‘মনপতঙ্গ’ ছবির প্রযোজক অঞ্জন বসু। নিজস্ব চিত্র।
মুখে নয়, বাস্তবে বাংলা ছবির পাশে দাঁড়ালেন পরিচালক ইন্দ্রাশিস আচার্য, রঞ্জন ঘোষ, পারমিতা মুন্সী, প্রযোজক-পরিবেশক শতদীপ সাহা। শুক্রবার অরোরা ফিল্ম কর্পোরেশনের কর্ণধার অঞ্জন বসুর ‘মনপতঙ্গ’ ছবিমুক্তির দিন। প্রযুক্তিগত কারণে শেষ মুহূর্তে আটকে যায় ছবিমুক্তি। এ দিকে নির্দিষ্ট প্রেক্ষাগৃহে উপস্থিত ছবির প্রযোজক, অভিনেতা, পরিচালকেরা। আমন্ত্রিত পরিচালক-সহ অন্যরাও পৌঁছে গিয়েছেন। এ রকম পরিস্থিতিতে হঠাৎ ছবিমুক্তি স্থগিত হওয়ার কথা ঘোষিত হতেই গুঞ্জন শুরু। জাতীয় স্তরে পুরস্কৃত হওয়ার দু’বছর পরে শহর কলকাতা শর্মিষ্ঠা মাইতি-রাজদীপ পালের ছবিটি দেখার সুযোগ পেয়েছিল।
সকলে যখন মনখারাপ নিয়ে প্রেক্ষাগৃহ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন তখনই এগিয়ে আসেন তিন পরিচালক এবং শতদীপ। তাঁদের হস্তক্ষেপে জটিলতা কাটে। নির্দিষ্ট সময়ের এক ঘণ্টা পরে প্রদর্শিত হয় ছবিটি। পরিচালক শর্মিষ্ঠা শারীরিক অসুস্থতা অগ্রাহ্য করে তখনও সেখানে দাঁড়িয়ে। তাঁর মুখেও তখন যুদ্ধজয়ের হাসি। বিশদে জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল অঞ্জনবাবু এবং শতদীপের সঙ্গে। কী বলছেন তাঁরা?
অঞ্জন স্বীকার করে নিয়েছেন সমস্যার কথা। বলেছেন, “আচমকাই সমস্যা দেখা দেয়। আগাম প্রস্তুতি ছিল না। ফলে, কী করব বুঝতে পারছিলাম না। তখনই ঈশ্বরপ্রেরিত দূতের মতো উপস্থিত ইন্দ্রাশিস, রঞ্জন, পারমিতা এবং শতদীপ। ওঁরা না থাকলে ছবিটি নির্দিষ্ট দিনে হয়তো মুক্তি পেত না।” শতদীপ অবশ্য পুরো কৃতিত্ব দিয়েছেন পরিচালক ইন্দ্রাশিস, রঞ্জনকে। দাবি, ওঁরা প্রথম এগিয়ে এসেছিলেন।
‘মনপতঙ্গ’ মুক্তি পেয়েছে পাঁচটি প্রেক্ষাগৃহে। তার মধ্যে একটি শতদীপের অজন্তা। ছবি দেখে দর্শকেরা কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন? অঞ্জন, শতদীপ উভয়েই জানিয়েছেন, ছবিটি বাণিজ্যিক ধারার ছবি নয়। ফলে, মুক্তির সঙ্গে সঙ্গে দর্শক প্রতিক্রিয়া জানা যায় না। তাঁদের আশা, সোমবার থেকে হয়তো তাঁরা দর্শক প্রতিক্রিয়া জানতে পারবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy