অনুপম রায়।
প্রায়ই অনুপম রায়কে ঢুঁ মারতে দেখা যায় মাছের বাজারে। মাছের পদ যে প্রিয় সে কথাও ভক্তরা জানেন। কখনও তোপসে মাছ ভাজা। তো কখনও পমফ্রেট, মৌরলা, কাতলা। এক ঝাঁক মাছের থেকে মাত্র ‘দুটো পাবদা কিনেও এক বার ঝড় তুলেছিলেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী শিল্পী। ফেসবুকে সে কথা জানাতেই শ্রীজাত রসিকতা করেছিলেন, ‘কোন দুটো’? মাঝে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন অনুপমের পাতায় যেন আঁশটে গন্ধের অভাব ঘটিয়াছিল! বদলে তিনি মজেছিলেন শ্যামা নামে! গেয়েছেন, ‘কালী কেমন তাই চেয়ে দেখলে না!’ লিখেছেন, ‘সাগরে যার বিছানা মা, শিশিরে তার কী করিবে?’ সোমবার সন্ধে থেকে তিনি ফের আমোদি মাছের স্বাদে আমোদিত।
একটু একটু করে ছন্দে ফেরার চেষ্টায় অনুপম? গলার স্বর এখনও ঝলমলে নয়। আনন্দবাজার অনলাইনের প্রশ্ন শুনে কি আনমনা? তার পরেই অমোঘ সত্য উচ্চারণ, ‘‘ছন্দে তো ফিরতেই হবে।’’ যুক্তিও সাজালেন, তিনি বাজারে যেতে ভালবাসেন। বিশেষ করে মাছের বাজার। পছন্দের মাছ কেনেন। কিছু দিন হয়তো থলি হাতে বেরোনো হয়নি। সেটাই আবার করলেন।
অনুপমের মনখারাপ বড্ড ছোঁয়াচে। তাঁর অ-সুখে ভুগছেন তাঁর অনুরাগীরাও। আগামী ছবি ‘অনুসন্ধান’-এর গানের কথা সেই অনুভূতিকে যেন উস্কে দিয়েছে। যেখানে অনুপম বলেছেন, ‘আমি অনেক দূরের মানুষ, কাছে থাকি কিছুক্ষণ, তুমি মিথ্যে আমায় দিলে তোমার মন...!’ পুরোটাই কাকতালীয় নাকি ভেবেচিন্তেই গানের কথাগুলো লিখেছিলেন শিল্পী? গায়কের দাবি, ‘‘পুরোটাই ঘটনাচক্রে ঘটে গিয়েছে। এই ছবি এখন মুক্তির কথা ছিল না। ফলে, গানটিও বেছে বেছে এখনই শুনতে পেলেন শ্রোতারা! যা হয়তো আমার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে।’’
আনন্দবাজার অনলাইনের একান্ত আড্ডায় ‘আমাকে আমার তো থাকতে দাও’ গানের স্রষ্টা বলেছিলেন, ‘‘নিজের জীবনের জাহাজ-মাস্তুল ছারখার হলে, সব কিছু মিলে গেলে, অসুবিধে তো হয়ই। অন্যান্যদের মতোই।’’ অনুপম মেনে নিয়েছিলেন, তিলে তিলে গড়া কোনও গান যখন স্রষ্টাকেই বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড় করায় তখন আর পাঁচ জনের মতো তাঁরও গলা বুজে আসে যন্ত্রণায়। ‘‘সকলের যেমন কষ্ট হয়, আমিও তেমনই কষ্ট পাই’’, বক্তব্য তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy