পরিচালক হিসেবে অনির্বাণ নিজেকে কত নম্বর দিচ্ছেন?
শেক্সপিয়রের ‘ম্যাকবেথ’ অবলম্বনে ‘মন্দার’। উইলিয়াম শেক্সপিয়রের নাটক থেকে স্কটল্যান্ডের ট্র্যাজিক নায়ককে গেইলপুরের গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে এক মৎস্যজীবীর রূপ দিয়েছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য। বাংলা ওয়েব সিরিজের জগতে এমন কাজ সচরাচর চোখে পড়ে না। পরিচালক হিসেবে হাতেখড়িতেই তাই চর্চার কেন্দ্রে অনির্বাণ। ‘মন্দার’-এ মোহিত শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের কর্ণধার শ্রীকান্ত মোহতাও। তাঁর বিশ্বাস, অনির্বাণের এই সৃষ্টি ‘গেম চেঞ্জার’। বাংলা বিনোদনের ভোল বদলে দেবে ‘মন্দার’ই, মনে করছেন তিনি।
কিন্তু পরিচালক হিসেবে অনির্বাণ নিজেকে কত নম্বর দিচ্ছেন? অনির্বাণের কথায়, “আমি যে ধরনের কাজ দেখেছি, সেগুলির নিক্তিতে ‘মন্দার’ খুব বড় কাজও নয়।” নিজের দেখা কয়েকটি সেরা কাজের কথা বলতে গিয়ে সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘হারবার্ট’, প্রদীপ্ত ভট্টাচার্যের ‘বাকিটা ব্যক্তিগত’, থিয়েটারের ক্ষেত্রে ‘তিস্তা পারের বৃত্তান্ত’-এর প্রসঙ্গ এনেছেন তিনি। অনির্বাণের কথায়, “এর কম অসংখ্য কাজ এসে যে গতানুগতিক জগৎ ছিল, তা পুরোপুরি ভেঙে দেয়। দর্শকের যা দেখে আসার অভ্যাস, এ ধরনের কাজ অনেক সময় তা ভেঙে দেয়। আবার সিনেমা বা থিয়েটার যে চিরাচরিত পদ্ধতিতে তৈরি হয়, সেই পদ্ধতিকেও অনেক সময়ে পরীক্ষার মুখে ফেলে দেয়।”
বাংলা বিনোদনের সামগ্রিক উন্নতিতে বাণিজ্যিক ছবির অবদানে বিশ্বাস রাখেন অনির্বাণ। উদাহরণ হিসেবে বন্ধু সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের দু’টি ছবির কথা বলেছেন, “আমি যদি মেনস্ট্রিম ছবির কথা বলি তা হলে ‘অটোগ্রাফ’ বা ‘বাইশে শ্রাবণ' এসে দর্শকের দেখার চোখকে, অভ্যাসকে সম্পূর্ণ ভাবে বদলে দিয়েছে। আমি তখনও ইন্ডাস্ট্রিতে আসিনি। কিন্তু পরবর্তীতে সেই মানুষগুলোর সঙ্গেই কাজ করেছি। তাঁরাই আমাকে বলেছেন, পদ্ধতিগত জায়গায় বদল শুরু হয়েছে।” প্রায় এক দশক আগে মুক্তি পাওয়া এই ছবিগুলির সঙ্গেই ‘বং কানেকশন’, অঞ্জন চৌধুরী পরিচালিত ‘শত্রু’ ছবির প্রসঙ্গও এনেছেন তিনি। অনির্বাণ মনে করেন, বহু কাল ধরেই বাংলা ছবিতে এই বদলের ধারা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy