(বাঁ দিকে) আলিয়া ভট্ট (ডান দিকে) অনুরাগ কাশ্যপ। ছবি: সংগৃহীত।
মূল ধারার বাণিজ্যিক ছবি নয়, বরং সমান্তরাল ঘরানার ছবিকেই বাণিজ্যিক সাফল্যের মুখ দেখিয়েছেন অনুরাগ কাশ্যপ। বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীর কেরিয়ার গড়ে দিয়েছেন অনুরাগ। যার মধ্যে অন্যতম বড় নাম নওয়াজ়উদ্দিন সিদ্দিকি। বরাবরই স্পষ্টবক্তা তিনি। বলিউডে প্রায় তিন দশক কাটিয়ে দিয়েছেন। এই প্রজন্মের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে অনুরাগের বিশেষ পছন্দ আলিয়া ভট্টকে। তবু নিজের ছবির অভিনেত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিতে সঙ্কোচ পরিচালকের। তাঁর সাফ কথা, কোনও অভিনেতাকে পছন্দ করেন বলে তাঁর পিছনে ঘুরঘুর করাটা ধাতে নেই। এ ছাড়াও রয়েছে আর একটি বড় কারণ।
অনুরাগ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘এই মুহূর্তে আলিয়া ভট্ট দেশের সেরা অভিনেত্রীদের মধ্যে এক জন। আমি সব সময় ওঁর কাজ দেখি। যেগুলো ভাল লাগে না সে ক্ষেত্রে চুপ থাকি। আমি অবশ্যই ওঁর সঙ্গে কাজ করতে চাই। তবে আমি যে বাজেটে ছবি বানাই তাতে ওঁকে নিতে পারি না। আমি অভিনেতাদের পিছনে এক বারের বেশি ছুটতে পারব না। তাঁকেও আগ্রহী থাকতে হবে। আমাকে যদি চিত্রনাট্যে রকমফের করতে বলা হয় সেটা করে দিই। তবে অনেক সময় বড় তারকারা দ্বিধা বোধ করেন। তাই আমিও নিজেকে গুটিয়ে নিই।’’
‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’র হাত ধরে পরিচালক হিসাবে পথচলা শুরু তাঁর। তার আগে অবশ্য রামগোপাল বর্মার ‘সত্য’ ছবির চিত্রনাট্য লিখে ফেলেছিলেন তিনি। তার পরে ‘দেব ডি’, ‘গুলাল’, ‘গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর’-এর মতো ছবি উপহার দিয়েছেন অনুরাগীদের। আলো-আঁধারির জগৎ ও সেই জগতের সঙ্গে জড়িত মানুষদের মনস্তত্ত্ব পর্দায় তুলে ধরতে সিদ্ধহস্ত তিনি। তবে একটা সময় আসে যখন বলিউডে দমবন্ধ লাগতে শুরু করে অনুরাগের।নেতিবাচক চিন্তাভাবনার জেরে বলিউড থেকে বেরোনোর পথ খুঁজছিলেন তিনি। পরে অন্য ভাষায় ছবি তৈরির কথা ভাবতে গিয়ে তিনি উপলব্ধি করেন হিন্দি ভাষায় ও সেই সংস্কৃতিতে তাঁর যতটা দখল, অন্যান্য ভাষা ও সংস্কৃতিতে সেই দখল নেই তাঁর। তাই এখন নেতিবাচক চিন্তাভাবনায় আমল না দিয়ে স্রেফ ছবি বানানোয় মন দিয়েছেন অনুরাগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy