অমিতাভের সঙ্গে অম্বরীশ।
অমিতাভ বচ্চনের ৭৯তম জন্মদিনে আমার ফোনে ওঁর জবাবি বার্তা!
২০১৮-য় প্রদীপ সরকারের একটি বিজ্ঞাপনী ছবি। সেই ছবিতে আমি আর অমিতাভ বচ্চন। প্রচণ্ড চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। ১৫ মিনিট পরে সেই চাপ উধাও। তার পর থেকেই প্রতি বছর ওঁকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাই। ওঁর ব্যক্তিগত ফোনে। রবিবার রাতে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় দেখি, স্যর উত্তর দিয়েছেন। এই হলেন ব্যক্তি অমিতাভ।
‘অ্যাকশন’ আর ‘কাট’-এর বাইরে অমিতাভ একেবারে অন্য মানুষ। এক দীর্ঘদেহী ঝুঁকে পড়া বুড়ো মানুষ! আমার জ্যাঠা, কাকা বা দাদুর মতো। পরিচালক ‘রোল’ বললে সেই অমিতজিই টানটান। যেন ‘দিওয়ার’ বা ‘অগ্নিপথ’-এর অমিতাভ। অভিনয় শেষ হলেই ফের ঝুঁকে পড়ছেন, হাঁফাচ্ছেন। একটু চেয়ারে বসছেন। একটু টুইট করছেন। ট্যাব খুলে ফেসবুক ঘাঁটছেন। কাজ না থাকলে বা পরের দৃশ্যে যাওয়ার আগে ট্যাবই তাঁর ধ্যান-জ্ঞান।
দুপুরেও অমিতজির কোনও খাওয়াদাওয়া নেই। সকাল সাড়ে ১১টায় সেটে আসেন। টানা ৬-৭ ঘণ্টা কাজ করেন। মাঝে বার দুয়েক প্রোটিন জাতীয় পানীয় নেন। আর একটানা কাজ করে যান। পরিচালক বিশ্রাম দিতে চান অনেক সময়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি যেন ‘রাগী যুবক’! প্রশ্ন করেন, ‘‘কিসের জন্য বিশ্রাম?’’ পরিচালক হয়তো আমতা আমতা করে বললেন, ‘‘স্যর দুপুরের খাওয়াদাওয়ার জন্য।’’ আবারও ঝাঁঝালো জবাব, ‘‘কোনও প্রয়োজন নেই। আমি দুপুরে খাই না।’’
আমরাও ওই বিজ্ঞাপনী ছবির কাজে কেউ খাইনি। হাতের কাছে অমিতাভ বচ্চন! আমাদের পেট সে দিন এমনিই ভরে গিয়েছিল!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy