সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ মুক্তির আগেই সাধু দিয়েছিলেন অভাবনীয় প্রস্তাব। ছবি—ইনস্টাগ্রাম
মহিলাদের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখতে যাওয়ার পথ মসৃণ করে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন পুণের এক মরাঠি অটোচালক। কিন্তু এখন হুমকি পেতে শুরু করেছেন তিনিও। হুমকি আসছে কেরল-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে, এমনকি, আমেরিকা থেকেও প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন তিনি। মহিলাদের কী সুবিধা দিচ্ছিলেন সাধু মগর নামের সেই অটোচালক?
সুদীপ্ত সেন পরিচালিত ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ মুক্তির আগেই সাধু দিয়েছিলেন অভাবনীয় প্রস্তাব। বিনামূল্যে মহিলাদের ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখাতে নিয়ে যাবেন তিনি, তাঁর অটোতে চড়লেই মিলবে সেই সুযোগ। আরও লোভনীয় প্রস্তাব ছিল, প্রথম ১০ জন মহিলা, যাঁরা তাঁর অটোয় চড়বেন, তাঁদের বিনামূল্যে সিনেমার টিকিটও দেওয়া হবে। কিন্তু এমন ব্যবস্থা ভাল চোখে দেখলেন না বিরোধীরা।
‘দ্য কেরালা স্টোরি’র ট্রেলার বেরোনোর সময় থেকেই সেই ছবি ঘিরে বিতর্কের সূত্রপাত। ছবির ট্রেলারে দেখানো হয়েছিল, কেরলের ৩২ হাজার মহিলা নিখোঁজ হয়েছেন এবং আইসিস-এ যোগদান করেছেন। সেই তথ্য ভুয়ো বলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী। জায়গায় জায়গায় শুরু হয়েছিল বিক্ষোভ। বামশাসিত কেরলে ছবিটি নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছিল। নারী পাচার, লাভ জিহাদ এবং জিহাদকে চিত্রিত করা ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ ৫ মে, শুক্রবার দেশ জুড়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। এটি পর্দায় আসার কয়েকদিন আগে, আলন্দির কাছে মরকল এলাকায় বসবাসকারী সাধু তাঁর অটোরিকশায় একটি ফ্লেক্স বোর্ড প্রদর্শন করেছিলেন। যাতে ঘোষণা করা হয়েছিল যে, তিনি ছবিটি দেখতে যাওয়া মহিলাদের জন্য বিনামূল্যে পরিবহণ পরিষেবা প্রদান করবেন। তিনি তার মোবাইল নম্বরও বোর্ডে প্রদর্শন করেন। সমাজমাধ্যমে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় সেই ছবি। বিজেপি নেতা কিরীট সোমাইয়াও ছবিটি টুইট করেছেন এবং সাধুর উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।
সাধু বলেন, “ছবিটি আপলোড করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আমি শয়ে শয়ে ফোন পেতে শুরু করেছি। কেউ কেউ প্রশংসা করেছেন। আবার কেউ কেউ আমাকে গালিগালাজ করে জিজ্ঞেস করেছেন যে, ছবিটি আমার বাবা স্পনসর করেছেন কি না। অনেক হুমকি পেয়েছি। প্রাণে মেরে দেবে বলেছে। যখন এই ধরনের ফোনের সংখ্যা বেড়ে যায়, তখন আমি আমার কিছু বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করি”।
এর আগে বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত আর এক বিতর্কিত ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইল্স’-এর মুক্তির সময়েও বিনামূল্যে পরিবহণ পরিষেবা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সাধু। এ ছাড়াও, সারা বছর তিনি জওয়ানদের তাঁর রিকশায় বিনামূল্যে চড়ার ব্যবস্থা করেন। সাধু দাবি করেন, তিনি এক জন দেশপ্রেমিক এবং ধর্মপ্রাণ মানুষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy