মৌসুমীকে ছাপিয়ে যাবেন অনসূয়া?
মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়ের জুতোয় নাকি পা গলাতে চলেছেন অনসূয়া মজুমদার। টলিউড জুড়ে তেমনই চর্চা! ‘দিলখুশ’-এর জন্য পরিচালক রাহুল মুখোপাধ্যায়ের প্রথম পছন্দ ছিলেন মৌসুমী। কিন্তু চরিত্র নিয়ে তাঁর নিজের বেশ আপত্তি। আনন্দবাজার অনলাইনকে এমনই বলেছিলেন হিন্দি-বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাঁর বক্তব্য, “এই ছবির মাধ্যমে দর্শককে রাহুল যে বার্তা দিতে চাইছে, তার সঙ্গে আমি সহমত নই। এক জন ৬৫ বছরের বৃদ্ধা এবং ৭০ বছরের বৃদ্ধের লিভ ইনের কাহিনি। এই গল্প দর্শককে বলতে আমার মন সায় দিচ্ছে না।’’ সেই চরিত্রেই এ বার দেখা যাবে ‘গোত্র’ ছবির দাপুটে ‘মুক্তি দেবী’কে।
অনসূয়া কি তা হলে মানসিকতার দিক থেকে মৌসুমীর থেকেও সাহসী, আধুনিক? তাই রাজি হলেন? প্রশ্ন রেখেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। অভিনেত্রীর দাবি, ‘‘মৌসুমীর কেন আপত্তি— কিচ্ছু জানি না। রাহুল গল্পটা শোনানোর পরে ভাল লাগে। মনে হয়, যথেষ্ট সমসাময়িক বিষয়। আমার চরিত্রও তেমনই। তাই রাজি হয়েছি।’’ খবর, এই ছবিতে তাঁর বিপরীতে পরান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গেই নাকি লিভ ইন করবেন তিনি! এই বিষয়ে যদিও এক্ষুনি মুখ খুলতে নারাজ ‘মুখার্জিদার বৌ’। তাঁর কথায়, যা হবে, সবটাই হবে মজার ছলে। তাই রহস্য বরং ছবির মুক্তি পর্যন্ত তোলা থাক।
পরানের বিপরীতে লিলি চক্রবর্তী, শকুন্তলা বড়ুয়ার জুটি ইতিমধ্যেই জনপ্রিয়। অনসূয়া কি তাঁদের ছাপিয়ে যেতে পারবেন? ‘‘ছাপানোর প্রশ্নই আসছে না’’, দাবি অভিনেত্রীর। অনসূয়ার যুক্তি, তাঁর কাজ অভিনয়। সেটাই তিনি মন দিয়ে করবেন। বাকিটা দর্শকদের উপরে ছেড়ে দিচ্ছেন। অভিনয়ে যাতে খুঁত না থাকে, তার জন্য রোজ চিত্রনাট্য খুঁটিয়ে পড়ছেন। নিজের চরিত্রকে নিজের মতো করে এঁকেও নিচ্ছেন মনে মনে। এর পরেও দর্শক যদি মৌসুমীর সঙ্গেই তাঁর তুলনা টানেন? এ বারেও সাবধানী উত্তর, ‘‘আমি নিজেই মৌসুমীর অন্ধ ভক্ত। অসাধারণ অভিনেত্রী। মৌসুমী অভিনয় করলে নিঃসন্দেহে আরও ভাল অভিনয় করতেন। আমি আমার মতো করে অভিনয় করব। আশা করি, দর্শকদের ভাল লাগবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy