Ashwini Kalsekar and Murali Sharma are enjoying their married life dgtl
Ashwini Kalsekar
ব্যর্থ বিয়ে এবং প্রেমের পরে সহ-অভিনেতার মধ্যে দাম্পত্যের ভরসা খুঁজে পান ‘খলনায়িকা’
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতাশেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২১ ১৩:৪১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৬
এক জন ভালবাসেন লোকজনের সঙ্গে মিশে আনন্দ করতে। অন্য জনের পছন্দ বই হাতে ঘরের কোণের নিভৃত অবসর। পছন্দ অপছন্দের দিক থেকে দু’জনে দুই মেরুর। তার পরেও ১২ বছরের দাম্পত্য ফাটলহীন। অভিনেতা মুরলী শর্মার সঙ্গে পর্দার খলনায়িকা অশ্বিনী কলসেকরের সংসার টিনসেল টাউনের অনেকের কাছেই ঈর্ষণীয়।
০২১৬
অশ্বিনী জানিয়েছেন, তিনি এবং মুরলী দু’জনে খুব ভাল বন্ধু। ব্যক্তিত্ব বিপরীতমুখী হলেও তাঁরা এক অন্যের অনুভূতিকে গুরুত্ব দেন। সেটাই হয়তো সুসম্পর্কের বন্ধন। মনে করেন অশ্বিনী।
০৩১৬
বিয়ের আগে প্রেমপর্ব থেকেই মুরলী তাঁর পাশে থেকেছেন বন্ধুর মতো। মুরলীর পরামর্শে তাঁর অভিনয় অনেক বেশি বলিষ্ঠ হয়েছে। মনে করেন অশ্বিনী।
০৪১৬
দু’জনেই অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও একসঙ্গে কাজ করার জন্য তাঁদের অপেক্ষা করতে হয়েছে অনেক দিন। ২০১৮ সালে তাঁরা স্বামী স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেন পুরী জগন্নাথের পরিচালনায় তেলুগু ছবি ‘মেহবুবা’-য়।
০৫১৬
ছবিতে মুরলীর ভূমিকা ছিল একজন দাপুটে স্বামীর। যিনি স্ত্রীকে নিজের অধীনে রাখতে, তাঁর উপর নিজের মতামত চাপিয়ে দিতে পছন্দ করেন। যদিও মুরলীর বক্তব্য, বাস্তবে তাঁদের সংসারে ছবিটা সম্পূর্ণ উল্টো। তাই, ছবিতে অন্তত দাপুটে স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করতে মন্দ লাগেনি।
০৬১৬
মুরলী হলেন অশ্বিনীর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী। এর আগে ১৯৯৮ সালে অশ্বিনী বিয়ে করেছিলেন সহ-অভিনেতা নীতেশ পাণ্ডেকে। ‘এক রিশতা সাঝেদারি কা’ ধারাবাহিকে একসঙ্গে কাজ করতেন তাঁরা।
০৭১৬
বিয়ের ৪ বছর পরে বিচ্ছেদ হয়ে যায় নীতেশ-অশ্বিনীর। এর পর নীতেশ বিয়ে করেন আর এক অভিনেত্রী অর্পিতা পাণ্ডেকে। তাঁদের সম্পর্ক কি তৈরি হয়েছিল অশ্বিনীর সঙ্গে নীতেশের বিবাহিত জীবনেই? এই প্রশ্নের উত্তরে কিছু বলতে চাননি অশ্বিনী। জানিয়েছেন, যে সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে এসেছেন, সেটা নিয়ে কিছু বলতে চান না।
০৮১৬
দু’জনে মিলেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান অশ্বিনী। ২০০২ সালে বিচ্ছেদের পরে কিছু দিন বান্দ্রার এক রেস্তরাঁ মালিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অশ্বিনীর। যদিও সেটা গোপন ছিল বহু দিন। তাঁর সেই প্রেমও কেন ভেঙে গেল? সেই প্রসঙ্গেও নীরব অশ্বিনী।
০৯১৬
অভিনেত্রীর দাবি, তিনি প্রেমের সম্পর্কে নিজের থেকে ১০০ শতাংশ উজাড় করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরেও সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছে, কারণ সেটা কোনও দিন হওয়ারই ছিল না।
১০১৬
পর পর দু’টি সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন অশ্বিনী। পুরুষদের প্রতি তিক্ত মনোভাব না থাকলেও দ্বিতীয় দাম্পত্যে যেতে চাইছিলেন না তিনি। তবে তাঁর বাড়ির লোক চেয়েছিলেন তিনি যেন বিয়ে করে আবার সংসারী হন। লিভ ইন সম্পর্কের তুলনায় অশ্বিনীর নিজেরও পছন্দ ছিল বিবাহিত জীবনই।
১১১৬
শেষ অবধি সব দ্বিধা সরিয়ে মুরলী শর্মার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন অশ্বিনী। বিয়ের পরে সংসার এবং কেরিয়ার দু’টি দিকই তিনি সামলাচ্ছেন দক্ষতার সঙ্গে।
১২১৬
২০২০ সালে মুক্তি পেয়েছে অশ্বিনীর ছবি ‘লক্ষ্মী’। এ ছাড়াও তাঁর কেরিয়ারে উল্লেখযোগ্য ছবি হল ‘দ্য হিরো: লভ স্টোরি অফ এ স্পাই’, ‘খাকি’, ‘মুসাফির’, ‘কিসনা’, ‘গোলমাল রিটার্নস’, ‘বদ্রীনাথ’, ‘অন্ধা ধুন’ এবং ‘সিম্বা’।
১৩১৬
তবে সিনেমার তুলনায় অশ্বিনী অনেক বেশি জনপ্রিয় ছোট পর্দায়। ১৯৯৫ সালে তাঁকে ছোট পর্দায় প্রথম বা দেখা গিয়েছিল ‘শান্তি’ ধারাবাহিকে। এর পর ‘ফর্জ’, ‘এক অউর মহাব্বত’, ‘ঘর জামাই’, ‘সিআইজি’, ‘শক্তিমান’, ‘কসম সে’, ‘জোধা আকবর’ এবং ‘ইতনা করো না মুঝে প্যায়ার’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে তিনি ছিলেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকায়।
১৪১৬
রক্ষণশীল কোঙ্কনি পরিবারে জন্মগ্রহণ করা অশ্বিনীর পরিবারে অভিনয়ের ধারা আগে ছিল না। তাঁর বাবা অনিল কলসেকর পেশায় ব্যাঙ্ককর্মী। স্নাতক হওয়ার পরে তিনি অভিনয়কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন। নয়ের দশকের গোড়ায় তিনি ১ বছর অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নেন নীনা গুপ্তর কাছ থেকে।
১৫১৬
এর পর ৩ বছর অশ্বিনী মঞ্চাভিনয়েরও প্রশিক্ষণ নেন। অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি এক জন কত্থক শিল্পীও। অশ্বিনীর মতো তাঁর স্বামীও ব্যস্ত অভিনেতা। তিনি অবশ্য ধারাবাহিকের তুলনায় ছবির পর্দায় বেশি পরিচিত মুখ। ‘ঘর জামাই’, ‘সায়া’ ধারাবাহিকের অভিনেতা মুরলী বলিউডের বহু ছবিতে অভিনয় করেছেন।
১৬১৬
মুরলীর ছবির তালিকায় উল্লেখযোগ্য হল ‘দিল ভিল প্যায়ার ভ্যায়ার’, ‘মকবুল’, ‘ম্যায়ঁ হুঁ না’, ‘মস্তি’, ‘মঙ্গল পাণ্ডে: দ্য রাইসিং’, ‘চকোলেট’, ‘ধামাল’, ‘লগা চুনরি মেঁ দাগ’, ‘লমহা’, ‘দবং’, ‘চক্রব্যূহ’, ‘বদলাপুর’, ‘সনম তেরি কসম’, ‘দ্বারকা’, ‘দেবদাস’, ‘স্ট্রিট ডান্সার থ্রি ডি’। ব্যস্ত সূচির পাশাপাশি এই তারকা দম্পতির কাছে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হল পরিবার। পারিবারিক জীবনে তাঁরা তারকাবৃত্তের আলো ঢুকতে দেন না। যাতে পারিবারিক জীবনে পেশাদার জীবনের সমস্যা ঢুকতে না পারে।