হাতে তথ্যপ্রমাণ রেখেই মন্তব্য করেছেন অরিন্দম শীল! আনন্দবাজার ডট কমকে পরিচালক জানালেন সে কথাই। সোমবার অরিন্দম বলেন, “আমি কোনও আলটপকা মন্তব্য করিনি, তথ্যপ্রমাণ আছে বলেই করেছি।” পাশাপাশি, এটাও স্পষ্ট করে দেন, কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ তিনি করেননি।
আরও পড়ুন:
এর আগেই অরিন্দম সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছিলেন পথে নেমে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন যে সমস্ত টলিতারকা, তাঁদের অনেকেই সে সব করেছিলেন অর্থ বা উপহারের (মোবাইল ফোন) বিনিময়ে। এর পরই অরিন্দমের দিকে ধেয়ে আসে একের পর এক কটাক্ষ। এমনকি তিনি নিজেই অর্থের বিনিময়ে আন্দোলন-বিরোধী কথা বলতে শুরু করেছেন বলে দাবি করেছেন কয়েক জন অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে অরিন্দম সাফ জানান, তিনি যা শুনেছেন তা-ই বলেছেন। টলিপাড়ায় একটু কান পাতলেই নাকি সবটা শোনা যাচ্ছে। পরিচালক দাবি করেছেন, আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী তারকাদের সহশিল্পীদের কাছ থেকেই এ সব কথা শুনেছেন তিনি। পাশপাশি আক্ষেপের সুরে অরিন্দম বলেন, “সবটা শোনার পর আমার খারাপই লাগছিল। আমার সহকর্মীরা এ রকম একটি বিষয়ে অর্থের বিনিময়ে প্রতিবাদ দেখালেন! টলিপাড়ার সবাইকে নিয়ে নয়, কয়েকজনের কথা বলেছি। অথচ, আমাকে নিয়ে সমালোচনা করছেন একদল।”
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের প্রতিবাদে ১৪ অগস্ট শুরু হয় আন্দোলন। শহর কলকাতা তখন রাত জাগছে, সকাল থেকে রাজপথে প্রতিবাদ। ধ্বনিত হচ্ছে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগান। জুনিয়র চিকিৎসকেরা ধর্নায়। আরজি কর-কাণ্ডে নির্যাতিতার হয়ে বিচার চেয়ে তখন প্রতিবাদ মিছিলে হেঁটেছিলেন টলিপাড়ার বহু তারকা। বলা ভাল নেতৃত্বই দেন কোনও কোনও তারকা। কিন্তু এ সব কিছুই নাকি তাঁরা করেছেন টাকা ও উপহারের বিনিময়ে! এক কথায় যাকে বলে ‘অ্যাপিয়ারেন্স ফি’। দাবি করেছেন পরিচালক অরিন্দম শীল। এর পর অবশ্য আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম তারকা-মুখ সুদীপ্তা চক্রবর্তী, বিদীপ্তা চক্রবর্তী থেকে দেবলীনা দত্ত, সোহিনী সরকার, স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, তানিকা বসু, চৈতি ঘোষালেরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অরিন্দমকে। এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কমকে নিজের অবস্থান জানালেন অরিন্দম শীল।
উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার পর জুনিয়র ডাক্তারেরা রাজ্য জুড়ে যে আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন তাতে সাড়ে তিন কোটি টাকার বেশি অনুদান পেয়েছেন তাঁরা। তার মধ্যে এক কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এখনও দু’কোটির বেশি টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন। বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে আরজি কর হাসপাতালে গণকনভেনশনের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই অনুদান এবং খরচের হিসাব দিয়েছেন তাঁরা। এই নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চাপানউতর।