এক সময় তিনি ছিলেন ‘রাগী যুবক’। প্রেমের গানে বা হাস্যরসে দর্শকের মন মজালেও মূলত সমাজের নানা প্রান্তে ঘটে চলা অন্যায়ের প্রতিবাদ করাই যেন তাঁর চরিত্রগুলির মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। তথাকথিত সৌন্দর্যের ঊর্ধ্বে উঠে অমিতাভ বচ্চনই বলিউডে এনেছিলেন নায়কের নতুন সংজ্ঞা। যাঁর গায়ের রং উজ্জ্বল নয়, চেহারায় নেই সুকোমল ভাব। শুধু মেধায় উজ্জ্বল চোখ দু’টি তাঁকে অন্য নায়কদের পাশে আলাদা পরিচয় দিয়েছিল। সেই নায়কই তাঁর অভিনয় জীবনের তৃতীয় পর্বে এসে তৈরি করলেন এক নতুন ইতিহাস। ৮২ বছর বয়সেও সেই ধারা নতুন নতুন পথে প্রবাহিত হয়ে চলেছে— ‘পা’ থেকে ‘কল্কি’ মাইলফলক প্রোথিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এ বার অমিতাভ উদ্ঘাটন করলেন এক রহস্যের। কী ভাবে এই অশীতিপর ত্বকের চর্চা করেন তিনি, জানালেন নিজেই। এর আগে একবার বলেছিলেন, তিনি শরীরচর্চা করেন। নিয়মিত হলেও সেখানে বাধা ধরা কোনও নিয়ম নেই। কখনও হাঁটেন, কখনও একটু ব্যডমিন্টন খেলে নেন। আবার কখনও ধ্যান করেন মগ্নচিত্তে। এ বার, এক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানে প্রতিযোগী হয়ে আসা এক কিশোরী তাঁকে প্রশ্ন করে বসল, “আপনি কী ভাবে ত্বকচর্চা করেন?” এখনও এই পর্ব সম্প্রচারিত হয়নি। মঙ্গলবার প্রকাশ্যে এসেছে প্রথম ঝলক। আর সেখানেই দেখা গিয়েছে, ওই কিশোরী বলছে, সাজগোজের বিষয় তার খুব পছন্দ। অমিতাভের সাজগোজও তার বিশেষ ভাললাগে। এমনকি অমিতাভকে যে উজ্জ্বল কোনও রঙেই মানায় ভাল, তা-ও অবলীলায় জানিয়ে দেয় সে। এর পরই ধেয়ে আসে মোক্ষম প্রশ্নটি। কিশোরী জিজ্ঞাসা করে, “আপনার ত্বক খুব উজ্জ্বল, কী ভাবে ত্বক চর্চা করেন আপনি?”
উত্তরে অমিতাভ জানান, এ সব কিছুই করেন না তিনি। পাল্টা প্রশ্নে কিশোরীর বিস্ময় ঝরে পড়ে, “ময়শ্চরাইজ়ারও লাগান না?” অমিতাভ বলেন, “আমি বানানটাই জানি না, লাগাব কী করে!” সপ্রতিভ কিশোরী শাহেনশাহকে পরামর্শ দেয়, ময়শ্চরাইজ়ার লাগিয়ে দেখতে পারেন তিনি, এতে মুখে কন্ট্যুর হবে। উত্তরে অমিতাভ বলেন, “আরে আমি অনেক পুরনো দিনের মানুষ। এত কিছু জানি না। ছোটবেলা থেকে মুখে শুধু সরষের তেল মেখেছি।”
হাসির রোল ওঠে দর্শকদের মধ্যে। আর কিশোরীর দিকে ধেয়ে আসে ক্যুইজ়ের প্রশ্ন।