হিসেবটা খুব সহজ! তিন-য়ে নার্সারি। ছয়ে ওয়ান। আট-য়ে ক্লাস থ্রি।
বাঙালি অভিভাবকের কাছে ভাল ইস্কুল নামক অতি গুরুত্বপূর্ণ জাংশনে ট্রেন আরোহণের মোটামুটি ভাবে তিন বগি।
এতেও মন্ত্রী/আমলা/লোকাল থানার ওসি/প্রভাবশালী সেলিব্রিটির হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। এর কোনওটাই জুত করতে না পারলে লটারি নামক ঘোর অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যাওয়া। তবু নার্সারিতে ভর্তি মানে কোথাও একটা হাল্কা আলোর দিশা। কম্পিটিশন তুলনামূলক ভাবে কম। আর স্কুলগুলো একঝাঁকে অনেক ভর্তি করে। বাদবাকি অধ্যয়ন জীবনে নিজের সন্তানকে এগিয়ে দেওয়ার প্রথম এবং আদর্শ বেস ক্যাম্প তাই তিন বছর-ই।
বাঙালি সামাজিক জীবনের এমন শাশ্বত ফর্মুলা অনুসারে আনন্দplus পৌঁছল তার প্রথম বেস ক্যাম্পে। যেখানে ওপরে ওঠার অক্সিজেন বাঁধাবাঁধি ছাড়া নানা রকম প্রস্তুতির ব্যথাও থাকে। সূক্ষ্ম সব মাপজোক করতে হয়। এতটুকু হিসেবের গরমিলে একটা সাধারণ তুষারপাতও হাড়হিম করা বিপর্যয় আহ্বান করবে।
এমনকী ক্রিকেটেও তার আভা। ময়দানি কোচেরা অতীতে বলে এসেছেন, প্রথম দশ ওভার বা প্রথম ঘণ্টা হল ব্যাটসম্যানের বেস ক্যাম্প। ওই সময়টুকু বোলারকে দেবে। তারপর শুরু করবে রানের অভিযান। অধুনা টি টোয়েন্টি যুগে সেটা কমে দাঁড়িয়েছে তিন ওভার। ওই সময়টুকু কী করবে? না, শরীর এত কাছে নিয়ে যাবে যেন বলের গন্ধ শুঁকতে পারো। মোটা দাগের মর্মার্থ: ইনিংসের শুরুতে শরীর থেকে দূরে খেললে সামান্য সুইং বা সিম করা ডেলিভারিও অতর্কিত ঘাতক হয়ে দেখা দেবে।
সচেতনে এহেন ব্যাকরণ মেনেই আনন্দplus দুই থেকে তিনের জাংশনে পৌঁছল। গোটা বছরে ১৫৬ সংখ্যা আর অদ্ভুতভাবে প্রতিটির সঙ্গেই গচ্ছিত রয়েছে অন্তরালের কোনও না কোনও কাহিনি। হঠাৎ করে আসা হার্ড স্টোরি... এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউয়ের অতল আহ্বান... বলিউডে এত কালের না-খোলা দরজা ঘটনাপ্রবাহে হাট হয়ে যাওয়া... আচমকা এমন সিচুয়েশন হাজির হয়ে যাওয়া যার জন্য আমাদের বিভাগ প্রস্তুত ছিল না।
সুচিত্রা-বিসর্জন যেমন! খবর আসা মাত্র মনে হল এখানে আমাদের সাক্ষী থাকতেই হবে। সে যেভাবে হোক। সবচেয়ে সমস্যা মুনমুন সেনকে রাজি করানো। অমদাবাদ থেকে ১২০ কিমি দূরের সিধপুরে মায়ের পিণ্ডদান করতে যাচ্ছেন সুচিত্রা-কন্যা। ৬ এপ্রিল ছিল মৃত্যুর পর সুচিত্রা সেনের প্রথম জন্মদিন। সে দিনই মুনমুন
সঙ্গে রিয়াকে নিয়ে হাজির হন মাতৃগয়ায়। যেখানে গোটা বিশ্বে মায়ের একমাত্র পিণ্ডদানের ব্যবস্থা। বলতে গেলে এটাই সুচিত্রার জন্য শেষ পারলৌকিক আচার।
আমাদের মনে হয়েছিল বিনোদনের খবর পাওয়ার জন্য যে পাতার দিকে পাঠক তাকিয়ে থাকে, তার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে মহানায়িকার প্রতি শেষ পারলৌকিক আচারকে সরেজমিন ফুটিয়ে তোলা। পিণ্ডের ভাত মুঠো করে দিতে দিতে মুনমুন ঝরঝর করে কেঁদে ফেলেছিলেন। শুনেছি ইস্যুটা পড়ে চোখের জল সামলাতে পারেননি অনেক পাঠকও।
বরিস বেকার ইন্টারভিউয়ের আগমন? সে-ও তো অভাবনীয় পরিস্থিতিতে! পাঁচ মাস ধরে হচ্ছে না, হচ্ছে না এমন সিচুয়েশনে যখন ইন্টারভিউয়ার তৈরি প্রশ্নপত্রটাই স্রেফ সময় নষ্ট অনুশীলন হিসেবে তার মেলের ড্রাফট থেকে ডিলিট করে দিয়েছে। তখন আচমকা বেকারের ব্যবসায়ী সহযোগীর এসএমএস। আজ রাত্তির আটটায় আপনার নম্বরে বেকার ফোন করবেন।
এপ্রিলের শুরু হলে বুঝে নেওয়া খুব সহজ — চূড়ান্ত ফাজলামি হচ্ছে। কিন্তু এ তো ভরা অক্টোবর। দ্রুত পরিস্থিতির জন্য তৈরি এবং নতুন প্রশ্নপত্র বানিয়ে ইন্টারভিউ করা হয়েছিল বিশ্বখ্যাত অধুনা জকোভিচের কোচকে। আশ্চর্য! এমন কল ড্রপের বাজারে একবারও লাইন কাটেনি। তার চেয়েও আশ্চর্য, টানা আধ ঘণ্টার আদানপ্রদানে আগাগোড়া বেকারের শুদ্ধ ইংরেজি। একেবারে ঘরের পরিচিত চরিত্র মনে হয়েছিল বেকারকে। যখন আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়েছিলেন স্টেফির প্রতি তাঁর দুর্বলতা ছিল।
টালিগঞ্জের হাঁড়ির খবর? তা বছরজুড়ে ছিল। মনে করানো যাক, আনন্দplus-এর প্রথম দিনের অনুচ্চারিত ঘোষণা, গসিপ দেবে না, হাঁড়ির গরম খবর দেবে। মনে হয় না সেই প্রতিশ্রুতির কোনও খেলাপ হয়েছে বলে। প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণা যে চোদ্দো বছর পর জুড়ি বাঁধছেন, এখানেই প্রথম খবর হয়। অনেকের মুখে চোখে তখন অবিশ্বাসী হাওয়া। সেই সব ভুরু ওপরে তুলিয়ে জোটটা সত্যি ঘটল। একসঙ্গে প্রথম ইন্টারভিউ ওঁরা আমাদেরই দিলেন। আর ইন্টারভিউ চলাকালীন প্রসেনজিৎ একাধিকবার বললেন, ‘‘আমাদের প্রত্যাবর্তনের সবচেয়ে বড় ক্রেডিট প্রাপ্য আপনাদের। লাইনটা কিন্তু কাটবেন না।’’
এক বছরে এত বড় প্রত্যাবর্তন একটাই হয়। এ বারে কি না জোড়া। দু’টোই আনন্দplus স্কুপ। দেব-শুভশ্রীর ফিল্মে একসঙ্গে ফেরত আসার খবর। সঙ্গে বিশেষ কাপল পিকচার। সাউথ সিটি-র ছাদে আমাদের জন্য যখন ওঁরা যুগলে ছবি তুলছেন, নীচে দেবের ফ্ল্যাটে বান্ধবী রুক্মিণী। ওঁরা নিজেরাও বোধ করি তখন অনিশ্চিত। নইলে আমাদের বিভাগের নিয়মিত ফোটোগ্রাফারদের আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবে কেন! ইন্দ্রনীল রায়ের মোবাইল ক্যামেরায় তোলা ছবি অগত্যা ছাপানো হল। প্রচ্ছদকাহিনির ছবি মোবাইলে — বছরে একটাও হয় কি না সন্দেহ। সেটা ভাবতে গেলেই অবশ্য মনে পড়ে সংশ্লিষ্ট কাহিনির স্পর্শকাতরতার মাত্রা।
মারাত্মক স্পর্শকাতর তো তখন অনুষ্কা শর্মাও। এখন না হয় মুক্ত হাওয়ায় দু’জনে গোয়া ঘুরছেন। ক্যামেরার সামনে দাঁড়াচ্ছেন। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপের পর প্রচণ্ড উত্তেজক ছিল পরিস্থিতি। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে তখন সমর্থকেরা সেমিফাইনাল হারের জন্য অনুষ্কাকে অভিযুক্ত করছেন। তার পর পরই আনন্দplus বিভাগে তাঁর পদার্পণ আর বিরাটের ল্যামিনেশন করা ছবি তাঁকে তুলে দিয়ে চিত্রসাংবাদিকের ছবি তোলার আবদার। অনুষ্কা একটু উসখুস করছিলেন। দ্রুত ওটা টেনে নিলেন রণবীর কপূর। দু’জনে ছবিসহ পোজ দিলেন। তারপর রণবীর চুটিয়ে একটা ইন্টারভিউ দিলেন দাদু রাজ কপূরের ওপর। বললেন, ‘‘আমি নিজেও তো দাদুর প্রতিদ্বন্দ্বী। ওঁকে হারাবার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’’ পড়ে স্পন্দিত হয়ে যায় টালিগঞ্জের বড় একটা অংশ। বলছে কি ছেলেটা? ভেতরে ভেতরে এত দম! রণবীরকে নতুন প্রিজমে দেখা শুরু হল।
ইফ উইন্টার কামস, ক্যান স্প্রিং বি ফার বিহাইন্ড। এক রণবীর এলে কি আরেক জনকে দূরে রাখা যায়? তিনি রণবীর সিংহ। এসে হাজির ক’মাসের মধ্যে। তফাতের মধ্যে প্রচণ্ড উত্তেজিত দীপিকা পাড়ুকোনকে নিয়ে নানা ব্যক্তিগত প্রশ্ন ওঠায়। সবার সামনে রীতিমত জোর গলায় আনন্দplus -এর মহিলা সাংবাদিককে হতাশা ব্যক্ত করলেন, ‘‘এ সব কী প্রশ্ন? এটা ঠিক করলেন!’’ নাসরিন খান উত্তরে খুব মিষ্টি করে বলেছিল, ‘‘আমি আমার কাজ করছিলাম মাত্র।’’
গোটা বছরে বার হওয়া এত সব সাক্ষাৎকার। যার অনেকগুলোই যে তাৎক্ষণিকতার সীমা অতিক্রম করে পাঠকমনে রয়েছে, আজও দফতরে আসা মেল, টুইট বা ফেসবুক পোস্ট তার জলজ্যান্ত প্রমাণ। আমাদের কাছে ভীষণ মনের মতো আর হৃদয়গ্রাহী যে সাক্ষাৎকার সেটা অবশ্য আমরা কেউ নিইনি।
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মদিনের ইন্টারভিউ নিয়েছিলেন আমাদের তরফে বিদ্যা বালন। ফোনের এক দিকে তিনি, অন্য দিকে গলফ গ্রিনে বাড়ির বাগানে বসে উত্তর দিচ্ছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। ইন্টারভিউয়ের যে লজিস্টিক্স ম্যানেজার ছিল সেই প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্তর মনে হয়েছিল ৮০তম জন্মদিনে সৌমিত্রর এটাই সেরা বার্থ ডে গিফট। বিদ্যা যে তাঁর কাছে প্রিয়তম ছাত্রীসমা।
বলিউডের এত লোক গোটা বছরে আমাদের মুখোমুখি। প্রিয়ঙ্কা-অনিল কপূর-বিদ্যা বালন-হৃতিক-রানি-সুস্মিতা-কর্ণ জোহর, রেখার বাড়ির কাছের হোটেলে অমিতাভ বচ্চন। এবং অবশ্যই শাহরুখ। সব ক’টা ওয়ান অন ওয়ান সাক্ষাৎকার। অথচ ‘মেড ইন বেঙ্গল’ বলিউডি নায়ককে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। এই পাতার এত দিনের সুহৃদ তিনি সম্পূর্ণ বেপাত্তা। মিঠুন চক্রবর্তী।
আর শুধু তো আমাদের নন, বছরজুড়ে মিঠুন রাজ্যের ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা কভার স্টোরি করি— ‘অভিমানী বনবাস’। এমন আবেগরুদ্ধ প্রতিক্রিয়া হয় টালিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিতেই যে আমাদের মনে থাকে আরও একটা স্টোরি সঙ্গে হতে পারত — ভালবাসার মহাগুরু। প্রতি বছর দোসরা অগস্ট মৃণাল সেনের বাড়িতে রঞ্জিত মল্লিকের ৪৩ বছর ধরে দেখা করতে যাওয়ার খবরও আমাদের পাতায় প্রথম বার হল। পরে মনে হল আমরাই বা কেন আগে জানতাম না যে, মানুষটা ৪২ বছর ধরে তাঁর প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কারের জন্য ওই দিনে গুরুকে কৃতজ্ঞতা জানাতে যান।
গানে পঙ্কজ উধাস থেকে জিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হয়ে স্বভাববিরুদ্ধ অসম্ভব খোলামেলা শান। কিন্তু স্থানীয় গানবাজনার জগতে তোলপাড় ফেলে দিলেন রূপঙ্কর। যখন তীব্র হতাশায় ইন্টারভিউ দিলেন, ‘‘ভাবছি তেলেভাজার দোকান দেব।’’
এরই মধ্যে তীব্র তোলপাড় এবং পাঠকদের মেরুকরণ ঘটে গেল, ইস্টবেঙ্গলের শিল্ড ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে পাঁচ গোল দেওয়ার চল্লিশ বছর পূর্তি সংখ্যা। ইস্ট সমর্থকরা অবশ্যই আনন্দে আনন্দplus -এর অনেক বাড়তি কপি সংগ্রহ করে রাখলেন। বিলিয়ে দিলেন বন্ধুদের। ইস্টবেঙ্গল টেন্ট থেকে মিষ্টি পাঠিয়ে দেওয়া হল আনন্দplus দফতরে। ও দিকে উত্তেজিত মোহন সমর্থকরা টুইট এবং ফেসবুক পোস্ট করা শুরু করলেন। একটা পোস্টে ছিল: পঁচিশ বছর পূর্তি হয়। পঞ্চাশ হয়। একশো হয়। চল্লিশ বছর পূর্তিটা আবার কী ব্যাপার? কেউ কেউ অভিযোগে ফেটে পড়লেন, মোহনবাগান আই লিগ জেতার পর তা হলে বিশেষ সংখ্যা বার করলেন না কেন? সেই ক্ষোভ আজও প্রশমিত নয়।
কোহলির টিম ইন্ডিয়ার গড় বয়স সাতাশ। এটিকে-র আঠাশ। আনন্দplus-এর পাঠকগোষ্ঠীর গড় বয়স কত? জানার উপায় নেই। আনন্দ রিসার্চ টিমের তথ্য অনুযায়ী কাগজের অন্য সব পাতার তুলনায় তরুণতর। যারা গপগপ করে গেলে সেরা সেলফি তোলার টেকনিক। বা হোয়াটসঅ্যাপে সরগরম শহর। এরা আনন্দplus-এ শ্রীজাত বনাম সুমন প়ড়ে উদ্বেলিত, ব্যাখ্যা করা যাচ্ছে। কিন্তু আবার তারাই ‘মিস্টার ডালমিয়া’ বা ‘বেনো সভ্যতা’ পড়ে আনন্দplus ফেসবুক পেজ-এ কী করে এমন উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া দিল? কভার স্টোরির জন্য সদ্যমৃত এক সাবজেক্টের বয়স পঁচাত্তর। অন্য জন নব্বই ছুঁই ছুঁই।
বছরের সেরা জাগানো আবির্ভাব অবশ্য কোনও স্টোরির নয়, আনন্দplus ওয়েবপেজের। যা বার হয় মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার। সারমর্ম: কাগজওয়ালার গাট্টি বেঁধে ছুড়ে দেওয়া কাগজে আপনি আনন্দplus পড়ছেন তিনদিন কিন্তু আসলে তার আবির্ভাব হচ্ছে সপ্তাহে পাঁচদিন। কে বলতে পারে তার ওয়েবদুনিয়ার ভবিষ্যৎ আরও কী ঘোষণা নিয়ে অপেক্ষায় রয়েছে। আপাতত কোয়েল মল্লিকের ব্লগ বার হয়েই সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে গেল। ওয়েবে ব্লগ লিখছেন অঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়রাও। ওয়েবের সহজ সূচক — নাম্বার অব হিটস, যা তর্কাতীত।
আমাদের এডিটোরিয়াল বিভাগ অবশ্যই গোটা বছর নজর রেখেছে বিষয় নির্বাচন, বৈচিত্র এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ — কভারেজের পরিধির ওপর। বহু বছর আগে মুম্বইয়ের সর্বভারতীয় ম্যাগাজিন বিজ্ঞাপন করেছিল — ‘আদার ম্যাগাজিনস টক অ্যাবাউট দেম, ইউ টক টু দেম’। অন্যরা ওদের সম্পর্কে কথা বলে, আমরা ওদের সঙ্গে কথা বলি। বলিউডের সাক্ষাৎকার বা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের নিয়ে ফিচারের সময় বারবার এই শর্তপূরণের চেষ্টা আনন্দplus করেছে।
আমরা ওদের সঙ্গে কথা বলি! নিছক ওদের সম্পর্কে নয়।
ভুলতে পারি না, বহু বছর আগে খড়গপুরের এক অধ্যাপিকা রিডার্স মিটে আসা কলকাতার কোনও এক কাগজের প্রতিনিধি দলকে ক্ষুব্ধ গলায় কী বলেছিলেন। ‘‘সিএনএন দেখলে মনে হয় পৃথিবীটা কত কাছে। আপনাদের কাগজ ঘাঁটলে মনে হয় পৃথিবী কত দূরে।’’ আনন্দplus তার বেস ক্যাম্পে ওঠার পথে আপ্রাণ চেষ্টা করে গিয়েছে এমন অভিযোগ যেন কারও মুখে না ওঠে।
ত্রুটি-বিচ্যুতি-পরীক্ষানিরীক্ষায়-আকর্ষণ-বিকর্ষণে-সাফল্য এবং কখনও এক পশলা ব্যর্থতায় গোটা বছরটা কেটে গেল। আবার নতুন এক বর্ষের মুখোমুখি। নতুন স্বপ্ন। নতুন দিগন্ত। নতুন সন্দিগ্ধতা।
বেস ক্যাম্পে শিবির গাড়ার জন্য বলের যথাসম্ভব কাছে থাকার প্রয়োজন ছিল। এখন শুধু ওটাতে আর কাজ হবে না।
এ বার আরোহণের সময়। আম্পায়ারের কাছে আনন্দplus বিভাগের নতুন করে গার্ড নেওয়া ছাড়া তাই উপায় নেই।
ওয়ান লেগ প্লিজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy