পঙ্কজ উধাসের স্মৃতিচারণায় অনুপ জলোটা। —ফাইল চিত্র।
পঙ্কজ উধাস নেই! বিশ্বাস করতে পারছি না। আমাদের দু’জনের সম্পর্ক প্রায় ৪৫ বছরের। দু’জন একসঙ্গে প্রচুর কনসার্ট করেছি, শো করেছি, পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে একসঙ্গে ঘুরেছি। সে সব স্মৃতি অল্প পরিসরে বলে শেষ করতে পারব না। সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হল, আমরা ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসার খরচ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেছি। সেই ক্যানসারই কেড়ে নিল তাঁকে! এটা আমার কাছে অত্যন্ত মর্মান্তিক একটি বিষয়। কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না পঙ্কজজির চলে যাওয়াটা।
আনন্দবাজার অনলাইনের পাঠকদের জানাতে চাই, কলকাতায় ওঁর সঙ্গে বহুবার এক সঙ্গে আমি পারফর্ম করেছি। কলকাতার শ্রোতাদের থেকে সব সময়েই বুক ভরা ভালবাসা পেয়েছি। সেই সব দিনগুলোর কথা মনে পড়ছে এখন। একসঙ্গে কত ভাল সময় কাটিয়েছি। গান গেয়েছি, গান নিয়ে আলোচনা করেছি। আর সেই দিনগুলি ফিরে আসবে না ভেবেই খারাপ লাগছে। পঙ্কজজি মানুষ হিসাবে অত্যন্ত আন্তরিক ছিলেন। ওঁর কথা শুনলেই মন শান্ত হত। উনি গান গাইলে চারপাশে একটা নিস্তব্ধতা বিরাজ করত। ওঁর মতো শিল্পীর চলে যাওয়াটা আমাদের সঙ্গীত জগতের পক্ষে বড় ক্ষতি।
এমনিতে আমাদের কথাবার্তা হত, যোগাযোগ ছিল। কিন্তু গত তিন মাসে ওঁর সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। উনি নিজে থেকে কোনও ফোন করেননি। আমি ফোন করেছিলাম বহু বার। উনি যাতে আমাকে ফোন করেন সে জন্য ওঁর মেয়ে নায়াবকেও বেশ কয়েকবার বলেছিলাম। কিন্তু ও দিক থেকে কোনও ফোন আসেনি। বুঝতে পারছিলাম মানুষটা কষ্ট পাচ্ছিলেন। ক্যানসার ধরা পড়ার পর থেকেই নিজেকে অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছিলেন। সঙ্গীত জগতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি ওঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। মঙ্গলবার ওঁর শেষকৃত্যে আমি উপস্থিত থাকব। কিন্তু সেটা ভেবেই মনটা আরও ভারাক্রান্ত হয়ে উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy