বিরসার বিয়ের অনুষ্ঠানে ঋতুপর্ণ। ছবি: ফেসবুক।
প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক সম্পর্ক। তাই শনিবার প্রয়াত পরিচালকের ৬১তম জন্মদিনে অতীতের পথে হাঁটলেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত।
শনিবার সমাজমাধ্যমে ঋতুপর্ণকে শ্রদ্ধা জানাতে একটি ছবি ভাগ করে নিয়েছেন বিরসা। ফেসবুকে পোস্ট করা সেই ছবিটি আসলে বিরসার বিয়ের অনুষ্ঠানের ছবি। সেখানে রয়েছেন বিরসার স্ত্রী বিদীপ্তা চক্রবর্তী, মা চৈতালি দাশগুপ্ত। এবং ঋতুপর্ণ। ছবিটি ভাগ করে বিরসা লিখেছেন, “শুভ জন্মদিন ঋতুদা। যদি তুমি এই সময়ে এখানে থাকতে! তোমার অভাব বোধ করি।”
আরজি কর-কাণ্ডের জেরে রাজ্য জুড়ে ন্যায়বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ চলছে। এই অস্থির সময়ে ঋতুপর্ণ উপস্থিত থাকলে কী ভাবে প্রতিবাদ করতেন, আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে প্রশ্ন রাখা হয় বিরসার কাছে। পরিচালক বললেন, “ঋতুদা কাউকে ভয় না পেয়ে কারও পক্ষ না নিয়ে কথা বলতেন। কারণ, মানুষটি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কোন কথা বললে, কে ভাল বলবে বা কে খারাপ, সেই চিন্তা ঋতুদার ছিল না।” যে কোনও সামাজিক বিষয়কে ঋতুপর্ণ যে বোধ এবং বুদ্ধি থেকে পর্যবেক্ষণ করতেন, তা আজ কমে গিয়েছে বলেই মনে করছেন বিরসা। পরিচালকের কথায়, “বড়রা তো সে ভাবে আর কেউ নেই। রিনাদি (অপর্ণা সেন) রয়েছেন। তাই ঋতুদার অভাব বোধ করি।”
এক সময়ে বিরসার বাবা, পরিচালক রাজা দাশগুপ্তের সঙ্গে বিজ্ঞাপনের জগতে একাধিক কাজ করেছিলেন ঋতুপর্ণ। সেই সূত্রেই পারিবারিক সখ্য। বিরসা বললেন, “আমার জন্মেরও আগে থেকে আমাদের বাড়িতে ঋতুদার আসা-যাওয়া। বাবা যখন চিত্রনাট্য লিখতেন, তখন সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন ঋতুদা। পরবর্তী সময়ে আমার মায়ের সঙ্গে ওঁর খুব বন্ধুত্ব তৈরি হয়।”
বিরসার মতে, যে কোনও বয়সি মানুষের সঙ্গে সহজেই মিশতে পারতেন ঋতুপর্ণ। প্রয়াত পরিচালকের সঙ্গে কোনও কাজ না করলেও ঋতুপর্ণের সঙ্গে যে তাঁর ভাল বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল, সে কথাও জানাতে ভুললেন না বিরসা।
রবিবার দুপুরে ‘আমরা তিলোত্তমা’র পক্ষ থেকে মহামিছিলের আহ্বান করা হয়েছে। পরিচালক সেখানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানালেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy