‘চাঁদের বাড়ি’-র পরিচালক ও অভিনেতা
গায়ক হিসেবে জনপ্রিয় হলেও নায়ক হিসাবে পরিচিতি পেয়েছিলেন তরুণ মজুমদারের ছবি ‘চাঁদের বাড়ি’-তে অভিনয় করে। জীবনের এই সেরা মুহূর্তকে ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখতে চান বাবুল সুপ্রিয়।
তরুণ মজুমদারের চলে যাওয়ায় এক বিরাট শূন্যতার মুখোমুখি বাবুল। স্মৃতিতে ‘চাঁদের বাড়ি’-র নানা মুহূর্ত। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে সেই মুহূর্তের কথাই শোনালেন বাবুল।
‘‘'চাঁদের বাড়ি’-কে ঘিরে থাকা প্রত্যেকটা মুহূর্তই আমার জীবনে ফ্রেমে বাঁধানো থাকবে। ছোটবেলা থেকে ওঁর ছবি দেখেই বড় হয়েছি। যে কখনও অভিনয় করেনি, তাকে রাতারাতি ‘সুপারস্টার’ বানিয়ে দিতে একমাত্র তরুণবাবুই পারেন।"
এক বিশেষ দিনের কথা কোনও দিনও ভুলতে পারবেন না বাবুল। বললেন,"‘ভেঙে মোর ঘরের চাবি’ গানটা রেকর্ড করতে গিয়েছিলাম। ওখানে তরুণবাবু ছিলেন। আমাকে মজার ছলে বলেছিলেন 'অভিনয় করার ইচ্ছে আছে?' সাহস করে বলেছিলাম, 'যদি আপনার ছবিতে সুযোগ পাই, করব।' তখনও ভাবিনি, ওঁর ছবিতে ঋতুপর্ণার মতো একজন অভিনেত্রীর বিপরীতে কাজ করার সুযোগ পাব।’’
গায়ক বাবুলের সংযোজন,"গান ভালবাসতেন। ওঁর ছবিতেও তার প্রভাব রয়েছে। শ্যুটিং শুরুর আগে জানতে চেয়েছিলাম, কোন ধরনের ছবি দেখব। বলেছিলেন, 'কিছু করতে হবে না। কাজ শুরুর আগে মায়ের কাছে দু’দিন থেকো। মুম্বইয়ের হাবভাব কমে যাবে। ওটাই দরকার আমার ছবিতে।' সেটে কখনও ভালবেসে, কখনও বকে কাজ করিয়ে নিতেন। আমার উচ্চারণ নিয়ে ওঁর সংশয় ছিল। ঠিক করেছিলেন আমার সংলাপ অন্য কাউকে দিয়ে ডাব করাবেন। আমি একটা সুযোগ চেয়েছিলাম। রেকর্ডিং স্টুডিয়ো থেকে বেরোতেই তরুণবাবু আমাকে বলেছিলেন, তুমি আমাকে অবাক করে দিলে বাবুল, আমি ভাবতে পারিনি তুমি এত ভাল করবে। বাঙালিকে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছিলেন।ওঁর চলে যাওয়া ছবির জগতে এক মহীরুহ পতন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy