ছেলে অগ্নিস্নাতকে নিয়ে অনিন্দিতা সর্বাধিকারী।
দিন কয়েক ধরেই অসুস্থ। জ্বর, সর্দি-কাশি ছিলই। শনিবার সকাল থেকে স্বাদ, গন্ধ সবই হারিয়ে ফেলেছেন অনিন্দিতা সর্বাধিকারী। সঙ্গে সঙ্গে কোভিড পরীক্ষাও করিয়েছেন। ফলাফল জানতে পারবেন রাতে। পুজোর মুখে কি তবে থাবা বসাল অতিমারি? আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালক জানিয়েছেন, ‘‘প্রথম অসুস্থ ছেলে অগ্নিস্নাত। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ও জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছে। কখনও হাল্কা জ্বর, কখনও থার্মোমিটারের পারদ ঊর্ধ্বমুখী।’’
অগ্নিস্নাতর স্বাদ, গন্ধ চলে যায়নি। তবে ছেলেকে সামলাতে সামলাতেই জ্বর এসেছে অনিন্দিতার। দিন দুই তাপমাত্রা ওঠানামা করেছে। পাশাপাশি, আলাদা ঘরে থেকেও অসুস্থ অনিন্দিতার বাবা সুপ্রিয় সর্বাধিকারী। পরিচালকের কথায়, ইতিমধ্যেই তাঁর বাবা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খাচ্ছেন।
এর পরেই স্বাদগন্ধের বিশ্বাসঘাতকতা শুরু। সে কথা নিজেই ফেসবুকে জানিয়েছেন অনিন্দিতা। মজা করেই লিখেছেন, ‘রাত্রে হজমোলা চেখে দেখেছিলুম। স্বাদটুকু ছিল। সকালে সে-ও আমাকে ছেড়ে চলে গেল। এই পৃথিবীতে এই দিনও দেখব ভাবিনি। আমার নিজের এত বছরের লালিত পালিত নাক আর জিভ আমাকে ধোঁকা দিল! কত কিছু না করেছি ওদের জন্য। বেইমান নাক, বেইমান জিভ’।
অনিন্দিতা জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই লেখা পড়ে অনেকেই তাঁকে ভালবাসা জানিয়েছেন। হোমিওপ্যাথি ওষুধ পাঠিয়েছেন পণ্ডিত বিক্রম ঘোষ-জয়া ঘোষ। গত দু’দিন ধরে তাঁকে রাঁধতেও হয়নি। যত্নে রান্না করা খাবার ঠিক পৌঁছে গিয়েছে বাড়িতে।
ছেলেকে একা হাতেই মানুষ করছেন। তার যাবতীয় প্রয়োজন থেকে অসুস্থতা, সবটারই ভার একার কাঁধে। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে ঝুঁকি বেশি শিশুদেরই। সাত বছরের অগ্নিস্নাতর জন্য বাড়তি কী কী সাবধানতা অবলম্বন করছেন অনিন্দিতা?
ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন শিশু চিকিৎসকের সঙ্গে। তাঁর পরামর্শ মতো অগ্নিস্নাতকে ওষুধ খাওয়াচ্ছেন অনিন্দিতা। মা-ছেলে এক ঘরে থাকছেন। কোভিডের মরসুমে যা যা নিয়ম পালন করা দরকার, সবটাই নিখুঁত ভাবে মেনে চলার চেষ্টা করছেন পরিচালক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy