মৃতি নিয়ে কথাবার্তা, হাসিঠাট্টা হয়েছিল সেটে। আমি নিশ্চিত ছিলাম, দর্শক আমাদের আবার একসঙ্গে পর্দায় দেখতে চাইবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy