আবার বছর কুড়ি পরে
প্রদীপের নীচে সত্যিই জমাট বাঁধা অন্ধকার। দিন তিনেক আগেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে নির্দেশ গিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত আইনক্স, সিনেপলিস প্রেক্ষাগৃহে বাংলা ছবি দেখাতে হবে। রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর তরফে থেকে পাঠানো একটি চিঠিতে জানানো হয়েছে, ১৯৫৪ সালের পশ্চিমবঙ্গ চলচ্চিত্র (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী রাজ্যের প্রতিটি হলে বাংলা ছবির প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। বাস্তব বলছে, অন্য কথা। মুখ্যমন্ত্রীর চিঠি পাঠানোই সার। একটি করে সপ্তাহ এগিয়েছে। বাণিজ্য বিভাগে ক্রমশ ভাল ফল করা সত্ত্বেও সমস্ত আইনক্স, সিনেপলিস থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ‘আবার বছর কুড়ি পরে’ ছবিটিকে। এ কথা আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, ছবির প্রযোজক সৌম্য সরকার।
কেন ‘আবার বছর কুড়ি পরে’-র সঙ্গে আইনক্সের এত বৈরিতা? সৌম্যর ক্ষোভ, ‘‘মুক্তির প্রথম সপ্তাহে আশাব্যঞ্জক ফল করেনি ছবিটি। এই একটি ত্রুটিই কর্তৃপক্ষ সম্ভবত খুঁজে পেয়েছেন। পরের সপ্তাহ থেকে যে ভাল ফল করতে শুরু করেছে সে দিকে তাঁদের নজর নেই। হাজার চেষ্টা করেও আমি ওঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারিনি। ওঁরা সংখ্যা তত্ত্বে বিশ্বাসী। কিন্তু আলোচনার সময় সে কথায় কানই দেননি কেউ।’’ বৈঠকে ব্যর্থ প্রযোজক এর পর মেল চালাচালিও করেন আইনক্সের প্রধান কার্যালয়ে। তবুও টনক নড়েনি কারও। উল্টে ‘আরআরআর’ মুক্তি পেতেই একটি করে শো পেয়েছে আবীর চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। তাও প্রাইম টাইম পায়নি। এখন কোনও আইনক্সেই আর চলছে না ছবিটি।
সৌম্যর দাবি, এর পরেই তিনি টুইট করে শরণ নেন মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর দফতর সঙ্গে সঙ্গে চিঠি পাঠায় আইনক্সকে। তাঁর প্রশ্ন, নিজের রাজ্যে বাংলা ছবি সমর্থন না পেলে কী করে ঘুরে দাঁড়াবে টলিউড? বক্তব্য, তিনিও এর শেষ দেখে ছাড়বেন। আইনক্স কর্তৃপক্ষ অন্যায় বন্ধ না করলে তিনি সরকারি হস্তক্ষেপের পাশাপাশি আইনের দ্বারস্থ হবেন।
সৌম্য কলকাতার আইনক্স কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি পঙ্কজ লাডিয়ার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তাঁর বক্তব্য কী? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল তাঁর সঙ্গে। তিনি বৈঠকে ব্যস্ত। তাই কথা বলতে পারেননি বিষয়টি নিয়ে। পরেও একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় তাঁর সঙ্গে। ফোনে তিনি অধরাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy